হায়দরাবাদ: অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু নিজেই নিজেকে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেভন্ত রেড্ডির বাড়িতে দেখা করার জন্য আমন্ত্রণ জানালেন। শপথগ্রহণের দিক কয়েকে মধ্যে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিজেপির জোট সঙ্গী চন্দ্রবাবুর দেখা করতে চাওয়ায়, রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন তৈরি হয়েছে।
এই আমন্ত্রণের প্রেক্ষিতে নানা জল্পনা উঠে আসছে। কেউ মনে করছেন, দুই রাজ্যের মধ্যে প্রকল্পগুলিতে সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এ ব্যাপারে চন্দ্রবাবুও ইঙ্গিত দিয়েছেন তাঁর আমন্ত্রণের চিঠিতে।
চিঠিতে চন্দ্রবাবু লিখেছেন, “ইতিমধ্যে ১০ বছর হয়ে গিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে তেলেঙ্গানা গঠিত হওয়ার পর। পুনর্গঠন আইন থেকে উদ্ভূত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একাধিক আলোচনা হয়েছে, যা উভয় রাজ্যের কল্যাণ এবং অগ্রগতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের উচিত এই বিষয়গুলি শান্তিপূর্ণভাবে এবং যত্ন সহকারে সমাধান করা। এই প্রেক্ষিতে, আমি প্রস্তাব করছি যে আমরা ৬ জুলাই শনিবার বিকেলে আপনার বাড়িতে মিলিত হই।”
তিনি আরও লিখেছেন, “আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে মুখোমুখি বৈঠক আমাদেরকে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে বিস্তৃতভাবে আলোচনা করার সুযোগ করে দেবে। যা অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানার জন্য পারস্পরিকভাবে লাভজনক সমাধানগুলি অর্জন করতে সহায়তা করবে। আমি নিশ্চিত যে আমাদের আলোচনাগুলি ফলপ্রসূ ফলাফল নিয়ে আসবে।”
তেলেঙ্গানা গঠনের পরে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তার মুখ্যমন্ত্রীর জন্য একটি জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে যখন হায়দরাবাদকে যৌথ রাজধানী হিসাবে ভাগ করে নেওয়ার ১০ বছরের সময়সীমা শেষ হচ্ছে।
অন্ধ্রপ্রদেশ এখনও রাজ্যের জন্য রাজধানী তৈরি করতে পারেনি। নাইডুর অমরাবতী প্রকল্প গত পাঁচ বছর ধরে স্থবির হয়ে আছে, কারণ তার পূর্বসূরি জগন মোহন রেড্ডি এ নিয়ে কোনও উদ্যোগই নেননি।
চন্দ্রবাবুর কাছে রাজনৈতিক ভাবে এই সাক্ষাৎকার গুরুত্বপূর্ণ হবে। ভোটে জেতার পর এর মাধ্যমে নিজের গুরুত্বকেও প্রতিবেশী রাজ্যে তুলে ধরতে পারবেন। এর ফলে গত এক দশক ধরে তেলেঙ্গানায় নিজের দল তেলেগু দেশম পার্টির বিস্তারে যে চেষ্টা করছেন, তা অনেকটাই মসৃণ হবে।
তবে দুই নেতার একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ট পরিচিতি রয়েছে। কংগ্রেসে যোগদানের আগে রেড্ডি তেলেগু দেশম পার্টির সদস্য ছিলেন এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন।