দেশ
দেশে করোনার নতুন সংক্রমণ প্রায় ১৩ হাজারে, মহারাষ্ট্র আর কেরলেই ৭৫ শতাংশ
নতুন করে আক্রান্ত ১২ হাজারেরও বেশি

খবরঅনলাইন ডেস্ক: দেশের দু’টি রাজ্য বাদে করোনা পরিস্থিতি এক্কেবারেই স্থিতিশীল রয়েছে। কিন্তু কেরল আর মহারাষ্ট্রে সংক্রমণ বাড়ছে বলে ভারতের গ্রাফটাও ফের উঠে গিয়েছে। সক্রিয় রোগীর সংখ্যাতেও বৃদ্ধি এসেছে। পাশাপাশি মৃতের সংখ্যাও ফের একবার ১০০ পেরিয়ে গিয়েছে, যার ৪০ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছে মহারাষ্ট্রে।
নতুন আক্রান্ত ১২ হাজারেরও বেশি
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৯ লক্ষ ৫০ হাজার ২০১। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৮৮১ জন।
এ দিন ভারতে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩৪২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সক্রিয় রোগী বেড়েছে ৭৯৩ জন। বর্তমানে দেশে ১.২৫ শতাংশ কোভিডরোগী চিকিৎসাধীন।
দৈনিক সংক্রমণের হারের ওঠানামা
দেশের সামগ্রিক সংক্রমণ ব্যাপক ভাবে ওঠানামা করছে। এর ফলে দৈনিক সংক্রমণও এক জায়গায় থিতু হচ্ছে না। সে ১ থেকে ২ শতাংশের মাঝামাঝি ঘোরাফেরা করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে ৭ লক্ষ ২৬ হাজার ৫৬২টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর ফলে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ১.৭৭ শতাংশ।
এ দিকে, ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভারতে মোট ২০ কোটি ৮৭ লক্ষ ৩ হাজার ৭৯১টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর বিপরীতে এখন মাত্র ৫.২৪ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এই সংক্রমণের হার আগামী দিনে আরও কমবে এই আশা করাই যায়।
সংক্রমণ কোথায় কেমন?
গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের নিরিখে প্রথম স্থানে ছিল কেরল (৪,৮৯২) ও দ্বিতীয় স্থানে মহারাষ্ট্র (৪,৭৮৭)। বেশ কয়েক মাস ধরে কেরল আর মহারাষ্ট্রের মধ্যে পার্থক্যটা অনেকটা বেশি থাকলেও সম্প্রতি সেটা কাছাকাছি এসে গিয়েছে। এটা কেরলের কাছে কিছুটা স্বস্তির ব্যাপার হলেও মহারাষ্ট্রের কাছে উদ্বেগের।
তবে দেশের বাকি অংশে পরিস্থিতিতে নেতিবাচক কোনো পরিবর্তন হয়নি। বাকি অঞ্চলগুলির মধ্যে সব থেকে বেশি সংক্রমণ গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড করা হয়েছে তামিলনাড়ু (৪৫৪), কর্নাটক (৩৭৮), ছত্তীসগঢ় (৩১১), গুজরাত (২৭৮), মধ্যপ্রদেশ (২৫১)।
সুস্থ হলেন ১২ হাজারের একটু কম
দৈনিক সুস্থতার সংখ্যাটিতে বিশেষ কোনো পরিবর্তন হয়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৯৮৭ জন। এর ফলে এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ কোটি ৬ লক্ষ ৫৬ হাজার ৮৪৫ জন। দেশে এখন সুস্থতার হার রয়েছে ৯৭.৩৩ শতাংশ।
১৫টি অঞ্চলে মৃত্যু নেই
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে মহারাষ্ট্রে। এর ফলে এখনও পর্যন্ত ভারতে মৃত্যু হল ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ১৪ জনের। ভারতে এখন মৃত্যুহার ১.৪২ শতাংশের আশেপাশে রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ১৫টি অঞ্চলে কোভিডে কারও মৃত্যু হয়নি। এই অঞ্চলগুলি হল দিল্লি, ওড়িশা, জম্মু-কাশ্মীর, ঝাড়খণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, ত্রিপুরা, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, লাদাখ, সিকিম, আন্দামান, মিজোরাম, দাদরা ও দমনদিউ এবং লাক্ষাদ্বীপ।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
মেঘলা আকাশ, ঠান্ডা হাওয়াকে সঙ্গী করে দক্ষিণবঙ্গে ফের পারদ-পতন
দেশ
Corona Update: এক ধাক্কায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যায় প্রায় ১ লক্ষের বৃদ্ধি, তবে দৈনিক মৃত্যুহার ০.৫৩ শতাংশ
শীঘ্রই সংক্রমণ কমতে শুরু করবে, এটাই এখন আশা দেশবাসীর।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: করোনার ভয়াবহ রূপ অব্যাহত রয়েছে ভারতে। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়ে সোমবার ভারতে সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ ঘটে গেল। অনেকটাই বেড়ে গেল দৈনিক সংক্রমণও। এর মধ্যে ভারতের ১৮টি রাজ্যে দৈনিক সন্রমন চার অংকে রয়েছে। তবু এখনও স্বস্তি দিচ্ছে মৃত্যুহার। করোনার মারণ ক্ষমতা দ্বিতীয় ঢেউয়ে অনেকটাই কম, সেটা বার বার প্রমাণিত হচ্ছে।
সক্রিয় রোগী বাড়ল প্রায় ৯৩ হাজার
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) তথ্য অনুযায়ী সোমবার ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৩৫ লক্ষ ২৭ হাজার ৭১৭। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৯১২।
এ দিন ভারতে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১২ লক্ষ ১ হাজার ৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সক্রিয় রোগী বেড়েছে ৯২ হাজার ৯২২ জন। বর্তমানে দেশে ৮.৮৮ শতাংশ কোভিডরোগী চিকিৎসাধীন।
দৈনিক সংক্রমণের হার অনেকটাই বেশি
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে টেস্ট হয়েছে ১১ লক্ষ ৮০ হাজার ১৩৬টি। এর বিপরীতে সংক্রমণের হার ছিল ১৪.২৮ শতাংশ। এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্রে সংক্রমণের হার ২৪ শতাংশ রয়েছে। ছত্তীসগঢ়েও সংক্রমণের হার ২৫ শতাংশের আশেপাশে। এ ছাড়া দেশের বাকি অংশে সংক্রমণের হার তাও কিছুটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে।
এর পরেও একটা কথা বলতেই হয়। গত বছর জুলাই-আগস্টে একটা সময় ভারতের দৈনিক সংক্রমণের হার ১৭ শতাংশে উঠে গিয়েছিল। সংক্রমণের চলতি ঢেউ কিন্তু এখনও সেই জায়গায় চলে যায়নি।
সংক্রমণ কোথায় কেমন
মহারাষ্ট্র এবং পঞ্জাবে দৈনিক সংক্রমণে বৃদ্ধিটা কিছুটা থিতু হচ্ছে বলা মনে করা হচ্ছে। কিন্তু বাকি রাজ্যে তা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ১৮টি রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ চার অঙ্কের বেশি ছিল। তার হিসেব দেওয়া হল নীচে।
১) মহারাষ্ট্র -৬৩,২৯৪
২) উত্তরপ্রদেশ – ১৫,২৭৬
৩) দিল্লি – ১০,৭৭৪
৪) ছত্তীসগঢ় – ১০,৫২১
৫) কর্নাটক – ১০,২৫০
৬) কেরল – ৬,৯৮৬
৭) তামিলনাড়ু – ৬,৬১৮
৮) মধ্যপ্রদেশ – ৫,৯৩৯
৯) গুজরাত – ৫,৪৬৯
১০) রাজস্থান – ৫,১০৫
১১) পশ্চিমবঙ্গ – ৪,৩৯৮
১২) বিহার– ৩,৭৫৬
১৩) অন্ধ্রপ্রদেশ – ৩,৪৯৫
১৪) হরিয়ানা – ৩,৪৪০
১৫) তেলঙ্গানা – ৩,১৮৭
১৬) পঞ্জাব– ৩,০৩৯
১৭) ঝাড়খণ্ড ২,২৯৬
১৮) উত্তরাখণ্ড ১,৩৩৩
সুস্থ হলেন ৭৫ হাজার
রবিবার একদিনে দেশে দৈনিক সুস্থতা ৯০ হাজার পেরিয়ে গিয়েছিল। সোমবার সেটা অনেকটাই কমে ৭৫ হাজারে নেমে এসেছে। ঠিক সেই কারণেই সক্রিয় রোগীর সংখ্যায় ব্যাপক বৃদ্ধি এসেছে। তবে পরিস্থিতি যেই দিকে এগোচ্ছে, অল্প কিছুদিনের মধ্যে দৈনিক সুস্থতা এক লক্ষের গণ্ডি পেরিয়ে যাবে। দেশে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১ কোটি ২১ হাজার ৫৬ হাজার ৫২৯ জন। দেশে এখন সুস্থতার হার ৮৯.৮৬ শতাংশ রয়েছে।
স্বস্তি দিচ্ছে মৃত্যুহার
সংক্রমণ ক্রমশ রেকর্ড তৈরি করলেও দৈনিক মৃত্যুহার প্রথম ঢেউয়ের থেকে অনেকটাই কম রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিডের কারণে মারা গিয়েছেন ৯০৪। অর্থাৎ দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক মৃত্যুহার ছিল ০.৫৩ শতাংশ। দেশে এখনও পর্যন্ত মোট মারা গিয়েছেন ১ লক্ষ ৭০ হাজার ১৭৯ জন। সামগ্রিক ভাবে দেশের মৃত্যুহার বর্তমানে কমে হয়েছে ১.২৬ শতাংশ।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
দেশ
Kumbh Mela 2021: করোনাবিধিকে শিকেয় তুলে এক লক্ষ মানুষের সমাগম, আজ কুম্ভের প্রথম শাহি স্নান হরিদ্বারে
অসহায় পুলিশ। শারীরিক দূরত্ববিধি মানতে বলা কার্যত অসম্ভব।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: গত বছর এই সময়ই দিল্লির একটা ঘটনা সামনে এসে গিয়েছিল। করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য এক শ্রেণির মানুষ সেই ঘটনাটিকেই দায়ী করেছিলেন। সেটি ছিল তবলিগি জামাতের একটি জমায়েত। ব্যাপারটা নিয়ে এতটাই জলঘলা হয়েছিল যে ওই জামাতে অংশগ্রহণকারীদের সরাসরি দেশদ্রোহীর তকমাও দেওয়া শুরু হয়ে যায়। ব্যাপারটাকে এমন ভাবে প্রচার করা হয় যে সেই জামাতের জন্যই দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে।
ঠিক পরের বছর। দেশে দাপট কমে গিয়েও ফের দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে ফিরে এসেছে করোনাভাইরাস। সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ের চূড়া ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি আর কতটা ভয়াবহ হবে আন্দাজ করাই যাচ্ছে না। এর মধ্যে কুম্ভমেলা শুরু হয়েছে হরিদ্বারে। সোমবার তার প্রথম শাহি স্নান।
স্বাস্থ্যবিধিকে কোনো তোয়াক্কা করছে না কেউ। দিল্লি, মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব এমনকি উত্তরপ্রদেশও যেখানে ধর্মীয় স্থানে জমায়েত আপাতত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে, তখন রবিবার সন্ধ্যায় হরিদ্বারের হর কী পৌড়ীতে দেখা গেল কমপক্ষে এক লক্ষ মানুষের জমায়েত। স্বাস্থ্যবিধি পালন করতে দেখা গিয়েছে গুটিকয়েক পুণ্যার্থীকে। বেশির ভাগই মাস্কহীন।
বেশির ভাগ পুণ্যার্থীই মনে করছেন হরিদ্বারে কোভিড কোনো সমস্যাই নয়, কারণ এখন রাজ্যে প্রবেশ করতে গেলে আরটি-পিসিআরের নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। যদিও তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১,৩৩৩ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন এই রাজ্যে, যা এখনও পর্যন্ত উত্তরাখণ্ডের ক্ষেত্রে দৈনিক সর্বোচ্চ। এর মধ্যে হরিদ্বারে নতুন করে আক্রান্ত ৩৮২।
হরিদ্বারের বিভিন্ন ঘাটে মাইকে সমানে ঘোষণা হচ্ছে করোনাবিধি পালন করার জন্য। মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে চলার কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু পুণ্যার্থীরা সে কথা শুনবেন কেন! তাঁদের অনেকেই মনে করেন, গঙ্গায় ডুব দিলে করোনার টিকিও তাঁদের ছুঁতে পারবে না।
পুণার্থীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যে কার্যত অসম্ভব, অসহায় ভাবেই সেই কথা মেনে নিয়েছেন মেলার পুলিশ আধিকারিক এসকে গুনজিয়াল। তিনি বলেন, “ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা ভীষণ চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। রাজ্য এবং কেন্দ্র থেকে এসওপি জারি করা হয়েছে, হরিদ্বারে প্রবেশ করতে গেলে করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দেখা যাক কী হয়।”
পুলিশ অসহায়, কিন্তু সাধারণ মানুষের কোনো কিছুতেই তোয়াক্কা নেই। হরিদ্বারে এই বিপুল সমাগমের অনুমতি দেওয়ার জন্য কোনো খেসারত রাজ্য সরকারকে দিতে হয় কি না, সেটা আগামী তিন চার সপ্তাহের মধ্যেই বোঝা যাবে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
দেশ
Coronavirus Second Wave: স্বস্তির খবর এল পঞ্জাব থেকে, নতুন সংক্রমণকে ছাড়াল সুস্থতা, কমল সক্রিয় রোগী
পঞ্জাবে সংক্রমণ চূড়ায় পৌঁছে যাওয়ার ইঙ্গিত।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সবার আগে চূড়ায় পৌঁছোবে পঞ্জাবে, আর সেটা হবে এপ্রিলের মাঝামাঝি। বিশেষজ্ঞদের সেই দাবি মিলে যাবে কি না, সেটা তো সময়ই বলবে কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় পঞ্জাবে এমন কিছু ব্যাপার হয়েছে যা কিছুটা হলেও প্রশাসনকে স্বস্তি দিচ্ছে।
এই রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যাকে ছাপিয়ে গিয়েছে সুস্থতার সংখ্যা। এর ফলে সামান্য হলেও কমেছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। পাশাপাশি, দেশের বেশিরভাগ রাজ্যে সংক্রমণের হার যখন দশ শতাংশের কাছাকাছি, সেই দিক থেকেও পঞ্জাব অনেকটাই স্বস্তি দিচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় পঞ্জাবে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩৯ জন। কিন্তু সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ১২১ জন। দেশে বড়ো রাজ্যগুলির মধ্যে একমাত্র পঞ্জাবেই গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতা ছাড়িয়ে গেল দৈনিক সংক্রমণকে। তবে এর মধ্যে রাজ্যে দৈনিক মৃত্যু প্রশাসনকে চিন্তায় রাখছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে যা দৈনিক সংক্রমণের বিচারে ১.৯৪ শতাংশ। গোটা দেশে যেখানে দৈনিক সংক্রমণের বিচারে মৃত্যুহার কোথাও কোথাও ০.৫ শতাংশেরও কম, সেখানে পঞ্জাবের এই তথ্য রীতিমতো চিন্তার। এই মৃত্যুর সংখ্যা এবং সুস্থতার সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেশ কিছুটা কমে ২৭ হাজারের ঘরে নেমে এসেছে।
গত কয়েক দিন ধরেই পঞ্জাবে দৈনিক সংক্রমণ ৩ হাজারের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। বেশিরভাগ রাজ্যে যেখানে সংক্রমণ ৪ হাজার, ৫ হাজার ছাড়িয়ে যাচ্ছে, সেখানে পঞ্জাবের পরিস্থিতি কিছুটা স্বস্তিদায়ক। ফলে পঞ্জাব সংক্রমণ দ্বিতীয় চূড়ার কাছাকাছি এসে গিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও এই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে আরও কিছুদিন দৈনিক সংক্রমণের ওপরে নজর রাখতে হবে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
-
রাজ্য2 days ago
Bengal Polls Live: সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়ল ৭৫ শতাংশের বেশি
-
বিদেশ2 days ago
Coronavirus Infection: কোনো বস্তু থেকে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা ১০ হাজারে মাত্র ১, জানাল মার্কিন সিডিসি
-
রাজ্য2 days ago
Bengal Polls 2021: কোচবিহারে ৩ দিনের জন্য রাজনীতিবিদদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করল নির্বাচন কমিশন
-
রাজ্য2 days ago
Bengal Polls 2021: বাহিনীর গুলিতে হত ৪, শীতলকুচি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়