১ এপ্রিল থেকে পেঁয়াজের উপর আরোপিত ২০ শতাংশ রফতানি শুল্ক প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রান্নাঘরের অন্যতম প্রধান উপাদান পেঁয়াজের উপর এই বিধিনিষেধ আরোপের প্রায় দেড় বছর পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
ভোক্তা বিষয়ক দফতরের সুপারিশের ভিত্তিতে রাজস্ব দফতর এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য কৃষকদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার পাশাপাশি ক্রেতাদের জন্য পেঁয়াজের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা বলে জানিয়েছে ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রক।
কবে রফতানি শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল?
২০২৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে পেঁয়াজের উপর ২০ শতাংশ রফতানি শুল্ক আরোপ করা হয়।
সরকার কেন রফতানি শুল্ক আরোপ করে?
দেশীয় বাজারে স্থিতিশীল সরবরাহ নিশ্চিত করতে রফতানি শুল্ক ও অন্যান্য বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। এর আগে পেঁয়াজের ঘাটতি এড়াতে ৮ ডিসেম্বর ২০২৩ থেকে ৩ মে ২০২৪ পর্যন্ত রফতানিতে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল, পরে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়।
রফতানি শুল্ক ক্রেতার উপর কী প্রভাব ফেলে?
যখন কোনো পণ্যের রফতানি শুল্ক আরোপ করা হয়, তখন তা দেশীয় বাজারে বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়, যার ফলে তার মূল্য তুলনামূলক ভাবে কমে আসে এবং সাধারণ ক্রেতাদের জন্য তা আরও সাশ্রয়ী হয়।
এই সিদ্ধান্ত কৃষকদের উপর কী প্রভাব ফেলবে?
সরকার রফতানি শুল্ক প্রত্যাহার করায় কৃষকদের উৎপাদিত পেঁয়াজ আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছাবে এবং তারা আরও ভালো মূল্য পেতে পারেন।
উল্লেখযোগ্য যে, রফতানির উপর বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও চলতি অর্থবছরের ১৮ মার্চ পর্যন্ত মোট ১১.৭ মিলিয়ন টন পেঁয়াজ রফতানি হয়েছে।
এদিকে, ফসল ওঠার কারণে প্রধান উৎপাদনকারী রাজ্যগুলিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে। এশিয়ার বৃহত্তম পাইকারি বাজার মহারাষ্ট্রের লাসালগাঁও ও পিম্পলগাঁও-এ ২১ মার্চ পেঁয়াজের দাম ছিল প্রতি কুইন্টাল যথাক্রমে ১,৩৩০ টাকা ও ১,৩২৫ টাকা।
সারা দেশে গড় পাইকারি মূল্য গত এক মাসে ৩৯ শতাংশ কমেছে, আর খুচরা বাজারে মূল্যপ্রতি ১০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে বলে মন্ত্রকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।