দেশ
দুর্যোগ মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৬ রাজ্যের জন্য ৪,৩৮২ কোটি টাকা বরাদ্দের অনুমোদন কেন্দ্রের
উম্পুনের জন্য পশ্চিমবঙ্গকে ২,৭০৭.৭৭ কোটি টাকা সাহায্যের ঘোষণা করল কেন্দ্র।

নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন একটি উচ্চ-পর্যায়ের কমিটি পশ্চিমবঙ্গ-সহ ছ’রাজ্যের জন্য দুর্যোগ মোকাবিলায় ৪,৩৮২ কোটি টাকা বরাদ্দের অনুমোদন দিল।
ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও ধসের মোকাবিলায় ছ’টি রাজ্যের জন্য এই অর্থ বরাদ্দে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং সিকিম।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকেই ছ’টি রাজ্যের জন্য এই ৪,৩৮১.৮৮ কোটি টাকা বরাদ্দের অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এর মধ্যে রয়েছে ঘূর্ণিঝড় উম্পুনের ক্ষয়ক্ষতির জন্য আর্থিক সহযোগিতাও।
উম্পুনের জন্য পশ্চিমবঙ্গকে ২,৭০৭.৭৭ কোটি টাকা সাহায্যের ঘোষণা করল কেন্দ্র। অন্যদিকে এই খাতে ওড়িশা পাবে ১২৮.২৩ কোটি টাকা। আবার ঘূর্ণঝড় নিসর্গের ক্ষয়ক্ষতি লাঘবে মহারাষ্ট্র সরকারের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ২৬৮.৫৯ কোটি টাকা।
পাশাপাশি বন্যা এবং ধসের মুখে পড়ে কর্নাটকের জন্য ৫৭৭.৮৪ কোটি, মধ্যপ্রদেশের জন্য ৬১১.৬১ কোটি এবং সিকিমের জন্য ৮৭.৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কমিটি।
উম্পুনের পর পশ্চিমবঙ্গ সফরে এসেছিলেন প্রদানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি গত ২৩ মে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা সফর করেন। তাৎক্ষণিক ভাবে ১ হাজার কোটি টাকা সাহায্যের ঘোষণা করেছিলেন তিনি। এ দিন উম্পুনের জন্য প্রায় ২,৭০০ কোটি বরাদ্দ হলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে ধারণা করছেন রাজ্যের শাসকদলের উচ্চ নেতৃত্ব।

তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় ডিজিটাল আনন্দবাজারের কাছে বলেন, “রাজ্য সরকার সমস্ত ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করে কেন্দ্রের কাছে ১ লক্ষ ২ হাজার কোটি টাকা দাবি করেছিল। কিন্তু দু’দফায় মিলিয়ে মোট ৩ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা দিল। এটা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম”।
প্রসঙ্গত, গত ২০ মে সুন্দরবনের সাগর দ্বীপের কাছে উপকূলে আছড়ে পড়েছিল অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় উম্পুন। প্রায় ১৮৫ কিলোমিটার গতিবেগের ওই ঝড়ে কার্যত লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা-সহ রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা। বিস্তারিত পড়ুন এখানে ক্লিক করে: ঘূর্ণিঝড় উম্পুন
আরও পড়তে পারেন: শুভেন্দুকে তৃণমূলের ‘সতর্কবার্তা’র কথা অস্বীকার শিশির অধিকারীর
দেশ
এ বার সিকিমে সংঘর্ষে জড়াল ভারত আর চিনের সেনা, আহত বেশ কয়েকজন
ঘটনার পর বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি থমথমে

খবরঅনলাইন ডেস্ক: গলওয়ানে ভারত এবং চিনা সেনার সংঘর্ষের রেশ কাটেনি এখনও। এর মধ্যেই এ বার সিকিম সীমান্তে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল দুই দেশের বাহিনীর জওয়ানরা। এই সংঘর্ষে দুই পক্ষেরই বেশ কয়েকজন জওয়ান জখম হয়েছেন বলে খবর।
গত সপ্তাহে এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর সিকিম সীমান্তের নাকু লা (Naku La)-এ। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে গলওয়ানের কায়দাতেই সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা চালিয়েছিল চিনা সেনা। খারাপ আবহাওয়ার সুযোগে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল তারা।
কিন্তু ভারতীয় বাহিনী প্রবল বাধা দিলে দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট বেধে যায়। অন্তত কুড়ি জন চিন সেনা আহত হন বলে জানা গিয়েছে। ভারতীয় বাহিনীর বাধায় তারা পিছু হঠতে বাধ্য হন। ঘটনায় ভারতের চার জন জওয়ান আহত হয়েছেন।
ঘটনার পর বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। লাদাখে ভারত আর চিনের বাহিনীর মধ্যে সাম্প্রতিককালে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষে ঘটনা ঘটলেও তুলনামূলক ভাবে শান্ত ছিল সিকিম। এখন সেখানেই এই ধরনের ঘটনা ঘটে যাওয়ায় ভারত-চিন সম্পর্ক যে অন্য মাত্রা নিল তা বলাই বাহুল্য।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
নারকেলডাঙার ছাগলপট্টিতে আগুন, হতাহতের খবর নেই
দেশ
কৃষক আন্দোলনে যোগ দেওয়া কংগ্রেস সাংসদ আক্রান্ত সিংঘুতে, পাগড়ি খুলে মারধরের অভিযোগ
নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গোটা ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন এই সাংসদ।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: সম্প্রতি সিংঘুতে এক মুখোশধারী ব্যক্তির ধরা পড়া নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই ব্যক্তির দাবি ছিল চার কৃষক নেতাকে খুন করতে সিংঘুতে গিয়েছিল সে। যদিও দিল্লি পুলিশ দাবি করে কৃষক নেতাদের চাপে পরে না কি এই সব বলেছিল ওই ব্যক্তি।
তবে এই ঘটনার রেশ থাকার মধ্যেই খবর এল যে আন্দোলনে যোগ দেওয়া কংগ্রেসের এক সাংসদ আক্রান্ত হয়েছেন। পাগড়ি খুলে নিয়ে তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করে ফেলতে চেয়েছিল বলেও দাবি করেছেন ওই নেতা। তাঁর গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় বলে জানা গিয়েছে।
রবিবার সিংঘু সীমানায় গুরু তেগবাহাদুরজি মেমোরিয়ালে ‘জন সংসদ’ সভায় যোগ দিতে যান লুধিয়ানার সাংসদ রবনীত সিংহ বিট্টু (Ravneet Singh Bittu)। সেখানেই তাঁর উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ।
নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করে রবনীত জানিয়েছেন, অমৃতসরের কংগ্রেস সাংসদ গুরজিত সিংহ আউজলা এবং দলের বিধায়ক কুলবীর সিংহ জিরার সঙ্গে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। সেখানে তাঁর ওপর চড়াও হয় একদল দুষ্কৃতী। প্রথমে টেনে তাঁর পাগড়ি খুলে নেওয়া হয়। তার পর বেধড়ক মারধর শুরু হয়।
সেই সময় দলের লোকজন রবনীতকে নিরাপদে গাড়িতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন, যাতে বেরিয়ে যেতে পারেন তিনি। কিন্তু তিনি গাড়িতে উঠলে লাঠিসোটা নিয়ে তাঁর এসইউভি-র উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। সামনে-পিছনে গাড়ির সব কাচ ভেঙে দেওয়া হয়।
রবনীতের উপর পরিকল্পনামাফিক হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন গুরজিত এবং কুলবীরও। তবে কে বা কারা হামলা চালিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। উল্লেখ্য, রবনীত পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিয়ন্ত সিংহের নাতি। ১৯৯৫ সালে খুন হন বিয়ন্ত।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
কৃষকদের উসকে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে পাকিস্তান, দাবি দিল্লি পুলিশের
দেশ
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থেকেই দেওয়া যাবে ভোট, ‘রিমোট ভোটিং’-এর পরিকল্পনা নির্বাচন কমিশনের
পড়াশোনা, চিকিৎসা অথবা কর্মসূত্রে বাইরে থাকার ফলে প্রতি নির্বাচনেই হাজার হাজার মানুষ ভোটদান থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হন।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: দেশের যে কোনো প্রান্তেই থাকুন না কেন, ভবিষ্যতে ভোটের দিন নিজের কেন্দ্রে ছুটে আসতে হবে না। এই মর্মে, ‘রিমোট ভোটিং’-এর বন্দোবস্ত করছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। দ্রুত এর মহড়া শুরু হবে। উন্নত প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এই ব্যবস্থা হবে।
রবিবার এই ‘রিমোট ভোটিং’ (Remote Voting) পরিকল্পনার কথা জানান মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। নির্বাচন কমিশনের প্রতিষ্ঠা দিবস ২৫ জানুয়ারি, সেই উপলক্ষ্যে প্রতি বছর এই দিনটি জাতীয় ভোটার দিবস হিসাবে পালন করা হয়। সেই উপলক্ষ্যেই এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন অরোরা।
তিনি বলেন, “রিমোট ভোটিংয়ের বিষয়টি গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে। আইআইটি মাদ্রাজ এবং আরও বেশ কিছু সংগঠন তাতে যুক্ত রয়েছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে কাজ ভালোই এগোচ্ছে। খুব শীঘ্র এর মহড়াও শুরু হবে।”
পড়াশোনা, চিকিৎসা অথবা কর্মসূত্রে বাইরে থাকার ফলে প্রতি নির্বাচনেই হাজার হাজার মানুষ ভোটদান থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হন। যে কেন্দ্রে নাম নথিভুক্ত রয়েছে, সেখানকার নির্দিষ্ট বুথে গিয়েই যে হেতু ভোট দেওয়া নিয়ম, তাই বিভিন্ন অসুবিধার জন্য ভোট দিতে আসা হয় না।
সেই কারণেই এমন উদ্যোগ কমিশনের। এই উদ্যোগ সফল হলে দেশের যে কোনো প্রান্তে বসে যে কোনো অঞ্চলের ভোটার ভোট দিতে পারবেন।
উল্লেখ্য, কোভিড পরিস্থিতিতেই সম্প্রতি বিহারে নির্বাচন করিয়েছে কমিশন। তাতে ভালোই সাড়া মিলেছে। সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মানুষদের একই ভাবে নির্ভয়ে কারও দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে ভোট দিতে আসার আর্জি জানিয়েছেন অরোরা।
২০১৮ সালে সি-ভিজিল অ্যাপ চালু করেছিল কমিশন। এর মাধ্যমে কোথাও নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হলে, সরাসরি কমিশনকে রিপোর্ট করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। নির্বিঘ্নে, শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে এমন আরও পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে কমিশন।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
রাজ্যে আসতে পারে এক লক্ষ আধা সেনা
-
হাওড়া3 days ago
বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করল তৃণমূল
-
বিনোদন3 days ago
বাজেটের আগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ মাল্টিপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের, সঙ্গে সানি দেওল
-
প্রবন্ধ2 days ago
‘কয়েকটা টাকার বিনিময়ে নেতাজির স্মৃতি ধুলোয় মিশিয়ে দেব?’, বলেছিলেন পদমবাহাদুর
-
কলকাতা2 days ago
ভিক্টোরিয়ায় একসঙ্গে মোদী-মমতা