নয়াদিল্লি: শনিবার হরিয়ানা-পঞ্জাব সীমান্তে ‘দিল্লি চলো’ মিছিলে অংশগ্রহণকারী কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করল পুলিশ। এতে অন্তত ১০ জন কৃষক আহত হয়েছেন বলে দাবি। দুপুরে ১০১ জন কৃষক ফের দিল্লির দিকে পায়ে হেঁটে যাত্রা শুরু করেন। তাঁদের দাবি, ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (MSP) আইনি নিশ্চয়তা-সহ একাধিক দাবিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করুক কেন্দ্রীয় সরকার।
শম্ভু সীমান্তে কৃষকদের মিছিলে যোগ দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা ও কুস্তিগির বজরং পুনিয়া। তিনি বলেন, “একদিকে সরকার বলছে তারা কৃষকদের বাধা দিচ্ছে না, অন্য দিকে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করা হচ্ছে। এমন আচরণ করছে, যেন পাকিস্তান সীমান্তে ঘটছে। রাজনৈতিক দলের নেতারা যখন দিল্লিতে বিক্ষোভে যান, তখন কি তাঁরা অনুমতি নিয়ে যান?”
এটা ৬ ডিসেম্বরের পর থেকে কৃষকদের তৃতীয় বার দিল্লির দিকে মিছিলের চেষ্টা। এর আগে ৬ ও ৮ ডিসেম্বর হরিয়ানা পুলিশের বাধায় তাঁরা এগোতে পারেননি।
আজকের পরিকল্পিত মিছিলের আগে, হরিয়ানা সরকার অম্বালা জেলার ১২টি গ্রামে মোবাইল ইন্টারনেট ও এসএমএস পরিষেবা স্থগিত করেছে, যা ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলি হল: ডাংডেহরি, লেহগড়, মানাকপুর, দাদিয়ানা, বড়ি ঘেল, ছোটি ঘেল, লহরসা, কালু মজরা, দেবীনগর, সদ্দোপুর, সুলতানপুর ও কাকরু।
দিল্লির দিকে মিছিল ঠেকাতে হরিয়ানা পুলিশের পক্ষ থেকে বহুস্তরীয় ব্যারিকেড বসানো হয়েছে। অম্বালা পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লি প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কৃষকদের মিছিল করতে দেওয়া হবে না।
কৃষকরা একাধিক দাবিতে আন্দোলন করছেন, যার মধ্যে রয়েছে: ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি নিশ্চয়তা, কৃষি ঋণ মকুব, কৃষকদের পেনশন, বিদ্যুৎ শুল্ক বৃদ্ধির বিরোধিতা, কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার, ২০২১ সালের লখিমপুর খেরি হিংসার জন্য ন্যায়বিচার এবং ২০১৩ সালের ভূমি অধিগ্রহণ আইন পুনর্বহাল।
একই সময়ে, কৃষক নেতা জগজিৎ সিং দলেওয়াল ১৯ দিন ধরে খনৌরি সীমান্তে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্র ও পঞ্জাব সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, তারা যেন কৃষক নেতার সঙ্গে দেখা করে অনশন ভঙ্গ করানোর জন্য অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন: ‘আমি আইন মেনে চলা নাগরিক, সব রকম সহযোগিতা করব’, জেল থেকে বেরিয়ে বললেন অল্লু অর্জুন