ওয়েবডেস্ক: নির্দেশের পর নির্দেশ। আর তাতেই আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে কাশ্মীর উপত্যকার সাধারণ মানুষের মধ্যে। এই আতঙ্ক দেখে শেষ পর্যন্ত রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক অভয় দিয়ে বলেছেন, “আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য প্রশাসন কাশ্মীরি জনগণের বিরুদ্ধে কিছু করবে না।”
শনিবার জম্মু-কাশ্মীর সরকারের পক্ষ থেকে একগাদা নির্দেশ জারি করা হয় – হাসপাতালগুলিকে ওষুধ মজুত রাখতে বলা হয়, চিকিৎসাব্যবস্থার সঙ্গে যাঁরা জড়িত তাঁদের শীতের ছুটি বাতিল করা হয়, জ্বালানি রেশনের নির্দেশ দেওয়া হয়, এবং সন্ধের মধ্যে সমস্ত খাদ্যশস্য বিক্রি করার নির্দেশ দেওয়া হয় রেশন দোকানগুলিকে।
জামাত-ই-ইসলামি নেতাদের ব্যাপক ধরপাকড় এবং উপত্যকায় আরেক প্রস্ত নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন করার পর এই সব নির্দেশ জারি করা হয়।
ফলে এই নির্দেশাবলিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন উপত্যকার সাধারণ মানুষ। তাঁরা রেশন দোকান, ওষুধের দোকান, পেট্রোল পাম্পে ছুটে যাক প্রয়োজনীয় সব কিছু ঘরে মজুত রাখার জন্য।
আরও পড়ুন জইশের সদর দফতর দখলের কারণ পুলওয়ামা হামলা নয়, জানাল পাকিস্তান
এই সব দেখে রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক জানিয়েছেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। দ্য সানডে এক্সপ্রেসকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য প্রশাসন কাশ্মীরি জনগণের বিরুদ্ধে কিছু করবে না।” তিনি বলেন, “কেন্দ্র বার বার বলেছে যে সব কাশ্মীরি পাকিস্তানের হাতের পুতুল হয়ে খেলছে শুধু তাদের বিরুদ্ধেই আমাদের লড়াই।
পরে সন্ধের মধ্যে সমস্ত খাদ্যশস্য বিক্রি করার নির্দেশ প্রত্যাহার করা হয়। আর সরকারি আধিকারিকরা বলেছেন, ছুটি বাতিল করা আর অতিরিক্ত নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন করা লোকসভা নির্বাচনের আগে রুটিন ব্যাপার।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, শীতের মাসগুলিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য যাতে অযথা কেউ মজুত করে না রাখে এবং রাজ্যের দুর্গম অঞ্চলগুলিতে সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিকঠাক রাখা জায় তার জন্যই এই সব ‘নির্ভেজাল প্রশাসনিক ব্যবস্থা’ নেওয়া হয়েছে।
অবসরপ্রাপ্ত আমলারা বলেছেন, এক দিনে কেন এতগুলো নির্দেশ জারি করা দরকার হয়ে পড়ল, সেটা প্রশাসনের তরফে ব্যাখ্যা করে দেওয়ার প্রয়োজন ছিল।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।