শেষমেশ সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে আইআইটি ধানবাদে ভর্তি হতে পারলেন অতুল কুমার। যিনি দলিত সম্প্রদায়ের একজন ছাত্র। ১৮ বছর বয়সি অতুল প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আইআইটি ধানবাদের ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে আসন পেয়েছিলেন। কিন্তু ২৪ জুনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ভর্তি ফি জমা করতে পারেননি। যে কারণে তিনি নিজের আসন হারান। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তাঁর স্বপ্ন পূরণ হল।
উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরের বাসিন্দা। তাঁর বাবা একজন দিনমজুর। তিনি যখন ফি জমা দেওয়ার সময়সীমা মিস করেন, তখন আইনি সহায়তার জন্য ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট এবং পরে চেন্নাইয়ে আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। অবশেষে, সুপ্রিম কোর্টের কাছে পৌঁছানোর পর তাঁর আবেদন শোনা হয়।
সোমবারের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “আমরা একটি তরুণ প্রতিভাবান ছেলেকে হারিয়ে যেতে দিতে পারি না। তাকে ঝাড়খণ্ডের আইনি কর্তৃপক্ষের কাছে যেতে হয়েছিল। তারপর তাকে চেন্নাইয়ের আইনি কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয় এবং শেষে তাকে হাইকোর্টে যেতে হয়। একটি দলিত ছাত্রকে এ ভাবে দৌড় করানো উচিত নয়।”
আতুলের পরিবারের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তার পড়াশোনার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। এই রায়ের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তটি শিক্ষা ক্ষেত্রে ন্যায়ের প্রতীক হিসেবে কাজ করবে, বিশেষ করে যারা সমাজের প্রান্তিক জনগণের অন্তর্ভুক্ত। আদালতের নির্দেশনা ইতিমধ্যে সমাজের বিভিন্ন অংশে প্রশংসা পেয়েছে এবং আশা প্রকাশ করা হচ্ছে যে এটি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্যও একটি উদাহরণ হবে।
এই ঘটনা শুধু অতুলের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণের কাহিনি নয়। বরং দেশের শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি সংবেদনশীলতা ও ন্যায়বিচারের পক্ষে একটি বড় পদক্ষেপ। আদালতের এই পদক্ষেপ দলিত ও অন্যান্য প্রান্তিক সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের জন্য শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
শিক্ষার অধিকার সুরক্ষিত করা এবং প্রান্তিক জনগণের জন্য সুযোগ বাড়ানো দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ আশা জাগায় যে ভবিষ্যতে শিক্ষা ক্ষেত্রে ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে আগামীতেও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।