দেশ
সভাপতিপদে থেকে যাওয়ার জন্য রাহুলকে রাজি করাতে কার্যত শেষ চেষ্টা কংগ্রেসের

নয়াদিল্লি: লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর সেই যে সভাপতিপদ ছাড়ার গোঁ ধরেছেন রাহুল গান্ধী, সেখান থেকে এখনও তাঁকে টলানো যায়নি। দলের নেতাকর্মীদের তরফ থেকে বার্তা পেলেও, রাহুল এখনও সভাপতিত্ব ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে নাছোড়বান্দা। এই পরিস্থিতিতে কার্যত শেষ চেষ্টা হিসেবে বিশেষ পদক্ষেপ করতে চলেছে কংগ্রেস নেতৃত্ব।
সোমবার কংগ্রেসশাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করবেন রাহুল গান্ধী। এই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রীদের তরফে রাহুলকে সভাপতি হিসেবে থেকে যাওয়ার জন্য বার্তা দেওয়া হবে। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং, রাজস্থানের অশোক গহলৌত, মধ্যপ্রদেশের কমল নাথ, ছত্তীসগঢ়ের ভুপেশ বাঘেল এবং পুদুচেরির ভি নারায়ণস্বামী। পাশাপাশি বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বরেরও।
আরও পড়ুন গৃহস্থের ঘরে স্বস্তির বার্তা দিল রান্নার গ্যাসের দাম
ঠিক কী কারণে এই বৈঠকে বসা হচ্ছে, সে ব্যাপারে সরকারি ভাবে কিছু না জানা গেলেও, সূত্রের খবর, গত ডিসেম্বরে ভালো ফল করা গোবলয়ের রাজ্যগুলিতে লোকসভায় কংগ্রেসের এ রকম ভরাডুবি কেন হল, এই ব্যাপারেই আলোচনা করা হতে পারে। পাশাপাশি গত কয়েক দিন ধরে যে ভাবে কংগ্রেসে গণইস্তফা চলছে সে ব্যাপারেও আলোচনা করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, দলের কয়েক জন নেতার কাজকর্মে ক্ষুব্ধ রাহুল গান্ধী। দলের ওপরে পুরোপুরি তাঁর নিয়ন্ত্রণ নেই, এমনই মনে করেন তিনি আর তাই সভাপতিত্ব ছেড়ে দিতে চান। গত ২৫ মে দলের নির্বাচন-পরবর্তী প্রথম ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে কমল নাথ এবং অশোক গহলৌতের মতো নেতাদের ব্যাপারে উষ্মা প্রকাশও করেছিলেন রাহুল। যে ভাবে দলের কথা না ভেবে নিজেদের ছেলেদের কথা বেশি ভাবছেন কমল, গহলৌত, সেই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
দেশ
Coronavirus Second Wave: স্বস্তির খবর এল পঞ্জাব থেকে, নতুন সংক্রমণকে ছাড়াল সুস্থতা, কমল সক্রিয় রোগী
পঞ্জাবে সংক্রমণ চূড়ায় পৌঁছে যাওয়ার ইঙ্গিত।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সবার আগে চূড়ায় পৌঁছোবে পঞ্জাবে, আর সেটা হবে এপ্রিলের মাঝামাঝি। বিশেষজ্ঞদের সেই দাবি মিলে যাবে কি না, সেটা তো সময়ই বলবে কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় পঞ্জাবে এমন কিছু ব্যাপার হয়েছে যা কিছুটা হলেও প্রশাসনকে স্বস্তি দিচ্ছে।
এই রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যাকে ছাপিয়ে গিয়েছে সুস্থতার সংখ্যা। এর ফলে সামান্য হলেও কমেছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। পাশাপাশি, দেশের বেশিরভাগ রাজ্যে সংক্রমণের হার যখন দশ শতাংশের কাছাকাছি, সেই দিক থেকেও পঞ্জাব অনেকটাই স্বস্তি দিচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় পঞ্জাবে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩৯ জন। কিন্তু সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ১২১ জন। দেশে বড়ো রাজ্যগুলির মধ্যে একমাত্র পঞ্জাবেই গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতা ছাড়িয়ে গেল দৈনিক সংক্রমণকে। তবে এর মধ্যে রাজ্যে দৈনিক মৃত্যু প্রশাসনকে চিন্তায় রাখছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে যা দৈনিক সংক্রমণের বিচারে ১.৯৪ শতাংশ। গোটা দেশে যেখানে দৈনিক সংক্রমণের বিচারে মৃত্যুহার কোথাও কোথাও ০.৫ শতাংশেরও কম, সেখানে পঞ্জাবের এই তথ্য রীতিমতো চিন্তার। এই মৃত্যুর সংখ্যা এবং সুস্থতার সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেশ কিছুটা কমে ২৭ হাজারের ঘরে নেমে এসেছে।
গত কয়েক দিন ধরেই পঞ্জাবে দৈনিক সংক্রমণ ৩ হাজারের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। বেশিরভাগ রাজ্যে যেখানে সংক্রমণ ৪ হাজার, ৫ হাজার ছাড়িয়ে যাচ্ছে, সেখানে পঞ্জাবের পরিস্থিতি কিছুটা স্বস্তিদায়ক। ফলে পঞ্জাব সংক্রমণ দ্বিতীয় চূড়ার কাছাকাছি এসে গিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও এই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে আরও কিছুদিন দৈনিক সংক্রমণের ওপরে নজর রাখতে হবে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
দেশ
Coronavirus Second Wave: মহারাষ্ট্র লকডাউনের পথে গেলেও সংক্রমণের দাপট কিছুটা থিতু হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে
লকডাউন হলে ধসে পড়বে অর্থনীতি।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: সম্ভবত সম্পূর্ণ লকডাউনই ঘোষিত হতে চলেছে মহারাষ্ট্রে। এমনই ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে। তবে সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত বুধবার ১৪ এপ্রিলের পর নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে একটা বিষয় সামনে আসছে। সেটা হল সংক্রমণ উত্তরোত্তর বাড়লেও তার দাপট কিছুটা থিতু হওয়ার ইঙ্গিতই দিচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩ হাজার ২৯৪ জন। এখনও পর্যন্ত এটাই মহারাষ্ট্রের সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ। কিন্তু এত মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন বিপুল পরিমাণে টেস্টের বিপরীতে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই রাজ্যে মোট টেস্ট হয়েছিল ২ লক্ষ ৬৩ হাজার ১৩৭টি। অর্থাৎ নতুমা পরীক্ষার বিচারে রাজ্যে সংক্রমণের হার ছিল ২৪.০৫ শতাংশ।
এই সংক্রমণের হারটাই কিছুটা আশার আলো দেখাতে শুরু করেছে। দিন দশেক রাজ্যে মহারাষ্ট্রে সংক্রমণের হার বেড়ে ২৮ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। কিন্তু গত কয়েকদিন হল সেটি ২৩-২৪ শতাংশের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। এমনকি মার্চের শেষে বেশ কয়েক দিন ধরে সংক্রমণের হার যে ২৫ শতাংশের ওপরে ছিল, সেটাও এখন সামান্য হলেও কমেছে।
বিশেষজ্ঞরা বার বার টেস্ট বাড়ানোর কথা বলছেন। টেস্ট বাড়লে সংক্রমণের হার কমতে বাধ্য। সাধারণত এই সংক্রমণের হারকে পাঁচ শতাংশের নীচে নিয়ে এলে বলা যায় যে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে এসেছে। মহারাষ্ট্রের ক্ষেত্রে সেটা এখনই সম্ভব না হলেও সংক্রমণের হার একটু একটু কমে কমবে তেমনটা আশা করাই যায়।
মহারাষ্ট্রে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মূলত যে জায়গাগুলিতে শুরু হয়েছিল, সেই অমরাবতী, আকোলা এবং ইয়াবৎমলেও পরিস্থিতি কিন্তু নিয়ন্ত্রণের মধ্যে এসে গিয়েছে। সব থেকে তাৎপর্যের বিষয় হল গত বছর প্রথম ঢেউয়ের সময় মহারাষ্ট্রে সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ ছিল ২৫ হাজার, সে দিন কিন্তু টেস্ট হয়েছিল ৯৮ হাজার। অর্থাৎ সে দিনও সংক্রমণের হার ছিল ২৪-২৫ শতাংশ।
কিন্তু তবুও লকডাউনের পথেই হাঁটতে চাইছে মহারাষ্ট্র। তবে লকডাউন ঘোষিত হলে অর্থনীতিতে তার বিপুল প্রভাব পড়বেই। একই মানুষ সাধারণ মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যেও ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। সব মিলিয়ে এখন সাবধানে পা ফেলতে হবে মহারাষ্ট্র সরকারকে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
Bengal Corona Update: নমুনা পরীক্ষার সঙ্গেই তাল মিলিয়ে বাড়ল বাংলার দৈনিক করোনা সংক্রমণ
দেশ
উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা! অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ রেমডেসিভির নিয়ে বড়োসড়ো সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
ইনজেকশন রেমডেসিভির রফতানি বন্ধের পাশাপাশি আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র।

খবর অনলাইন ডেস্ক: অ্যান্টি-ভাইরাল ড্রাগ রেমডেসিভির (Remdesivir) রফতানি নিষিদ্ধ করল ভারত সরকার। করোনার তাৎপর্যপূর্ণ সংক্রমণ বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই রবিবার কোভিডরোগীর চিকিৎসায় ব্যবহৃত এই ওষুধের রফতানি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
প্রতিদিন যে হারে কোভিড-১৯ ( Covid-19) আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড গড়ে চলেছে, তা যথেষ্ট উদ্বেগের বলেই ধারণা করছে ওয়াকিবহাল মহল।
কেন্দ্র একটি বিবৃতিতে বলেছে, “পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া অবধি ভারত সরকার ইনজেকশন রেমডেসিভির এবং রেমডেসিভির অ্যাক্টিভ ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদান (এপিআই) রফতানি নিষিদ্ধ করেছে।”
সাতটি ভারতীয় সংস্থা মেসার্স গিলেড সায়েন্সের সঙ্গে স্বেচ্ছাভিত্তিক লাইসেন্স চুক্তির মাধ্যমে ইনজেকশন রেমডেসিভির তৈরি করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রকল্পে প্রতিমাসে প্রায় ৩৮.৮০ লক্ষ ইউনিট ইনজেকশন রেমডেসিভির তৈরি করার ক্ষমতা রয়েছে গিলেড সায়েন্সেসের।
দেশের আরও বেশি মানুষ যাতে রেমডেসিভির পেতে পারেন, তা নিশ্চিত করার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সরকার রেমডেসিভির উৎপাদনকারীদের উদ্দেশে বলেছে যে, তাদের মজুতদার এবং বিতরণকারীর বিশদ বিবরণ যেন নিজেদের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়।
একই সঙ্গে ড্রাগ ইন্সপেক্টর এবং অন্যান্য অফিসারদের স্টক যাচাই করতে বলা হয়েছে। যে কোনো ধরনের ত্রুটি পরীক্ষা করার পাশাপাশি বেআইনি মজুত ও কালোবাজারি বন্ধ করতেও বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করী রবিবার মহারাষ্ট্রে ওষুধের ঘাটতি বিবেচনায় নাগপুরে ১০,০০০ ইনজেকশন দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য সান ফার্মার প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করেন। গত ৯ এপ্রিল মধ্যপ্রদেশে ওষুধের জন্য দোকানের বাইরে লম্বা লাইন দেখা যায়। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও ওষুধ নাম পেয়ে অনেকেই বিক্ষোভ দেখান। রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদ জানান ক্রেতারা।
জটিল রোগে আক্রান্ত বয়স্করা করোনা সংক্রমিত হলে তাঁদের রেমডেসিভির দেওয়া হয়। ন্যাশনাল ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট প্রটোকল ইতিমধ্যেই কোভিড-১৯-এর চিকিৎসায় রেমডেসিভিরকে তালিকাভুক্ত করেছে।
আরও পড়তে পারেন: Covid-19 Vaccine: অক্টোবরের মধ্যে আরও ৫টি কোভিড ভ্যাকসিন পাচ্ছে ভারত!
-
রাজ্য2 days ago
Bengal Polls Live: সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়ল ৭৫ শতাংশের বেশি
-
দেশ2 days ago
Corona Update: রেকর্ড তৈরি করে দেড় লক্ষের দিকে এগিয়ে গেল দৈনিক সংক্রমণ, তবুও কম মৃত্যুহারে কিছুটা স্বস্তি
-
বিদেশ2 days ago
Coronavirus Infection: কোনো বস্তু থেকে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা ১০ হাজারে মাত্র ১, জানাল মার্কিন সিডিসি
-
রাজ্য2 days ago
Bengal Polls 2021: বাহিনীর গুলিতে হত ৪, শীতলকুচি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়