খবরঅনলাইন ডেস্ক: বিহার বিধানসভায় ধুন্ধুমার। রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)-এর বিধায়কদের মারধর করে, টেনে-হিঁচড়ে বিধানসভার ভিতর থেকে বাইরে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। মাথায় চোট পেয়ে গুরুতর অসুস্থ বিধায়ক সতীশ কুমার। আহত হয়েছেন আরও কয়েক জন।
আরজেডি সুপ্রিমো তেজস্বী যাদব ও তাঁর ভাই তেজ প্রতাপ যাদবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবারের এই ঘটনা ঘিরে নিন্দার ঝড় উঠেছে নেটমাধ্যম থেকে রাজনৈতিক মহলে।
ঘটনার সূত্রপাত ‘বিহার স্পেশাল আর্মড পুলিশ বিল ২০২১’ ঘিরে। এই বিলে এমন ধারা রয়েছে, যাতে পুলিশ বিনা ওয়ারেন্টে শুধুমাত্র সন্দেহের বশেই কারও বাড়িতে তল্লাশি চালাতে পারে বা কাউকে গ্রেফতার করতে পারে। বিলের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিধানসভার অধিবেশন ব্যাহত করার চেষ্টা করেন বিরোধী আরজেডি-র বিধায়করা।
তার জেরে দফায় দফায় অধিবেশনের কাজ ব্যাহত হয়। শেষ পর্যন্ত বিরোধীরা ওয়াকআউট করার পর বিল পাশ হয়ে যায় বিধানসভায়। তার পরেও বিল প্রত্যাহারের দাবিতে স্পিকার বিজয়কুমার সিংহকে চেম্বারে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তেজস্বী যাদবের দলের বিধায়করা। দীর্ঘক্ষণ স্পিকার এ ভাবে আটকে থাকার পর ময়দানে নামে পুলিশ। কার্যত মারতে মারতে, কাউকে টেনে-হিঁচড়ে বাইরে বের করে দিতে শুরু করেন পুলিশকর্মীরা।
এই মারধরের একাধিক ভিডিও নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এক বিধায়ককে পিছন থেকে কিল-ঘুসি মারতে মারতে বাইরে বের করে দিচ্ছেন এক পুলিশকর্মী। স্ট্রেচারে করে বাইরে বের করতে হয় সতীশ কুমারকে। এ ছাড়া আরও কয়েক জন বিধায়ককে ধাক্কা দিয়ে, ঘুসি মারতে মারতে বাইরে বের করে আনার ছবি দেখা গিয়েছে নেটমাধ্যমে। মহিলা বিধায়কদের অবশ্য বের করা হয় মহিলা পুলিশ দিয়ে। তবে তাঁদের গায়ে হাত তোলা হয়নি।
এই প্রসঙ্গেই তেজস্বী বলেন, ‘‘আমরা কথা বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের মেরে বের করে দেওয়া হল। এই আইনের অর্থ, বিনা ওয়ারেন্টে তল্লাশি বা গ্রেফতার করতে পারবে পুলিশ। আদালত বা বিচারকের অনুমতিরও প্রয়োজন নেই। এই কালা কানুনের বিরুদ্ধেই আমরা প্রতিবাদ করছিলাম।’’
গোটা ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ কী ভাবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে এই ধরনের আচরণ করতে পারে, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।