দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়েছে। লড়াইয়ের প্রস্তুতি সব শিবিরেই। ৫ ফেব্রুয়ারি এক দফায় ভোট হবে এবং ৮ ফেব্রুয়ারি গণনার পর ফলাফল প্রকাশিত হবে। তবে এই নির্বাচন ঘিরে বিরোধী শিবিরে বিভাজন স্পষ্ট।
২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে যেখানে কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টি (আপ) একসময় বিজেপিকে পরাস্ত করার শপথ নিয়েছিল, এখন তারা নিজেরাই পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে।
সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি আপের সঙ্গে আছেন। একইভাবে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আপকে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছেন।
উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি যে তারা কাকে সমর্থন করবে। তবে শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত বলেছেন, কংগ্রেস এবং আপ উভয় দলকেই সমানে-সমানে ভোটে লড়তে হবে।
তেজস্বী যাদব বলেছেন, বিরোধী জোট ইন্ডিয়া শুধু লোকসভা নির্বাচনের জন্য গঠিত হয়েছিল। রাজ্যের নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনও নির্দিষ্ট জোটের অস্তিত্ব নেই।
এরই মধ্যে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং কংগ্রেস নেতা পৃথ্বীরাজ চ্যহ্বণ দিল্লিতে কেজরিওয়ালের জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে মন্তব্য করায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়। বিতর্কে জড়িয়ে তিনি নিজের মন্তব্য সংশোধনও করেন।
এই নির্বাচনে কংগ্রেস, বিজেপি এবং আপ নিজেদের সেরা প্রার্থীদের মাঠে নামিয়েছে। কংগ্রেস থেকে প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের পুত্র সন্দীপ দীক্ষিত নয়াদিল্লি আসন থেকে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে লড়ছেন। এই আসনে বিজেপির প্রার্থী প্রাক্তন সাংসদ প্রবেশ ভার্মা।
এখন দেখার বিষয়, কংগ্রেস বনাম ইন্ডিয়া ব্লকের লড়াই দিল্লি বিধানসভা ভোটে কতটা প্রভাব ফেলে এবং উদ্ধব ঠাকরের অবস্থান কী হয়!