তিহার জেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করল নির্ভয়াকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত বিনয় শর্মা। ২০১২ সালে দিল্লি গণধর্ষণ-কাণ্ডে জড়িত বিনয়কে ফাঁসির সাজা দিয়েছে আদালত।
পেশায় জিম ইনস্ট্রাক্টর বিনয় জেলের মধ্যে অতিরিক্ত মাত্রায় ‘অ্যান্টি-ডিপ্রেস্যান্ট’ ওষুধ খেয়ে, সেলের মধ্যে রাখা চাদর গলায় বেঁধে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। জেলে বিশেষ দায়িত্বে থাকা পুলিশ আধিকারিক দেখতে পেয়ে তাকে আটকায়।
পরে তাকে দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার অবস্থা স্থিতিশীল। সূত্রের খবর, পুলিশ আধিকারিককে সে জানিয়েছে, সহ-বন্দিদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। জেলকর্মী জানিয়েছেন, প্রচণ্ড ডিপ্রেশনে ভুগছে বিনয়। বুধবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ সে আত্মহ্ত্যার চেষ্টা করে।
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে ২৩ বছরের এক তরুণীকে বাসের মধ্যে নৃশংসভাবে ধর্ষণ করার পর রাস্তায় ফেলে পালায় ছ’জনের একটি দল। শুধু ধর্ষণই নয় মেয়েটির নিম্নাঙ্গে লোহার রডও ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর ৩০ ডিসেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর প্রতিবাদে ফেটে পড়ে দেশ। ঘটনায় অভিযুক্ত ছ’জনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্তদের মধ্যে এক জন নাবালকও ছিল। তিন বছর সংশোধনাগারে কাটিয়ে গত বছরই সে মুক্তি পেয়েছে। পুলিশ হেফাজতে মারা যায় ঘটনায় অভিযুক্ত বাসচালক রাম সিং। বিনয় শর্মা ছাড়া এই মামলায় অভিযুক্ত আরও ৩ জনকে ফাঁসির নির্দেশ দেয় আদালত। সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য শীর্ষ আদালতে আর্জি জানিয়েছে বিনয়-সহ অন্য ৩ দোষী।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।