মণিপুরের জিরিবাম জেলায় একের পর এক হিংসার ঘটনায় উত্তপ্ত গোটা এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় সরকার ৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী (CAPF) মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে একটি বিশেষ দল খুব শীঘ্রই অশান্ত এলাকা পরিদর্শন করবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই বিষয়ে টানা দু’দিন বৈঠক করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার মণিপুরের ছয়টি থানা এলাকায় বিতর্কিত আইন আফস্পা (আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট) পুনরায় কার্যকর করা হয়েছে। হিংসাত্মক ঘটনার জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মণিপুরে সম্প্রতি কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে পুরোনো সংঘাত আবার বাড়ছে। এক বছর আগে শুরু হওয়া এই লড়াই দুই সম্প্রদায়কে সম্পূর্ণ আলাদা করে দিয়েছে। হিংসার প্রথম পর্বে জিরিবাম জেলায় সংঘাতের আঁচ পড়েনি। সম্প্রতি সেখানে নিরাপত্তা বাহিনী এবং কুকি জঙ্গিদের গুলি বিনিময় হয়।
জিরিবামে সম্প্রতি তিন নারী ও তিন শিশুকে অপহরণের পাঁচ দিন পর তাদের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুরো রাজ্যে বিক্ষোভ শুরু হয়। প্রতিবাদের সময় এক ২১ বছর বয়সি যুবক গুলিতে নিহত হন। প্রতিবাদকারীদের দাবি, পুলিশ গুলি চালানোর সময় ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
অন্য একটি ঘটনায়, সিআরপিএফের সঙ্গে সংঘর্ষে ১০ জন সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গি নিহত হয়েছে। নিহতদের “গ্রাম রক্ষী” বলে দাবি করে কুকি সম্প্রদায় হাসপাতাল ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছে।
রাজনৈতিকভাবে মণিপুরের পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। বিজেপি সরকারকে সমর্থন করা ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (NPP) তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করেছে। তাদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের সরকার সংকট মোকাবিলায় পুরোপুরি ব্যর্থ। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানী ইম্ফলে বিজেপি এবং শরিক দলগুলির বিধায়কদের জরুরি বৈঠকে ডেকেছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী।