নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন ভগবন্ত মান। তবে সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বিচারও চাইলেন।
গত বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনের বিভিন্ন জায়গার ছবি ভিডিও-তে তুলে তা ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন পঞ্জাবের সাংরুর থেকে নির্বাচিত আম আদমি পার্টির ওই সাংসদ। ১২ মিনিটের ওই ভিডিও-তে নিজেই ধারাবিবরণী দেন। কোন রাস্তা দিয়ে তাঁর গাড়ি সংসদে ঢুকছে, কোথায় নিরাপত্তারক্ষীরা রয়েছেন ইত্যাদি সবই দেখানো হয়েছে সেই ভিডিও-তে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড হতেই শুরু হয় বিতর্ক। অভিযোগ ওঠে, এই ভিডিও-তে সংসদ ভবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে লোকসভায় কমিটি গড়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে ভগবন্তকে বলা হয়, যত দিন না কমিটি তাদের রিপোর্ট দিচ্ছে, তত দিন তিনি যেন সংসদে না আসেন।
বৃহস্পতিবার সকালে সংসদের এথিক্স কমিটির জয়েন্ট সেক্রেটারির কাছে একটি পাঁচ পাতার চিঠি জমা দিয়ে ভগবন্ত মান নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তবে তিনি দাবি করেন, পাঠানকোটের যেখানে জঙ্গি হানা হয়েছিল, সেখানে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসএস-কে যেতে দেওয়ায় বিজেপি এমপি কিরীট সোমাইয়ার নেতৃত্বে নয় সদস্যের কমিটি যেন প্রধানমন্ত্রীকেও ডাকেন।
মান আবার বলেন, সংসদ ভবনের ভিডিও তুলে তিনি সেখানকার নিরাপত্তা ভাঙেননি। তিনি মনে করিয়ে দেন, টিভি চ্যানেলের ব্রডকাস্টিং ভ্যান সব সময়েই সংসদ ভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে, ক্যামেরা অবাধে ছবি তুলে যায়। মান বলেন, সংসদে কী ভাবে কাজ হয়, নিজের কেন্দ্রের মানুষদের তা দেখানোই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।