দেশ
কোভিড-১৯: হোম আইসোলেশনের নতুন নিয়ম জারি করল স্বাস্থ্যমন্ত্রক
হালকা অথবা প্রাক-লক্ষণজনিত করোনাভাইরাস সংক্রমণ-সহ তালিকার মধ্যে উপসর্গহীন পজিটিভ রোগীদের অন্তর্ভুক্ত করেই এই সংশোধিত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

নয়াদিল্লি: নমুনা পরীক্ষার আগে পর্যন্ত একটি বৃহত্তর অংশের কোভিড-১৯ (Covid-19) রোগীর মধ্যে কোনো উপসর্গের দেখা মিলছে না। এ বিষয়টিকেই বিবেচনায় রেখে হোম আইসোলেশনের সংশোধিত নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। হালকা অথবা প্রাক-লক্ষণজনিত করোনাভাইরাস সংক্রমণ-সহ তালিকার মধ্যে উপসর্গহীন পজিটিভ রোগীদের অন্তর্ভুক্ত করেই এই সংশোধিত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
নতুন নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে যে অনাক্রম্যতা (যেমন এইচআইভি, প্রতিস্থাপন করা হয়েছে বা ক্য়ানসারের চিকিৎসা চলছে) অথবা কো-মর্বিডিটি রোগীরা হোম আইসোলেশনের উপযুক্ত নন।
অন্য দিকে ৬০ বছরের বেশি বয়সি বয়স্ক রোগী, যাঁরা উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুস / যকৃত / কিডনির রোগ এবং সেরিব্রো-ভাস্কুলার রোগের মতো অন্য রোগে ভুগছেন তাঁদের হোম আইসোলেশনের অনুমতি দেওয়া। সে ক্ষেত্রে তাঁদের সম্পূর্ণ ভাবে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পরই চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁদের হোম আইসোলেশনের ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।
নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে উপসর্গের সূত্রপাত হওয়ার পর থেকে ১০ দিন বাদে রোগীকে হোম আইসোলেশন থেকে অব্যাহতি দেওয়া যেতে পারে। হোম আইসোলেশন থেকে ছাড়া পাওয়ার পর রোগীর স্বাস্থ্যের উপর পরবর্তী সাত দিন নজর রাখতে হবে। হোম আইসোলেশন পর্ব শেষ হওয়ার পর সুস্থ হয়ে গেলে আর নমুনা পরীক্ষার প্রয়োজন নেই।
যা নিশ্চিত করতে হবে
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রাক অথবা মৃদু উপসর্গের রোগীদের মতোই উপসর্গহীন রোগীকেও হোম আইসোলেশনের ব্যাপারে একটি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। রোগীর জন্য যেন পৃথক ঘর থাকে। তিনি যেন পরিবারের অন্য সদস্যদের সংস্পর্শে না আসেন।
নির্দেশিকা অনুসারে, রোগীর ২৪x৭ ভিত্তিতে যত্ন নেওয়ার জন্য একজনকে অবশ্যই থাকতে হবে এবং হোম আইসোলেশনের সময়কালে চিকিৎসক অথবা হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা বাধ্যতামূলক।
চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রোগীর যত্ন নেওয়া ব্যক্তি এবং পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন নিতে হবে। রোগীদের স্বাস্থ্যের উপর নজরদারি নিরবচ্ছিন্ন ভাবে করা উচিত এবং নিয়মিত ভাবে জেলা প্রশাসনকে স্বাস্থ্যের পরিস্থিতি অবহিত করা উচিত। যা নজরদারি চালানো প্রতিনিধিদের আরও ফলোআপ করতে সহায়তা করবে।
দেশে করোনা সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি
শুক্রবার স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানা, ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬ লক্ষ ২৫ হাজার ৫৪৪। এর মধ্যে সুস্থতার হারই পৌঁছে গিয়েছে ৬০.৭৯ শতাংশ মানুষ। অর্থাৎ ৩ লক্ষ ৭৯ হাজার ৮৯২ মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
দেশ
রাস্তা থেকে রাজপ্রাসাদে! রাতারাতি ১২ কোটি টাকার মালিক কেরলের এক ব্যক্তি
অবিক্রিত টিকিটের মধ্যে থেকেই একটিতে উঠে যায় ১২ কোটি টাকার পুরস্কার।

খবর অনলাইন ডেস্ক: কথায় রয়েছে, ‘উপরওয়ালা যব দেতা হ্যায় ছপ্পড় ফাড়কে দেতা হ্যায়’। তেমনটাই ঘটেছে কার্যত রাস্তা থেকে রাজপ্রাসাদে পৌঁছানো এক ৬৪ বছর বয়সি ব্যক্তির সঙ্গে।
কেরলের কোল্লমের শরাফুদ্দিন এ নামের ওই ব্যক্তি রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন। লটারির টিকিট বিক্রি করতেন তিনি। তবে অবিক্রিত টিকিটগুলো তিনি নিজের কাছেই রেখে দিয়েছিলেন। এই টিকিটের মধ্যে থেকেই একটি তাঁকে কেরল সরকারের ক্রিসমাস নিউ ইয়ার বাম্পার লটারিতে ১২ কোটি টাকার পুরস্কার জিতিয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ, এই একটি লটারির টিকিটই রাতারাতি শরাফুদ্দিনের ভাগ্য বদলে দিয়েছে।
৭ বছর লটারি ব্যবসা
গত সাত বছর ধরে লটারির টিকিট কেনাবেচার কাজ করছিলেন শরাফুদ্দিন। কেরল সরকারের ক্রিসমাস নিউ ইয়ার বাম্পার লটারির বেশ কিছু টিকিট অবিক্রিত রয়ে গিয়েছিল। সেগুলির মধ্যে থেকেই একটিতে উঠে যায় ১২ কোটি টাকার পুরস্কার।
আগে কাজের সূত্রে রিয়াদে থাকতেন তিনি। এখন দেশে ফিরে এসে একটি ছোট্ট বাড়িতে পরিবার নিয়ে বাস করেন। কোল্লম জেলার অরণ্যকাভুর কাছে ইরভিধরমপুরমে একটি খাস জমিতে থাকতেন তিনি। এখানে ফিরে অনেক রকমেরই কাজ করেছেন। শেষ রাস্তার ধারে লটারি টিকিটের পসরা সাজিয়ে সাত বছর ধরে কোনো রকমে রুটি-রুজির সংস্থান করছিলেন।
লটারির টাকায় কী করবেন?
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ২০১৩ সালে দেশে ফিরে আসেন শরাফুদ্দিন। এটা-ওটা করার পর শেষ সাত বছর ধরে তিনি লটারির টিকিট কেনাবেচায় যুক্ত। মঙ্গলবার তিরুঅনন্তপুরমে লটারি বিভাগের অফিসে গিয়ে বিজয়ী টিকিটটি জমা দিয়েছেন তিনি। ৩০% কর কেটে নেওয়ার পরে প্রায় ৭.৫০ কোটি টাকা এবং পুরষ্কারের ১০% এজেন্ট কমিশন পাবেন শরাফুদ্দিন।
লটারি জেতার পরে শরাফুদ্দিন সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেছেন, “আমি নিজের একটি বাড়ি তৈরি করতে চাই। আমার পুরো ঋণ পরিশোধ করব এবং একটি ছোটো ব্যবসা শুরু করব”। তাঁর মা, দুই ভাই, স্ত্রী ছাড়াও রয়েছে একটি ছেলে পারভেজ। পারভেজ দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে।
আরও পড়তে পারেন: বার্ড ফ্লু: মাংস এবং ডিম ভালো ভাবে সেদ্ধ করে খাওয়ার পরামর্শ এফএসএসএআই-এর

খবরঅনলাইন ডেস্ক: দূরপাল্লার ট্রেনে সংরক্ষণের চার্ট তৈরি হয়ে যাওয়ার পরেও সংশ্লিষ্ট ট্রেনের টিকিট কাটা যাবে আর তাতে দশ শতাংশ ছাড়ও মিলবে। এই ব্যবস্থা চার বছর আগেই শুরু হয়েছিল রেলে। কিন্তু বর্তমানে করোনা অতিমারির কারণে ব্যাপারটা আরও বেশি করে হচ্ছে।
আধঘণ্টা আগেও কাটা যাবে টিকিট
করোনা অতিমারির কারণে বর্তমানে অধিকাংশ ট্রেনই চলছে প্রচুর সংখ্যক খালি আসন নিয়ে। এর ফলে রেলের লোকসানও হচ্ছে যথেষ্ট। সেই লোকসান এড়ানোর জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল।
জানা গিয়েছে, ট্রেন ছাড়ার আধঘণ্টা আগে পর্যন্ত কাটা যাবে ট্রেনের টিকিট। সাধারণত, ট্রেন ছাড়ার চার ঘণ্টা আগে চার্ট তৈরি হয়ে যায়। তার পর আর টিকিট কাটা যেত না। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে আরও সাড়ে তিন ঘণ্টা টিকিট কাটা যাবে এবং সেখানেই প্রতি আসনে দশ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
আইআরসিটিসির ওয়েবসাইট অথবা স্টেশনের টিকিট কাউন্টার থেকে এই পরিষেবা পাওয়া যাবে।
চার বছর আগে চালু হয়েছিল এই পরিষেবা
১ জানুয়ারি ২০১৭ থেকে এই পরিষেবা চালু হয়ে গিয়েছিল। তখন রাজধানী, শতাব্দী এবং দুরন্ত এক্সপ্রেসের জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে সব ট্রেনের জন্যই এই পরিষেবা চালু করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ট্রেনে যাত্রী উঠছেন আগের তুলনায় খুবই কম। এর জেরে রেলকে লোকসানের মুখেও পড়তে হচ্ছে বিস্তর। রেলের আশা, দশ শতাংশ ছাড়ের এই ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে সেই লোকসান কিছুটা হলেও কমানো যাবে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলিতে টিকা সরবরাহ কমাল ফাইজার, শুরু বিতর্ক
দেশ
বার্ড ফ্লু: মাংস এবং ডিম ভালো ভাবে সেদ্ধ করে খাওয়ার পরামর্শ এফএসএসএআই-এর
অর্ধ সেদ্ধ ডিম এবং সঠিক ভাবে রান্না না করা মুরগির মাংস এড়িয়ে চলতে হবে।

খবর অনলাইন ডেস্ক: সারা দেশে বার্ড ফ্লু (Bird flu) ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ভারতের খাদ্য সুরক্ষা ও মানদণ্ড কর্তৃপক্ষ (FSSAI)) একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। যেটিতে বলা হয়েছে, বার্ড ফ্লু চলাকালীন অর্ধ সেদ্ধ ডিম এবং সঠিক ভাবে রান্না না করা মুরগির মাসং এড়িয়ে চলতে হবে। এ ছাড়া মুরগির মাংস খোলা জায়গায় না রাখার কথাও বলা হয়েছে।
ভারতের খাদ্য সুরক্ষা গুণমান নির্ধারণের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের তরফে একই সঙ্গে বলা হয়েছে, বার্ড ফ্লু নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।
কেন সতর্কতা?
সারা দেশের প্রায় ১০টি রাজ্যে বার্ড ফ্লু-এর হদিশ মিলেছে। দিল্লি-সহ অন্যান্য রাজ্যগুলিতে বার্ড ফ্লু সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। স্বাভাবিক ভাবেই সাধারণ মানুষের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। তবে নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে হাঁস-মুরগির ডিম এবং মাংস খাওয়ায় কোনো সমস্যার কারণ নেই বলেই জানিয়েছে কেন্দ্র। সে কথাই আবার এক বার স্মরণ করিয়ে দিয়েছে এফএসএসএআই।
এক গুচ্ছ নির্দেশিকা অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছে এফএসএসএআই। বলা হয়েছে, এই নির্দেশিকাগুলি অনুসরণ করলেই বার্ড ফ্লু থেকে যে কোনো রকমের বিপদ এড়িয়ে চলা সম্ভব।
[আরও পড়তে পারেন: বার্ড ফ্লু: অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ছড়াতে পারে মানুষের শরীরেও, সুরক্ষিত থাকার ৫টি উপায়]
হরিয়ানার পোল্ট্রি ফার্মে ২০ হাজার মুরগির মৃত্যু
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা বার্ড ফ্লু আতঙ্কের মধ্যেই হরিয়ানায় কয়েক হাজার পাখি মারা গেছে। সেখানকার কোহুন্ড এলাকায় কৈলাশ পোল্ট্রি এবং ওম পোল্ট্রি ফার্মের পরে এখন রাওয়াল পোল্ট্রি ফার্মে প্রায় ২০ হাজার মুরগির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।
পোল্ট্রি ফার্মের মালিকরা এই খবর জানানোর পর থেকেই আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের টিম শুধু পরিদর্শন করেই চলে যায় এবং পাখিদের রক্ষায় কোনো পদক্ষেপ নেয় না। রাওয়াল পোল্ট্রি ফার্মের মালিক মদল লাল জানান, “আমাদের খামারে প্রায় ৫৫ হাজার মুরগি রয়েছে। যার মধ্যে ২০ হাজার মুরগি মারা গেছে”।
[আরও পড়তে পারেন: আতঙ্কিত হবেন না, শীতকালে বার্ড ফ্লু নতুন নয়: কেন্দ্র]
-
প্রবন্ধ3 days ago
শিল্পী – স্বপ্ন – শঙ্কা: সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে যেমন দেখেছি, ৮৭তম জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য
-
দেশ2 days ago
রবিবার পর্যন্ত করোনাহীন ছিল লাক্ষাদ্বীপ, পরের দু’ দিনে পজিটিভ ১৫
-
ক্রিকেট1 day ago
ঋদ্ধিমান তো বটেই, হায়দরাবাদে থেকে গেলেন বাংলার আরও এক ক্রিকেটার
-
শিক্ষা ও কেরিয়ার3 days ago
৯১ হাজার ফ্রেশার নিয়োগ করতে পারে বৃহত্তম চার তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা