দেশ
মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসছে বিজেপি
শুক্রবার রাজস্থান বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসছে বিরোধী দল বিজেপি।

ওয়েবডেস্ক: প্রায় একমাসের নাটকীয় ঘটনাক্রমে ইতি পড়েছে। কংগ্রেসে ফিরে এসেছেন ‘বিদ্রোহী’ সচিন পাইলট (Sachin Pilot)। তবে আগামী শুক্রবার রাজস্থান বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসছে বিরোধী দল বিজেপি।
গত বুধবারই জৈসলমের থেকে জয়পুরে ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত শিবিরের বিধায়কেরা। বৃহস্পতিবার রাজস্থান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা গুলাবচাঁদ কাটারিয়া (Gulab Chand Kataria) জানান, মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত (Ashok Gehlot) সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে আসবে বিজেপি।
তিনি সংবাদ মাধ্যমের কাছে জানান, “আগামীকাল (শুক্রবার) আমরা বিধানসভায় অনাস্থা প্রস্তাব ( no-confidence motion) নিয়ে আসব। আমাদের শরিকরাও সমর্থন জানাবেন”।
অন্য দিকে ছয় বিএসপি বিধায়কের কংগ্রেসে মিশে যাওয়ার ঘটনার বিরুদ্ধে বিজেপি বিধায়ক মদন দিলওয়ারের মামলাটির শুনানি আগামী শুক্রবারেই হতে চলেছে রাজস্থান হাইকোর্টে। ছয় বিধায়ক সন্দীপ যাদব, ওয়াজিব আলি, দীপচাঁদ খেরিয়া. লক্ষণ মীনা, যোগেন্দ্র আওয়ানা এবং রাজেন্দ্র গুঢ়ার কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেছে বিজেপি। বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষা হলে তাঁরা ভোটাধিকার পাবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
খাতায়-কলেম দলগুলির বিধায়ক সংখ্যা
২০১৮ সালে বিধানসভার ভোট হয় রাজস্থানে। গত বছর একটি আসনে উপ-নির্বাচন হয়। খাতায়-কলমে কংগ্রেস এবং বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা যথাক্রমে ১০৭ এবং ৭২। অন্য দিকে জোটের পরিসংখ্যানে কংগ্রেস এবং বিজেপির দিকে রয়েছেন যথাক্রমে ১২৪ এবং ৭৬ জন বিধায়ক। তবে সেই অঙ্ক এখন ভিতরে ভিতরে অনেকটাই পরিবর্তিত। তবে দলের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রমূলক চক্রান্তের অভিযোগে দলীয় সদস্যপদ থেকে বরখাস্ত দুই বিধায়ক ভানওয়ার লাল শর্মা এবং বিশ্ববেন্দ্র সিংয়ের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছেন গহলৌত।
সূত্রের খবর, বেশ কয়েকজন কংগ্রেস বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে সচির বিদ্রোহ ঘোষণা করার পরেও অশোক গহলৌতের পক্ষে ১০২ জন বিধায়কের সমর্থন ছিল, যা সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে মাত্র একটা বেশি। কিন্তু বিএসপির ছ’জনকে বাদ দিলে সেই সংখ্যা ৯৬-এ নেমে আসতে পারে। ২০০ আসনের রাজস্থান বিধানসভায় বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭২। বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়ক এবং তিনজন নির্দল বিধায়ক মিলে সেই সংখ্যা ৯৭-এ পৌঁছাতে বলে অনুমান। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য ১০১টি আসনের থেকে তা কম!
এই সংক্রান্ত আরও খবর পড়তে পারেন এখানে: অশোক-সচিন দ্বৈরথ

খবরঅনলাইন ডেস্ক: বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দফার শুরুতেই হুলস্থুল কাণ্ড ঘটল সংসদে। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এমন কাণ্ড হল শুরুতেই, যে রাজ্যসভার অধিবেশন সকালে শুরু হওয়ার কয়েক মুহূর্তের মধ্যে মুলতুবি করে দিতে হল।
সভার শুরুতে কংগ্রেসের সাংসদরা পেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে সংসদে বিতর্কের জন্য স্লোগান দিতে থাকেন। পেট্রল, ডিজেল এবং রান্নার গ্যাসের দাম লাফিয়ে বেড়েছে সাম্প্রতিক অতীতে। যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছে বিরোধী দলের অনেক নেতানেত্রীকেই। সোমবার কলকাতায় পেট্রলের দাম ৯১.৩৫, ডিজেলের দাম ৮৪.৩৫। রান্নার গ্যাসের দাম ৮৪৫.৫০ টাকা।
রবিবার কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সমাবেশের দিন মমতা উত্তরবঙ্গ সফরে হাতিয়ার করেন পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিকেই। সেখানে গ্যাসের সিলিন্ডারের কাট আউট নিয়ে মিছিল করেন। তার পর এই হারে দাম বাড়া নিয়ে সরাসরি বেঁধেন মোদীকে।
সোমবার সংসদের অধিবেশনের শুরুতেই দেখা গেল বিরোধীদের কণ্ঠেও রান্নার তেল ও গ্যাসের দাম বাড়া নিয়ে প্রতিবাদের এক সুর। যার জেরে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এম বেঙ্কাইয়া নায়েডুকে বলতে হল, ‘‘প্রথম দিনই আমি কোনো চরম পদক্ষেপ করতে চাই না।’’
তার আগে অধিবেশনের শুরুতেই বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে বলেন, বাকি বিষয় বাদ রেখে শুধু পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়েই আলোচনা হোক। কিন্তু মল্লিকার্জুনের দাবি নস্যাৎ করে দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান।
এ দিকে ভোটের কথা মাথায় রেখে সংসদের অধিবেশন স্থগিত রাখার আবেদন জানান তৃণমূলের দুই সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ডেরেক চিঠিতে লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন সামনে। তাই সংসদের এই অধিবেশনে তৃণমূল সাংসদরা উপস্থিত থাকতে পারবেন না।” কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
টিকিট পেয়েও বিজেপিতে যাওয়ার জল্পনা, হাবিবপুর রাতারাতি প্রার্থী বদল করল তৃণমূল

খবরঅনলাইন ডেস্ক: যত দিন যাচ্ছে মহারাষ্ট্রের কোভিড পরিস্থিতি ততই খারাপ হচ্ছে। কার্যত লাগামছাড়া ভাবে সংক্রমণ বাড়ছে সেখানে। যদিও বাকি দেশের পরিস্থিতির আহামরি কিছু অবনতি হয়নি। গোটা দেশের নতুন রোগীর ৬০ শতাংশই এসেছে এই মহারাষ্ট্র থেকে। সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও ক্রমশ বেড়ে চলেছে উদ্বেগজনক ভাবে।
নতুন আক্রান্ত সাড়ে ১৮ হাজার
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ১২ লক্ষ ২৯ হাজার ৩৯৮। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৫৯৯ জন।
এ দিন ভারতে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১ লক্ষ ৮৮ হাজার ৭৪৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সক্রিয় রোগী বেড়েছে ৪,২২৪ জন। বর্তমানে দেশে ১.৬৮ শতাংশ কোভিডরোগী চিকিৎসাধীন।
দৈনিক সংক্রমণের হারের ওঠানামা
দেশে দৈনিক সংক্রমণের হার এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। কিন্তু কয়েকটি রাজ্যের কারণে সামগ্রিক ভাবে সেটা বাড়তে শুরু করেছে। সোমবার দেশে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫ লক্ষ ৩৭ হাজার ৭৬৪টি। এর ফলে দেশে দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ৩.৪৫ শতাংশ।
এ দিকে ৮ মার্চ পর্যন্ত ভারতে মোট ২২ কোটি ১৯ লক্ষ ৬৮ হাজার ২৭১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর বিপরীতে এখন ৫.০৫ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এই সংক্রমণের হার আগামী দিনে আরও কমবে এই আশা করাই যায়।
সংক্রমণ কোথায় কেমন
গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ১৪১ জন। এই রাজ্যের সংক্রমণ বাড়তে বাড়তে মাত্রাছাড়া জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে। তবে দেশের বাকি অংশে কিছুটা হলেও সংক্রমণ কমেছে। কেরলে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২১০০ জন, যা সেখানকার পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ারই লক্ষ্মণ।
এর বাইরে এখন সব থেকে বেশি চিন্তার কেন্দ্রবিন্দু পঞ্জাব (১,০৪৩), কর্নাটক (৬২২) এবং মধ্যপ্রদেশ (৪২৯)। রাজস্থান (১৭৬) এবং হরিয়ানাও (৩০৫) চিন্তা বাড়াচ্ছে। তবে পরিস্থিতির নতুন করে অবনতি হয়নি তামিলনাড়ু (৫৬৭), দিল্লি (২৮৬) এবং পশ্চিমবঙ্গে (১৮৮)।
সুস্থ হলেন ১৪ হাজারের একটু বেশি
তবে আক্রান্তের সংখ্যায় বৃদ্ধি আসা মানে স্বাভাবিক ভাবে ধীরে ধীরে সুস্থতার সংখ্যাতেও বৃদ্ধি আসা। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ২৭৮ জন সুস্থ হয়েছেন দেশে। এর ফলে দেশে এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থ হলেন ১ কোটি ৮ লক্ষ ৮২ হাজার ৭৯৮ জন। দেশে সুস্থতার হার বর্তমানে ৯৬.৯৫ শতাংশ।
মৃতের সংখ্যা একশোর কম
মহারাষ্ট্রে সংক্রমণ লাগামছাড়া ভাবে বাড়লেও মৃতের সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে কমই রয়েছে। এর ফলে দেশে মৃতের সংখ্যাও রেকর্ড করা হচ্ছে একশোর নীচেই। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে মৃত্যু হয়েছে ৯৭ জনের। এর ফলে এখনও পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৮৫৩ জন। দেশে এখন মৃত্যুহার ১.৪১ শতাংশ রয়েছে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
রাজ্যের পাঁচ জেলায় সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা দশের কম
দেশ
১০০ মাস লাগলেও কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে: প্রিয়ঙ্কা গান্ধী
এ নিয়ে পঞ্চম বার কৃষক মহাপঞ্চায়েতে বক্তব্য রাখলেন প্রিয়াঙ্কা। উল্লেখ্য, তিন কৃষি আইন ইস্যুতে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে ২৮টি জেলায় কিষান পঞ্চায়েত করছে কংগ্রেস।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: আন্দোলনরত কৃষকদের হাল না ছাড়ার বার্তা দিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। রবিবার কৃষক আন্দোলন শততম দিনে পা রাখল। সেই উপলক্ষ্যে উত্তরপ্রদেশের মেরঠে কৃষক মহাপঞ্চায়েতে প্রিয়ঙ্কা বলেন, যদি ১০০ সপ্তাহ বা ১০০ মাস ধরেও এই বিক্ষোভ চলে, কৃষকদের পাশে থেকে লড়াই চালাবে কংগ্রেস।
এ নিয়ে পঞ্চম বার কৃষক মহাপঞ্চায়েতে বক্তব্য রাখলেন প্রিয়াঙ্কা। উল্লেখ্য, তিন কৃষি আইন ইস্যুতে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে ২৮টি জেলায় কিষান পঞ্চায়েত করছে কংগ্রেস।
প্রিয়ঙ্কা আরও বলেন, “এটা মেরঠ। এখান থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম বিদ্রোহের সূচনা হয়েছিল। এখান থেকেই শুরু হয়েছিল স্বাধীনতা সংগ্রাম। কারা সেই সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিল? কারা দেশকে মুক্ত করেছিল? দেশের কৃষকরাই।”
ব্রিটিশ শাসকদের সঙ্গে বিজেপি সরকারের তুলনা করে প্রিয়ঙ্কা বলেন, “ব্রিটিশদের মতো বিজেপি সরকারও কৃষকদের শোষণ করছে। তারা এমন তিনটে আইন নিয়ে এসেছে, যার ফলে আপনারা আপনাদের ফসলের ন্যায্য দাম পাবেন না।” এই আইনের ফলে বড়ো বড়ো শিল্পপতি এবং মজুতদাররা সুবিধা পাবে বলেও অভিযোগ করেন প্রিয়ঙ্কা।
এ দিকে, দিল্লি লাগোয়া সীমানায় কৃষক বিক্ষোভ এখনও চলছে। এই প্রেক্ষিতে আরও এক কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনা সামনে এল। টিকরি সীমানার কাছে হরিয়ানার হিসার জেলার বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের এক কৃষক আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর দেহ মেলে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
‘দলে থেকে কাজ করতে পারতাম না’, বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন অসমের মন্ত্রী
-
রাজ্য2 days ago
কেন তড়িঘড়ি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ তৃণমূলের, সরব পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য
-
রাজ্য3 days ago
বিধান পরিষদ গঠন করে প্রবীণদের স্থান দেওয়া হবে, প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বললেন মমতা
-
রাজ্য2 days ago
লড়াই মুখোমুখি! নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
রাজ্য2 days ago
অস্বস্তি বাড়াচ্ছে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ, কলকাতাতেও বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা