নয়াদিল্লি: জাতীয় কংগ্রেসের নবগঠিত কার্যকরী সমিতির বৈঠকে স্থির হল কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে পথে নেমে আন্দোলনের রূপরেখা। শনিবার কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সর্বোচ্চ কমিটির এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী, অশোক গেহলট, এ কে অ্যান্টনি, গুলাম নবি আজাদ, আহমেদ পটেল ও অম্বিকা সোনি-সহ উচ্চ নেতৃত্ব।
আগামী লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বিজেপির বিরুদ্ধে ঠিক কোন কোন ইস্যু নিয়ে কংগ্রেস পথে নামবে, তার একটি প্রস্তাব রাখা হয়। সেখান থেকেই উঠে আসে মূল তিনটি বিষয়। জানা গিয়েছে, রাফায়েল যুদ্ধবিমান চুক্তি, সাম্প্রতিক অসমের নাগরিকপঞ্জি এবং পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের অর্থ জালিয়াতির ঘটনাকেই মূল ইস্যু করতে চলেছে কংগ্রেস। কারণ এই তিনটি বিষয়ের সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে দেশের আমজনতার।
The CWC met today. As a team, we discussed the political situation in the country & the huge opportunity for the Congress to highlight issues of corruption and failure of the government to provide jobs to our youth. Thank you to all those who attended today’s meeting. pic.twitter.com/QTPM8ltO51
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) August 4, 2018
তবে বৈঠকে কংগ্রেস নেতৃত্বের আলোচনায় উঠে আসে এনডিএ শাসিত কেন্দ্রীয় সরকারকে কোণঠাসা করার একাধিক পরিকল্পনার কথা। নেতৃত্ব মনে করেন, কংগ্রেস জমানায় নাগরিকপঞ্জির প্রস্তাবকে হাতিয়ার করে বিজেপি মেরুকরণের চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে তারা টেনে নিয়ে আসছে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টিকেও। বলা হচ্ছে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই ইউপিএ জমানায় নাগরিকপঞ্জি তৈরির কাজ শ্লথ করে রেখেছিল কংগ্রেস। দলের সভাপতি রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে এর যোগ্য জবাব দিতে চলেছে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিল কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা
একই ভাবে এ দিনের বৈঠকে উঠে আসে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের আর্থিক জালিয়াতিতে অভিযুক্ত মেহুল চোক্সি প্রসঙ্গও। কেন্দ্র কেন চোক্সিকে হাতের নাগালে পেয়েও উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে অক্ষম, সেই প্রশ্নেও আক্রমণ শানাবে কংগ্রেস। অ্যান্টিগুয়াতে কী ভাবে চোক্সি এবং নীরব মোদী নাগরিকত্বের বন্দোবস্ত করে ফেলল, সে বিষয়ে কেন কোনো যথার্থ উত্তর নেই নরেন্দ্র মোদী সরকারের কাছে। অন্য দিকে ফ্রান্সের সঙ্গে রাফায়েল যুদ্ধবিমান চুক্তি প্রকাশ্যে নিয়ে আসার দাবিতেও সরব হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরযেওয়ালা বলেন, “আমরা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছি এবং বিজেপির দুর্নীতির বিষয়গুলি তুলে ধরার জন্য এব সরকারের ব্যর্থতার দিকগুলি তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি”।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।