দেশ
করোনাকালের শেষ পাঁচ মাসে সাইকেলের বিক্রি বেড়ে দ্বিগুণ!
গত পাঁচ মাসে এ দেশে সাইকেলের বিক্রি দ্বিগুণ পরিমাণে বেড়েছে। পরিংসখ্যানে চোখ বোলালেই স্পষ্ট-

খবর অনলাইন ডেস্ক: কোভিড-১৯ মহামারির জেরে উদ্বেগ বেড়েছে স্বাস্থ্যসুরক্ষায়, একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সাইকেলের বিক্রি। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে মাঝারি থেকে স্বল্প দূরত্বের কর্মস্থলে যেতে গণপরিবহণের বিকল্প হিসেবে একটা বড়ো অংশের মানুষ নির্ভর করছেন এই সাইকেলের উপরেই।
সাইকেল নির্মাতা সংস্থাগুলির সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পাঁচ মাসে এ দেশে সাইকেলের বিক্রি দ্বিগুণ পরিমাণে বেড়েছে। যা নীচের পরিংসখ্যানে চোখ বোলালেই স্পষ্ট-
তিন মাসে সাইকেল বিক্রি
১. মে- ৪,৫৬,৮১৮ টি
২. জুন-৮,৫১,০৬০ টি
৩. সেপ্টেম্বর-১১,২১,৫৪৪ টি
কী বলছে সংস্থাগুলি?
সাইকেল নির্মাতা সংস্থাগুলির সংগঠন অল ইন্ডিয়া বাই-সাইকেল ম্য়ানুফ্য়াকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (AICMA) পরিসংখ্যান-সহ জানিয়েছে, শেষ পাঁচ মাসে এ দেশে মোট ৪১ লক্ষ ৮০ হাজার ৯৪৫ টি সাইকেল বিক্রি হয়েছে।
এআইসিএমএ-র সাধারণ সম্পাদক কেবি ঠাকুর জানিয়েছেন, “সম্ভবত ইতিহাসে এই প্রথম বার সাইকেল বিক্রিতে এ জাতীয় প্রবণতা দেখা যাচ্ছে”। কোথাও কোথাও চাহিদা পূরণেও নির্মাতা এবং বিক্রেতাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
পাশাপাশি তিন বলেন, “এই পাঁচ মাসে সাইকেলের বিক্রি বেড়েছে একশো শতাংশেরও বেশি। অনেক জায়গায় পছন্দের সাইকেল কেনার জন্য ক্রেতাকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে, কোথাও কোথাও অগ্রিম বুকিং-ও করতে হচ্ছে”।

বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, ১০ হাজার টাকা অথবা তার থেকেও বেশি মূল্যে সাইকেল বিকোচ্ছে। ঠাকুরের কথায়, করোনাভাইরাস মহামারি সাধারণ মানুষকে নিজের স্বাস্থ্যসুরক্ষা এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পর্কে আরও বেশি করে সচেতন করে তুলেছে। একই সঙ্গে শারীরিক দূরত্বের বিষয়টিও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে বিকল্প হিসেবে অনেকই সাইকেল বেছে নিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, সাধারণ বাই-সাইকেলের পাশাপাশি ব্যাটারি-চালিত সাইকেলের কদরও অনেকটাই বেড়েছে এই সময়কালে। বিশেষত, আনলক পর্যায় শুরু হওয়ার পর এই চাহিদা আগের থেকে বেড়ে গিয়েছে।
শুধু নতুন সাইকেল নয়!
শুধু যে নতুন সাইকেলের বিক্রি বাড়ছে, তেমনটা নয়। অবহেলা-অযত্নে পড়ে থাকা সাইকেল ঝেড়েপুছে নিজের গন্তব্যে পৌঁছোচ্ছেন অনেকেই। সময় লাগছে কিছুটা বেশি, কায়িক পরিশ্রমও করতে হচ্ছে, কিন্তু খরচ এবং স্বাস্থ্যসুরক্ষার দিক থেকে সুরাহা মিলছে।
পড়ুয়াদের দেওয়া পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের ‘সবুজ সাথী‘ সাইকেল চালিয়েও রাস্তায় নজরে পড়ছেন অভিভাবকরা। স্কুল বন্ধ, ফলে কাজে যাওয়ার ভরসা হয়ে উঠেছে ‘অলস’ হয়ে পড়ে থাকা এই সাইকেল-ও!
দেশ
দিল্লি মেট্রো স্টেশনে আচমকা অসুস্থ এক যাত্রী, ভিডিয়োয় দেখুন এক সিআইএসএফ জওয়ান কী ভাবে তাঁর জীবন বাঁচালেন
আচমকা মাথা ঘুরে পড়ে গেলেন এক যাত্রী, সিপিআর করে তাঁকে সুস্থ করলেন এক সিআইএসএফ জওয়ান।

নয়াদিল্লি: দিল্লির মেট্রো স্টেশনে আচমকা অচৈতন্য হয়ে পড়েছিলেন এক বছর পঁয়তাল্লিশের ব্যক্তি। তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে তাঁকে বাঁচিয়ে রীতিমতো নায়ক হিসেবে প্রশংসিত এক সিআইএসএফ জওয়ান।
সোমবার রাজধানীর জনকপুরী এলাকার ডাবরি মোড় স্টেশনে নিরাপত্তারক্ষীরা যখন যাত্রীদের পরীক্ষা করছিলেন, সে সময়ই সংজ্ঞা হারান ওই ব্যক্তি। সেখানেই ছিলেন ওই জওয়ান। টলতে টলতে প্ল্যাটফর্মে পড়ে যাওয়া ব্যক্তির বুকে চাপ দিয়ে সিপিআর শুরু করে দেন। অচৈতন্য হয়ে যাওয়া কোনো ব্যক্তির বুকের উপর এই চাপাচাপি করাকে কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন (Cardiopulmonary resuscitation) বা সংক্ষেপে সিপিআর (CPR) বলা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই সময় ডিউটিতে ছিলেন বিকাশ নামের ওই কনস্টেবল। যাত্রীকে পড়ে যেতে দেখে তিনি তৎক্ষণাৎ সিপিআর শুরু করে দেন। কিছুক্ষণের মধ্যে সম্বিৎ ফিরে আসে ওই যাত্রীর।
সিআইএসএফ-এর তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কনস্টেবল লক্ষ্য করেন, ওই যাত্রী অচৈতন্য হয়ে পড়েছেন। আচমকা পড়ে যাওয়ার কারণে তাঁর মুখে আঘাত লাগে। তাৎক্ষণিক ভাবে জওয়ান ওই যাত্রীর সিপিআর শুরু করেন”।
সিআইএসএফ-এর টুইটার হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়োও পোস্ট করা হয়েছে।
চেতনা ফিরে পাওয়ার পরে, ওই যাত্রী জানান, তাঁর নাম সত্যনারায়ণ। তিনি দিল্লির জনকপুরীর বাসিন্দা। পরে দিল্লি মেট্রো রেল পুলিশ একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে বাড়িতে পৌঁছে দেন।
আরও পড়তে পারেন: ‘শাশুড়ির’ প্রতি এতটাই ভালোবাসা যে ১১ বউমা মিলে তৈরি করে ফেলেছেন ‘শাশুড়ির মন্দির’, নিয়মিত চলে পুজোপাঠ
দেশ
‘শাশুড়ির’ প্রতি এতটাই ভালোবাসা যে ১১ বউমা মিলে তৈরি করে ফেলেছেন ‘শাশুড়ির মন্দির’, নিয়মিত চলে পুজোপাঠ
শাশুড়ির মূর্তি মোড়া সোনার অলঙ্কারে। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এ ধরনের খবর অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য ঠেকতেই পারে।

খবর অনলাইন ডেস্ক: শাশুড়ির সঙ্গে বউমাদের এমন একটি সুন্দর বন্ধনের কথা শুনে আপনি অবাকই হবেন। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এ ধরনের খবর অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য ঠেকতেই পারে। কিন্তু ছত্তীসগঢ়ের বিলাসপুরে এমনটাই ঘটেছে।
প্রায়শই শাশুড়ির সঙ্গে বউমার সম্পর্কের টানাপোড়েন অথবা ঝগড়াঝাটি নিয়ে প্রকাশিত খবর অথবা টেলিভিশন ধারাবাহিক দেখতে দেখতে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। তবে এখানে পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা।
আয়োজন অনেক
বিলাসপুরে বসবাসকারী ১১ জন বউমা নিজেদের শাশুড়ির উদ্দেশে মন্দির তৈরি করেছিলেন। পাশাপাশি সুন্দর একটি মূর্তি বানিয়ে সেটাকে সোনার গয়নায় সুসজ্জিতও রেখেছেন তাঁরা। সেখানে নিত্যদিন পুজোও হয়। মাসে একবার সকলে একত্রিত হয়ে ভজন-কীর্তনও করেন বউমারা।
বিলাসপুর জেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে বিলাসপুর-কোরবা মার্গে রতনপুর গ্রাম রয়েছে। সেখানে মহামায়া দেবীর একটি মন্দির রয়েছে, যা ২০১০ সাল থেকে নির্মিত হয়েছিল। এই মন্দিরটি গীতাদেবী নামে এক মহিলার। যিনি ২০১০ সালে মারা যান। এই মন্দিরটি তাঁর ১১ জন বউমার তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয়েছিল।
শাশুড়ির মূর্তি মোড়া সোনার অলঙ্কারে
গীতাদেবীর একটি মূর্তি রয়েছে ওই মন্দিরে। সেটাতে সোনার গয়নায় সজ্জিত করেছেন তাঁর বউমারা। সেই মূর্তিটি নিয়মিত পুজো করা হয়। এ ছাড়া মাসে এক দিন ভজন-কীর্তনেরও আয়োজন করা হয়।
টাইমস নাও-এর একটি প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে এই খবর। বলা হয়েছে, রতনপুর গ্রামে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শিবপ্রসাদ তম্বোলির যৌথ পরিবারের বসবাস। ২০১০ সালে তাঁর স্বর্গীয় স্ত্রী গীতাদেবীর এই মন্দির তৈরি হয়। এই পরিবারে ৩৯ জন সদস্য রয়েছেন। গীতাদেবীর মৃত্যুর শোক আজও ভুলতে পারেনি তাঁর পরিবার।
পরিবারের সমস্ত পুত্রবধূ উচ্চ শিক্ষিত
শোনা যায়, বউমাদের নিজের মেয়ের মতোই ভালোবাসতেন গীতাদেবী। যে কারণে তাঁর মৃত্য়ুর পর বউমারা শাশুড়ির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়টিতে নিয়মিতকরণ করতে এই মন্দিরটি তৈরি করেন।
গীতাদেবীর নিজের তিন এবং দেওরের মিলিয়ে বউমার সংখ্যা ১১। তাঁরা প্রত্যেকেই উচ্চ শিক্ষিত। সকলেই স্নাতকোত্তর এবং তাঁরা পারিবারিক ব্যবসায়ের সঙ্গে যুক্ত।
আরও পড়তে পারেন: শিল্পী – স্বপ্ন – শঙ্কা: সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে যেমন দেখেছি, ৮৭তম জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য
দেশ
কারা টিকে নিতে পারবেন না, জানিয়ে দিল ভারত বায়োটেক
এই সংক্রান্ত একটি ফ্যাক্ট শিট প্রকাশ করা হয়েছে

খবরঅনলাইন ডেস্ক: যাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই কম, সুস্থ থাকার জন্য প্রচুর ওষুধ খেতে হয় কিংবা, শরীরে বাসা বেঁধেছে কোনো একটি রোগ, তাঁদের কোভ্যাক্সিন (COVAXIN) নিতে নিধেষ করল ভারত বায়োটেক(Bharat Biotech)। মঙ্গলবার সংস্থাটির তরফে এই সংক্রান্ত একটি ফ্যাক্ট শিট প্রকাশ করা হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত দ্বিতীয় দফার টিকাকরণে ৩.৮ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ৫৮২ জনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। পাশাপাশি অভিযোগ উঠেছে, করোনা টিকা নেওয়ার পরই মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। সেই মৃত্যু যে টিকার কারণেই হয়েছে, এই যুক্তি মানতে নারাজ কেন্দ্রীয় সরকার।
সোমবার বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, করোনা টিকা নেওয়ার কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে এই তথ্য সম্পূর্ণ ভুল। তবে টিকা নেওয়ার পর ৭ জন অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাঁরা এখন চিকিৎসাধীন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক প্রথমে জানিয়েছিল, যাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাঁরা টিকা নিতে পারবেন। তবে এই টিকা তাদের শরীরে কতটা প্রভাব ফেলবে তাই নিয়ে আশঙ্কা ছিল প্রথম থেকেই।
যদিও ভারত বায়োটেক কিন্তু এক্কেবারেই ঝুঁকি নিতে রাজি নয়। ‘কোভ্যাক্সিন’-এর নির্মাতারা আরও জানিয়েছে যে, যাঁরা করোনা ছাড়া অন্য গুরুতর অসুখে অসুস্থ, অ্যালার্জির শিকার, অন্তঃস্বত্তা, তাঁরাও এই টিকা নিতে পারবেন না।
টিকা নিতে অ্যালার্জি হতে পারে, সেই আশঙ্কা আগেই জানিয়েছিল ভারত বায়োটেক। এ দিন তারা আরও জানিয়েছে যে টিকার পর হতে পারে শ্বাস নেওয়ার কষ্ট। গলা ও মুখ ফুলে যেতে পারে, র্যাশ ও ঝিমুনি আসতে পারে। তবে সেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হাই ডোজের ওষুধ খেলে যা যা হয়, ঠিক সে রকমই। এতে ভয়ের কিছু নেই বলেও আশ্বাস দিয়েছে সংস্থাটি।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
২০৯ দিন পর কলকাতায় দৈনিক কোভিড সংক্রমণ নামল একশোর নীচে
-
রাজ্য17 hours ago
বুধবার রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ
-
দেশ2 days ago
মহারাষ্ট্র-কেরলে সংক্রমিত ৮০৮৬ বাকি দেশে মাত্র ৫০৭২, ২৩ মে’র পর সব থেকে কম দৈনিক মৃত্যু ভারতে
-
রাজ্য2 days ago
দক্ষিণবঙ্গে দু’ দিনের জন্য তাপমাত্রা বাড়লেও ফের ফিরবে শীত, উত্তরের পাহাড়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা
-
ফুটবল2 days ago
এগিয়ে থেকেও ড্র করে পয়েন্ট খোয়াল এটিকে মোহনবাগান