দেশ
আলোচনার মধ্যে দিয়েই মাওবাদী সমস্যার সমাধান, জানালেন ছত্তীসগঢ়ের নতুন মুখ্যমন্ত্রী
রায়পুর: “ছত্তীসগঢ়ের সরকার এনকাউন্টার আর মৃতদেহের সংখ্যা গুণতে রাজি নয়”, এই কথা বলে মাওবাদীদের সঙ্গে আলোচনার বার্তা দিলেন সে রাজ্যের নবনিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল। আলোচনার মধ্যে দিয়েই তিন দশকের সমস্যা মেটানো যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। টাইম্স অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বাঘেল বলেন, “২০১৩-এর মে মাসে ভয়াবহ এক মাওবাদী হানায় কংগ্রেস তাদের প্রথম […]
রায়পুর: “ছত্তীসগঢ়ের সরকার এনকাউন্টার আর মৃতদেহের সংখ্যা গুণতে রাজি নয়”, এই কথা বলে মাওবাদীদের সঙ্গে আলোচনার বার্তা দিলেন সে রাজ্যের নবনিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল। আলোচনার মধ্যে দিয়েই তিন দশকের সমস্যা মেটানো যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
টাইম্স অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বাঘেল বলেন, “২০১৩-এর মে মাসে ভয়াবহ এক মাওবাদী হানায় কংগ্রেস তাদের প্রথম সারির বহু নেতাকে হারায়। অনেক জওয়ান, সাংবাদিক এবং নিরপরাধ আদিবাসীর মৃত্যু হয়েছে এই সমস্যার জন্য। বন্দুক দিয়েই যদি এই সমস্যার সমাধান হত, তা হলে রমন সিংহের পনেরো বছরের রাজত্বকালেই তা হয়ে যেত। ‘গুলির বদলে গুলি’ এই নীতি ব্যর্থ হয়েছে। আমি মনে করি, এই সমস্যার সমাধানে নতুন ভাবে আমাদের ভাবতে হবে।”
বাঘেল মনে করেন বেশি বাহিনী মোতায়েন, এনকাউন্টের সংখ্যা বাড়ানো এবং মাওবাদীদের মৃতদেহ দিয়ে কোনো ভাবে বিচার করা যায় না এই সমস্যার সমাধান হয়েছে কি হয়নি। তাঁর কথায়, “এই সমস্যার শিকার যাঁরা, আমি তাঁদের সবাইকে আলোচনার টেবিলে বসাতে চাই। আমি দেহ গুনতে রাজি নই।”
আরও পড়ুন মিলছে না ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রীর অ্যাপয়েন্টমেন্ট, প্রতিকারের আশায় রাজধানীর অফিসে যাচ্ছেন সায়রা বানু
তাঁর মতে মাওবাদী সমস্যা একটি অর্থ-সামাজিক এবং রাজনৈতিক ইস্যু। তাঁর কথায়, “অবিলম্বে মাওবাদী সমস্যার সঙ্গে জড়িত সবার সঙ্গে, বিশেষত বস্তারের মানুষদের সঙ্গে আলোচনায় বসা দরকার।”
বস্তারের মানুষের জীবনযাপন অন্য রকমের, সে কথা বলেন বাঘেল। তাঁর কথায়, “বস্তারের মানুষের মানসিকতা হল স্বাধীন ভাবে প্রকৃতির মধ্যে থাকা। কিন্তু সেই পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি পালটে গিয়েছে। স্থানীয়দের মধ্যে এখন সন্দেহ এবং ভয় ঢুকে গিয়েছে।” মানুষের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বস্তারে তৃণমূল স্তর থেকে তাঁর সরকার কাজে নামবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন বাঘেল।
দেশ
করোনা টিকার শংসাপত্রে মোদীর ছবি, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের জবাব তলব কমিশনের
গত শুক্রবার ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে গিয়েছে। তার পরেও বিজেপির প্রচারক মোদীর ছবি-সহ করোনার শংসাপত্র বিলি নিয়ে আপত্তি তোলে তৃণমূল।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশের পরেও করোনা টিকার শংসাপত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার এই নিয়ে কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিল তৃণমূলে। আর তার পরেই এই মর্মে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের জবাব তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।
বিষয়টি নিয়ে কমিশনের তরফে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিশনের এক আধিকারিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘‘প্রথমে সত্যটা জেনে নেওয়া প্রয়োজন। জানতে হবে, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশেই প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়া শংসাপত্র বিলি করা হচ্ছিল কি না। এ ক্ষেত্রে সব পক্ষের মতামত জানা প্রয়োজন।’’
টিকার শংসাপত্রে মোদীর ছবি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকেই যে হেতু অভিযোগ জমা পড়েছে, তাই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের কাছ থেকেও এ নিয়ে সবিস্তার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে গিয়েছে। তার পরেও বিজেপির প্রচারক মোদীর ছবি-সহ করোনার শংসাপত্র বিলি নিয়ে আপত্তি তোলে তৃণমূল। পাশাপাশি পেট্রোল পাম্পের বিজ্ঞাপনে মোদীর ছবি ব্যবহার নিয়েও প্রতিবাদ করেছিল তৃণমূল। এর পর পাম্পগুলিকে সেই ছবি নামিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয় কমিশন।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
অপ্রয়োজনীয় ভিড় এড়াতে ব্যবস্থা, প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দাম তিনগুণ বাড়াল রেল
দেশ
অপ্রয়োজনীয় ভিড় এড়াতে ব্যবস্থা, প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দাম তিনগুণ বাড়াল রেল
এর আগে, মুম্বই এবং সংলগ্ন এলাকার প্ল্যাটফর্ম টিকিটের মূল্য বাড়িয়ে একধাক্কায় ১০ থেকে ৫০ টাকা করে দিয়েছিল রেল।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: অপ্রয়োজনীয় ভিড় এড়াতে ভাড়া বাড়ানোর পন্থা নিল রেল। এক ধাক্কায় তিনগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হল প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দাম।
এখন থেকে প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দাম ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়াও বাড়ানো হয়েছে স্বল্প দূরত্বের যাত্রীবাহী ট্রেনের ভাড়াও। এখন থেকে এই ট্রেনে উঠতে গেলেও ৩০ টাকার টিকিট কাটতে হবে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মানুষ যাতে ট্রেনে না ওঠেন, তার জন্য এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসেও স্বল্পদূরত্বের যাত্রীবাহী ট্রেনের ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল।
করোনা পরিস্থিতিতে স্টেশন চত্বর এবং ট্রেনে ভিড় রুখতেই এই ‘সাময়িক’ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে যদিও রেলের তরফে সাফাই দেওয়া হয়েছে। প্ল্যাটফর্ম টিকিট এবং স্বল্প দূরত্বের যাত্রীবাহী ট্রেনের টিকিটের বর্ধিত মূল্য নিয়ে শুক্রবার রেলের তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্টেশন চত্বরে ভিড় সামাল দেওয়ার দায়িত্ব ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারদের (ডিআরএম)। প্ল্যাটফর্ম টিকিটের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি সম্পর্কে তাঁরা অবগত।
এর আগে, মুম্বই এবং সংলগ্ন এলাকার প্ল্যাটফর্ম টিকিটের মূল্য বাড়িয়ে একধাক্কায় ১০ থেকে ৫০ টাকা করে দিয়েছিল রেল। ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস, দাদার এবং লোকমান্য তিলক টার্মিনাসের মতো স্টেশনে তা এখনও চালু রয়েছে। এ বার গোটা দেশেই প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দাম বাড়ল।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
কর্মীদের কোভিড টিকাকরণের খরচ জোগাবে রিলায়েন্স, জানালেন নীতা অম্বানি

খবরঅনলাইন ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভারত-নেপাল সীমান্ত। নেপাল পুলিশের গুলিতে এক ভারতীয় যুবকের মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে উত্তরপ্রদেশের পিলিভিটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশবাহিনী এবং সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি) জওয়ানরা। নিহতের নাম গোবিন্দ সিংহ (২৬)। এই ঘটনায় এখনও নিখোঁজ আরও ১ যুবক।
পিলভিটের পুলিশ সুপার জয়প্রকাশ জানিয়েছেন, নেপাল সীমান্ত লাগোয় উত্তরপ্রদেশের পিলভিটের হাজারা থানা এলাকার রাঘবপুরী টিলা নম্বর ৪ গ্রাম থেকে গোবিন্দ সিংহ, গুরমিত সিংহ এবং পাপ্পু সিংহ নামক তিন বন্ধু নেপালের বেলোরি বাজারে কিছু কাজের জন্য গিয়েছিলেন।
কাজ সেরে বাড়ি ফেরার সময় কোনো বিষয় নিয়ে ওই তিন জনের বচসা হয় বলে জানা গিয়েছে। তখনই নেপাল পুলিশ গুলি চালায় বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর জখম হন গোবিন্দ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
গোবিন্দর দুই সঙ্গীর মধ্যে এক জন এখনও নিখোঁজ। অন্য জন কোনোক্রমে প্রাণ বাঁচিয়ে ভারতে ফিরে আসেন বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ আধিকারিক।
এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সীমান্তলাগোয়া গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তাঁরা সীমান্তে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছে গ্রামবাসীদের শান্ত করেন। পুলিশ জানিয়েছে, যে যুবক ফিরে এসেছেন, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা চলছে সেখানে ঠিক কী হয়েছিল। কী থেকে বচসার সূত্রপাত— সব কিছু জানার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি, নেপাল পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
তবে এই প্রথম নয়, গত বছরের জুনে ভারত-নেপাল সীমান্তলাগোয়া বিহারের সীতামঢ়ী জেলার মাহোবা গ্রামের এক কৃষকের মৃত্যু হয় নেপাল পুলিশের গুলিতে। আহত হন আরও ৩ জন। এসএসবি সূত্রে জানা গিয়েছিল, লালবন্দি-জানকীনগর পঞ্চায়েত এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমান্তে এসে ভারতীয় কৃষকদের চাষের কাজে বাধা দেয় নেপাল পুলিশের কয়েক জন অফিসার।
এই থেকে কৃষকদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। এবং আচমকা গুলি চালাতে শুরু করে নেপাল পুলিশ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বিকাশকুমার রাই নামে এক কৃষকের। আরও এক কৃষককে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে নেপাল পুলিশের বিরুদ্ধে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
দলিত যুবককে বিয়ে, আদালতের দেওয়া নিরাপত্তা সত্ত্বেও মেয়েকে খুন করল বাবা
-
রাজ্য15 hours ago
পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল তৃণমূল
-
শিক্ষা ও কেরিয়ার3 days ago
কেন্দ্রের নতুন শিক্ষানীতির আওতায় মাদ্রাসায় পড়ানো হবে গীতা, রামায়ণ, বেদ-সহ অন্যান্য বিষয়
-
শিক্ষা ও কেরিয়ার3 days ago
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় নয়া মোড়, ফের কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য
-
গাড়ি ও বাইক21 hours ago
আরটিও অফিসে আর যেতে হবে না! চালু হল আধার ভিত্তিক যোগাযোগহীন পরিষেবা
Durgadas
December 20, 2018 at 7:26 pm
মাওবাদীদের যারা তৈরি করেছে নিজের স্বার্থে তাঁরাই এর সমাধানে সক্ষম