মুম্বই: মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন মহাযুতির বিশাল জয়ের পরেও কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন তা নিয়ে রীতিমতো জলঘোলা চলছে। এনডিএ-র শরিক শিবসেনাকে তেতো বড়িটা বোধহয় গিলতেই হবে। এ বার আর তাদের নেতা একনাথ শিন্দের ভাগ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ জুটবে না। বিজেপি তাদের নেতা দেবেন্দ্র ফড়ণবীসকে মুখ্যমন্ত্রী করতে বদ্ধপরিকর।
একনাথ শিন্দেকে মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য শিবসেনার কোনো কোনো নেতা ‘বিহার মডেল’-এর উদাহরণ দিলেও মহারাষ্ট্র বিজেপি সেই প্রস্তাব নস্যাৎ করে দিয়েছে। বিহারে বিজেপির বেশি বিধায়ক থাকা সত্ত্বেও এনডিএ সেখানে জনতা দল (ইউনাইটেড) নেতা নীতিশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রীপদে বসায়।
‘বিহার মডেল’-এর আদলে মহারাষ্ট্রে কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করা প্রসঙ্গে বিজেপির মুখপাত্র প্রেম শুক্লা বলেন, এখানে দলের নেতৃত্ব এবং সংগঠন অনেক বেশি শক্তিশালী।
তিনি বলেন, বিহারে নির্বাচনী প্রচার চলার সময় বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল নীতিশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে। দল সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে। কিন্তু মহারাষ্ট্রে দল তো কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি যে ভোটে জিতলে শিবসেনার একনাথ শিন্দেকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে।
শুক্লা আরও বলেন, মহারাষ্ট্রে নির্বাচনী প্রচারের সময় বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব স্পষ্ট বলে দিয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন সেই বিষয়টি ফল ঘোষণার পরেই ঠিক হবে।
এর আগে শিব সেনার মুখপাত্র মুখপাত্র নরেশ মাশকে ‘বিহার মডেল’-এর দৃষ্টান্ত দিয়ে বুঝিয়েছিলেন, কেন একনাথ শিন্দেকে মুখ্যমন্ত্রীপদে রেখে দেওয়া উচিত।
২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিজেপি, শিবসেনা এবং অজিত পওয়ারের এনসিপিকে নিয়ে গঠিত মহাযুতি জোট ২৩০টি আসন দখল করেছে। তার মধ্যে বিজেপি একাই পেয়েছে ১৩২টি আসন। শিবসেনা ও এনসিপির আসনসংখ্যা যথাক্রমে ৫৭ ও ৪১। ফলে বিজেপি এনসিপির সমর্থন পেলেই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যা ১৪৫ আসন পার হয়ে যাবে, যা শিন্দের জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তুলেছে।