আবার গোমাংস, আবার দলিত নিগ্রহ, এ বার চিকমাগালুরে

0

খবর অনলাইন: গুজরাতের উনার পরে এ বার কর্ণাটকের চিকমাগালুর। বাড়িতে গোমাংস রান্না করে খাওয়া হয়েছে, এই সন্দেহে এক দলিত পরিবারে হামলা চালায় স্বঘোষিত গোরক্ষকরা। চলে হুমকি, মারধর। ঘটনার জেরে সাত জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃতেরা সবাই বজরং দলের সদস্য বলে জানা গয়েছে।

দলিত পরিবারের পক্ষ থেকে কর্ণাটক হারমোনি ফোরামের তরফে এক অভিযোগ দায়ের করে বলা হয়েছে, হামলাকারীরা সংখ্যায় ছিল ৪০-৫০ জন। জয়পুরা থানার কুন্দুর গ্রামে বসবাসরত ওই দলিত পরিবারে হামলা চালানো হয়। তাদের হামলায় পরিবারের অনেকেই গুরুতর জখম হন। এঁদের মধ্যে এক জন ভিন্ন ভাবে সক্ষম ব্যক্তিও আছেন। ফোরামের ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ ওই সাত জনকে গ্রেফতার করে।

চিকমাগালুরের ঘটনাটি গত রবিবারের। ওই দলিত পরিবারে গরু কাটার অভিযোগ করে বজরং দল। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে পরিবারের সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁরা জামিনে মুক্ত। দলিত পরিবারে হামলার ঘটনাটিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ আখ্যা দিয়ে  কর্ণাটকের মন্ত্রী রোশন বেগ বলেছেন, গুজরাতের মতো এখানে কাউকে নীতি-পুলিশগিরি চালাতে দেওয়া হবে না।

চলতি মাসে দলিত পরিবারের উপর আক্রমণের দ্বিতীয় ঘটনা ঘটল। গুজরাতের উনায় স্বঘোষিত গোরক্ষকরা চার দলিত যুবকের জামাকাপড় খুলে তাঁদের গাড়ির সঙ্গে বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়েছিল। এই ঘটনার ভিডিও তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দুষ্কৃতীরা সতর্কবার্তা দিতে চেয়েছিল। সেটাই বুমেরাং হয়ে যায়। ঘটনাটি জানাজানি হতেই দেশ জুড়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। সংসদ পর্যন্ত বিষয়টি গড়ায়। গোটা ঘটনার জবাবদিহি করতে গিয়ে বিজেপি নাজেহাল হয়।

এরই মাঝে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতা দয়াশঙ্কর দলিত নেত্রী মায়াবতী সম্পর্কে কুকথা বলে দল তথা প্রধানমন্ত্রী আরও বিব্রত করেন। এই অবস্থায় গোটা দেশের মানুষের মনে মলম দিতে উত্তরপ্রদেশে গিয়ে উন্নয়নের কথা শুনিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তাতে চিঁড়ে ভিজবে কি ? মায়াবতী রবিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে দলিতদের উপর অত্যাচার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নীরব কেন জানতে চেয়েছেন। বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহাও বলেছেন, দলিত-নিগ্রহ প্রধানমন্ত্রীর উচিত ছিল সংসদে বিবৃতি দেওয়া। সব মিলিয়ে দলিত ইস্যুতে ঘরে-বাইরে চাপে প্রধানমন্ত্রী।

dailyhunt

খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল

বিজ্ঞাপন