জম্মু ও কাশ্মীরের ২০২৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) জোট এগিয়ে রয়েছে। দুপুর ১টা পর্যন্ত, কংগ্রেস-এনসি জোট ৫২টি আসনে এগিয়ে ছিল। এটি ২০১৪ সালের পর প্রথম বিধানসভা নির্বাচন এবং ২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর রাজ্যে প্রথম নির্বাচন।
অন্যদিকে, বিজেপি ২৭টি আসনে এগিয়ে রয়েছে এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি) মাত্র দুটি আসনে এগিয়ে রয়েছে। পিডিপি ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর বিজেপির সঙ্গে জোট করেছিল, তবে ২০১৮ সালে এই জোট ভেঙে যায়।
এছাড়াও, ৯টি আসনে নির্দল প্রার্থীরা শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।
কংগ্রেস-এনসি জোটে কংগ্রেসের অবস্থা তুলনামূলক দুর্বল। ৩৯টি আসনে লড়াই করে কংগ্রেস মাত্র ৮টিতে এগিয়ে আছে। অন্যদিকে, এনসি ৫৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৪৩টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে এনসি মাত্র ১৫টি আসন পেয়েছিল।
তবে এবার জোর ধাক্কা খেয়েছে পিডিপি। দলটি ২০১৪ সালে ২৮টি আসন পেয়েছিল, কিন্তু এবার মাত্র দুটি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
কংগ্রেস ও বিজেপি প্রায় তাদের পুরনো ফলাফলের কাছাকাছি এগোচ্ছে, যেখানে কংগ্রেস ১২টি এবং বিজেপি ২৫টি আসনে এগিয়ে।
হরিয়ানায় বড় জয় নিয়ে হ্যাটট্রিকের পথে বিজেপি, আত্মবিশ্বাসে ধাক্কা কংগ্রেসের
এখনও পর্যন্ত ঘোষিত ভাবে, এনসি ও বিজেপি নির্বাচনে প্রথম জয়লাভ করেছে। এনসি-র নজির আহমদ খান ও সালমান সাগর যথাক্রমে গুরেজ ও হাজারতবল আসনে জয়ী হয়েছেন, অন্যদিকে বিজেপির রণবীর পাঠানিয়া ও দর্শন কুমার উদমপুর পূর্ব ও বসোলি আসনে জয়ী হয়েছেন।
এই নির্বাচনে ৯০টি নির্বাচিত আসন এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা কর্তৃক মনোনীত ৫টি আসনের মধ্যে লড়াই চলছে। নির্বাচনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, কংগ্রেস-এনসি জোটের সামান্য এগিয়ে থাকার সম্ভাবনা ছিল। তিনটি এক্সিট পোলের গড় ফলাফল অনুযায়ী কংগ্রেস-এনসি ৪৩টি আসন, বিজেপি ২৬টি আসন এবং পিডিপি ৪ থেকে ১২টি আসন পেতে পারে।
এক্সিট পোলের হিসাব অনুযায়ী, জম্মু ও কাশ্মীরে একটি ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হতে পারে, যেখানে সরকার গঠনের জন্য ৪৬টি আসন প্রয়োজন। তবে, বর্তমান ফলাফল অনুযায়ী কংগ্রেস-এনসি জোট কোনো সমস্যা ছাড়াই সরকার গঠনের দাবি জানাতে পারবে।