দেশ
তিন-চার মাসের মধ্যেই কোভিডের টিকা, জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন
হর্ষ বর্ধনের দাবি, প্রথম থেকে কিছু কঠোর সিদ্ধান্তের জন্য ভারতে করোনার প্রকোপকে নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: ভারতে একাধিক করোনা-টিকা দাবিদারের পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে। কোনোটি আছে দ্বিতীয় পর্যায়ে, কোনোটি তৃতীয়তে। তাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন (Harsh Vardhan) মনে করেন, আগামী তিন-চার মাসের মধ্যেই ভারতের বাজারে করোনা-টিকা চলে আসবে।
ফিকি-এফএলও (FICCI FLO)-এর ওয়েবিনারে এ কথা জানিয়েছেন বর্ধন। তাঁর কথায়, ‘‘আগামী তিন, চার মাসের মধ্যে দেশে করোনা টিকা চলে আসবে। করোনার টিকা প্রথম দেওয়া হবে সামনের সারির করোনা যোদ্ধাদের, তার পর দেওয়া হবে বৃদ্ধ, মহিলা ও রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমন মানুষদের।’’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ দিন জানিয়েছেন, আগামী বছর জুলাই- আগস্টের মধ্যে দেশের ২৫ থেকে ৩০ কোটি মানুষের জন্য করোনার টিকা বাজারে আনা সম্ভব হবে।
বর্ধনের কথায়, ‘‘৫০ থেকে ৬৫ বছর বয়সের মানুষদের করোনার টিকা দেওয়ার পর ৫০-এর কম বয়স অথচ যাঁদের একাধিক রোগ রয়েছে তাঁদের টিকা দেওয়া হবে। পুরোটাই নির্ভর করবে বিজ্ঞানীদের সিদ্ধান্তের উপর।”
হর্ষ বর্ধনের দাবি, প্রথম থেকে কিছু কঠোর সিদ্ধান্তের জন্য ভারতে করোনার প্রকোপকে নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে। দেশের সুস্থতার হার যে গোটা বিশ্বের মধ্যে সব থেকে বেশি, সেটাও মনে করিয়ে দেন বর্ধন।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘পিন পয়েন্ট’ হামলা চালিয়ে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করল ভারতীয় সেনা
দেশ
রবিবার ভারতে ১৭ হাজার জনকে টিকা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঘটনা কম, জানাল স্বাস্থ্য মন্ত্রক
রবিবার দেশের মাত্র ছ’টি রাজ্যে টিকাকরণ প্রক্রিয়া চলেছে।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: শনিবার, ১৬ জানুয়ারি অর্থাৎ কোভিডের টিকাকরণের প্রথম দিন ভারতে ১ লক্ষ ৯১ হাজার মানুষের ওপরে কোভিডের টিকা প্রয়োগ করা হয়েছিল। রবিবার সেটা এক লাফে অনেকটাই কমে গেল। ওই দিন টিকা দেওয়া হয়েছে ১৭ হাজার জনকে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এমনই জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও বলা হয়েছে যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঘটনা অনেক কম রেকর্ড করা হয়েছে।
রবিবার কেন কম মানুষকে টিকা?
শনিবার দেশের ৩,০০৬টি কেন্দ্রে ১ লক্ষ ৯১ হাজার মানুষের ওপরে টিকা প্রয়োগ করা হয়েছিল। রবিবার কিন্তু ৫৫৩টি কেন্দ্রে এই টিকাকরণ প্রক্রিয়া হয়েছে। টিকা দেওয়া হয়েছে দেশের মাত্র ছ’টি রাজ্য– অন্ধ্রপ্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, কেরল, কর্নাটক, তামিলনাড়ু এবং মণিপুরে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রের খবর, প্রথম দিনের তুলনায় দ্বিতীয় দিন টিকাকরণ কম হওয়াটা আসলে সরকারের পরিকল্পনারই অংশ। কেন্দ্র এমনভাবে টিকাকরণ করতে চাইছে, যাতে অন্যান্য রোগের টিকাকরণে কোনো সমস্যা না হয়।
কেন্দ্র জানুয়ারি বেশিরভাগ রাজ্যই সপ্তাহে চার দিন টিকাকরণ প্রক্রিয়া করবে বলেছে। তবে উত্তরপ্রদেশ এবং গোয়া সপ্তাহের মাত্র দুটো দিন, মিজোরাম পাঁচ এবং অন্ধ্রপ্রদেশ ছ’টি দিন এই প্রক্রিয়া চালাতে চায়।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঘটনা কম
রবিবার ক’জনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, সেই সংখ্যাটা বিস্তারিত না বললেও তারা জানিয়েছে যে প্রথম দু’দিনের টিকাকরণের পর গোটা দেশে ৪৪৭ জন গ্রহীতার শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে মাত্র ৩ জনকে হাসপাতালে ভরতি করতে হয়েছে। যদিও তাঁরা প্রত্যেকেই বিপদমুক্ত।
ইনজেকশন নেওয়ার জায়গাটা ফুলে যাওয়া, হালকা গা-বমি ভাব ছিল এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ধরন। ভারতে এই মুহূর্তে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি তথা সেরাম ইন্সটিটিউটের প্রস্তুত করা টিকা কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন দিয়ে এই টিকাকরণ প্রক্রিয়া চলছে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
রাজ্যে ছ’শোর নীচে নামল দৈনিক কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা

নয়াদিল্লি: শনিবার টিকাকরণ কর্মসূচির প্রথম দিনে টিকা পেয়েছেন ১ লক্ষ ৯১ হাজার মানুষ। ঠিক পরের দিনই কংগ্রেসের তরফে প্রশ্ন তোলা হল, প্রত্যেক দেশবাসী, বিশেষ করে গরিব এবং সুবিধাবঞ্চিতদেরও বিনামূল্যে করোনা টিকা (Corona vaccine) দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তো কেন্দ্রীয় সরকারের?
মহামারি এবং করোনা সংক্রমণের তুলনামূলক ভাবে বেশি ঝুঁকি রয়েছে এমন কাজের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত চিকিৎসক, নার্স, অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়া হচ্ছে করোনা টিকা কোভিশিল্ড (Covishield) এবং কোভ্যাক্সিন (Covaxin)।
কংগ্রেসের প্রশ্ন

কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা (Randeep Singh Surjewala) বলেন, “সরকার দাবি করছে প্রথম দফায় তিন কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। তবে দেশের বাকি মানুষের টিকাকরণ নিয়ে এখনও কোনো পরিকল্পনার কথা জানায়নি কেন্দ্র। তাঁরা কি বিনামূল্যেই এই টিকা পাবেন”?
তাঁর আরও প্রশ্ন, “সরকার এ বিষয়টি কি জানে, যে খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় ৮১.৩৫ কোটি মানুষ ভরতুকিতে রেশন পাওয়ার যোগ্য? তফসিলি (SC), তফসিলি উপজাতি (ST), অনগ্রসর (BC), অন্যান্য অনগ্রসর (OBC), দারিদ্র সীমার উপরে (APL), দারিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী (BPL)-দের মতো দরিদ্র এবং সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য সরকার কি বিনামূল্যে ভ্যাকসিন নিশ্চিত করবে? হ্যাঁ অথবা না”?
চাই উত্তর

রণদীপ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এবং বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারকে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে…কারা বিনামূল্যে ভ্যাকসিন পাবেন? ঠিক কত সংখ্যক মানুষ বিনামূল্যে করোনার ভ্যাকসিন পাবেন? কোথা থেকে সেই বিনামূল্যের ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে”?
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন তৈরি করেছে ভারতীয় সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট। অন্যদিকে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের (ICMR)-এর সহায়তায় ভ্যাকসিন তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক। তাদের ভ্যাকসিনের জন্য সরকার কেন অতিরিক্ত ৯৫ টাকা খরচ করছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক।
তাঁর প্রশ্ন, “অ্যাস্ট্রাজেনেকা-সেরাম ইনস্টিটিউটের চেয়ে ভারত বায়োটেকের ভ্যাকসিনের দাম কি কম হওয়া উচিত নয়? কেন খোলা বাজারে ডোজ প্রতি করোনার ভ্যাকসিনের দাম এক হাজার টাকা?” তাঁর মতে, ভ্যাকসিন তৈরির খরচ এবং মুনাফার বিষয়ে সংস্থাগুলির কাছ থেকে সরকারের স্বচ্ছতা দাবি করা উচিত।
আরও পড়তে পারেন: প্রথম দিনে কোন রাজ্যে কতজন ভ্যাকসিন পেলেন
দেশ
দিল্লিতে দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার কমে ০.৪৪ শতাংশ
অনেকটাই স্বস্তি! নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ২৯৫।

নয়াদিল্লি: শেষ ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে নতুন করে কোভিড-১৯ (Covid-19) আক্রান্তের সংখ্যা ২৯৫। ফলে দৈনিক সংক্রমণের হার ঠেকেছে ০.৪৪ শতাংশে। রবিবার এমনটাই দাবি করলেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন (Satyendar Jain)।
বেশ কয়েক দিন ধরেই দিল্লিতে দৈনিক সংক্রমণের হার রয়েছে ১ শতাংশের নীচে। দৈনিক নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও রয়েছে ৫০ হাজারের উপরে।
তবে সতর্কতামূলক পদক্ষেপের জন্য এখনও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক বলে জানিয়ে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই পরিসংখ্যান থেকেই “আমরা ধরে নিতে পারি যে দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় কোভিড-১৯-এর ‘তৃতীয় ঢেউ’ শেষ হয়ে গিয়েছে”।
এ দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সত্যেন্দ্র বলেন, শনিবার দিল্লির ৮১টি কেন্দ্র থেকে করোনা টিকা নিয়েছেন ৪ হাজার ৩১৭ জন স্বাস্থ্যকর্মী। পরবর্তীতে টিকা কেন্দ্রের সংখ্যা ১৭৫টি এবং ধারাবাহিক ভাবে বাড়িয়ে তা এক হাজার করা হবে। শনিবার টিকাকরণের পর এখনও পর্যন্ত ৫১ জনের মধ্যে টিকার বিরূপ প্রভাবের খবর পাওয়া গিয়েছে।
তিনি বলেন, ২২ বছরের এক স্বাস্থ্যকর্মী টিকা নেওয়ার পরে মারাত্মক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে এইমস-এ রেখে চিকিৎসা চলছে। তবে টিকা নেওয়ার ৩০ মিনিট পরেই একাংশকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, ৫১ শতাংশের উপর পর্যবেক্ষণ চলছে।
উল্লেখ্য, দিল্লিতে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা সংক্রামিতের সংখ্যা ৬ লক্ষ ৩২ হাজার ১৭৯। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬ লক্ষ ১৮ হাজার ৭৫৪ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২ হাজার ৬৯১ জন কোভিডরোগী। মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ৭৩৮ জনের।
অন্যদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ লক্ষ ৭৯ হাজার ৩৭৭টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে সারা দেশে। ফলে এ দিন দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ১.৯৪ শতাংশ।
আরও পড়তে পারেন: দৈনিক সংক্রমণ অপরিবর্তিত, সক্রিয় রোগী কমল দু’হাজারের উপর
-
রাজ্য2 days ago
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে সিপিএমের লাইনেই খেলছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
দেশ3 days ago
নবম দফার বৈঠকেও কাটল না জট, ফের কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কেন্দ্র
-
প্রযুক্তি3 days ago
হোয়াটসঅ্যাপে এ ভাবে সেটিং করলে আপনার আলাপচারিতা কেউ দেখতে পাবে না এবং তথ্যও থাকবে নিরাপদে
-
ক্রিকেট3 days ago
অভিষেকে লড়াকু নটরাজন, সুন্দর, অস্ট্রেলিয়া ২৭৪