ডোকলাম নিয়ে বিরোধের আবহেই মোদীর নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসায় চিন

0

বেজিং: ডোকলাম নিয়ে দু’ দেশের অবিরাম তীক্ষ্ণ চাপানউতোরের মধ্যেই অপ্রত্যাশিত ভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ‘উদার বিদেশ-আর্থিক নীতির’ ভূয়সী প্রশংসা করল চিন।

সরকারি সংবাদসংস্থা জিনহুয়া এক ভাষ্যে মন্তব্য করেছে, “ভারত সক্রিয় ভাবে বিদেশি লগ্নি টেনে আনছে। লগ্নি করার মতো উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করেছে এবং গত দু’ বছরে বিশ্বে প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নির সব চেয়ে বড়ো গন্তব্য হয়ে উঠেছে।” একই সঙ্গে জিনহুয়া বলেছে, ভারত ও চিনের মধ্যে শক্তিশালী বাণিজ্য-সহযোগিতা এবং তাদের উদার বাণিজ্যনীতি বিশ্ব জুড়ে খোলামেলা বাণিজ্যের সহায়ক হবে এবং বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সংরক্ষণনীতিকে ঠেকিয়ে রাখতে পারবে।

জিনহুয়া ওই ভাষ্যে বলেছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত এক সক্রিয় বিদেশ নীতি গ্রহণ করেছে, বিদেশি বিনিয়োগ নীতির সংস্কার করেছে এবং দেশীয় সংস্থাগুলি যাতে আন্তর্জাতিক বাজারে অংশ নিতে পারে তার জন্য উৎসাহ জোগাচ্ছে।

ডোকলাম পরিস্থিতি নিয়ে চিন বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারত সম্পর্কে কড়া কড়া মন্তব্য করছে। এরই মধ্যে জিনহুয়ার এই উচ্ছ্বসিত প্রশংসা এক অপ্রত্যাশিত ব্যতিক্রম। তবে এতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। চিনের এই আচরণে পরিষ্কার বোঝা যায়, কিছু কিছু ব্যাপারে কড়া মনোভাব দেখালেও, যে সব বিষয়ে নিজেদের স্বার্থ জড়িত, সে সব বিষয়ে, বিশেষ করে অর্থনৈতিক ইস্যুতে ভারতের পাশে দাঁড়াতে চিনের কোনো দ্বিধা নেই। চিন চায়, অর্থনৈতিক দিক থেকে যে সব রাষ্ট্র উঠে আসছে তাদের বক্তব্য প্রকাশের সুযোগ দিতে বিশ্বজনীন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির সংস্কার এবং পশ্চিমের দেশগুলিতে বিশ্বায়নের বিরুদ্ধে যে মনোভাব গড়ে উঠছে তার বিরোধিতা করা।

জিনহুয়ার ভাষ্যে বলা হয়েছে, “যখন বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সংরক্ষণবাদ ক্রমশই বাড়ছে তখন চলতি বিশ্বে ভারতের উদার বিদেশ-আর্থিক নীতি একটা গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হয়ে উঠছে। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি ইতিবাচক ও উদার বিদেশ-আর্থিক নীতি গ্রহণ করেছে এবং খোলামেলা বিদেশ বাণিজ্য নীতির গুরুত্বপূর্ণ সমর্থক হয়ে উঠেছে।” এই মন্তব্য করে জিনহুয়া বলেছে, চিন-ভারত সহযোগিতা বিশ্ব অর্থনীতির খোলামেলা ভাবকে আরও কার্যকর ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

dailyhunt

খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল

বিজ্ঞাপন