দিল্লির শিশু হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, মৃত্যু ৭ সদ্যোজাতের, আহত বেশ কয়েকজন

দিল্লি, ২৬ মে ২০২৪: পূর্ব দিল্লির বিবেক বিহার এলাকার একটি শিশু হাসপাতালে বৃহস্পতিবার রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে, যেখানে সাতটি সদ্যোজাত শিশু প্রাণ হারিয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন, এবং ১২ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।

আগুন লাগার কারণ এখনও পর্যন্ত অজানা। তবে প্রাথমিক অনুমান করা হচ্ছে যে শর্ট সার্কিট থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে। ঘটনাস্থলে ফায়ার ব্রিগেডের ১০টি ইঞ্জিন দ্রুত পৌঁছায় এবং ঘন্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

হাসপাতালের এক কর্মচারী জানিয়েছেন, “রাত প্রায় ১১টা নাগাদ হঠাৎ করেই আমরা ধোঁয়া দেখতে পাই। তখনই বুঝতে পারি যে বড় ধরনের কিছু একটা হয়েছে। দ্রুত শিশুদের বের করার চেষ্টা করি, কিন্তু আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যে আমরা অনেককে বাঁচাতে পারিনি।”

অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন বহু অভিভাবক, যাদের মধ্যে অনেকেই তাদের সন্তানদের বিষয়ে উদ্বেগে ছিলেন। একজন অভিভাবক, রমেশ কুমার, বলেন, “আমার মেয়ে এখানে ভর্তি ছিল। খবর পাওয়ার পর থেকে আমি আতঙ্কিত। আমি জানি না ও কেমন আছে।”

আরও পড়ুন। রাজকোটে বিনোদন পার্কে আগুন, ৪ শিশু-সহ ২৭ জন জীবন্ত দগ্ধ  

দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে ঘটনাটির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল টুইট করে বলেছেন, “এই দুর্ঘটনায় আমরা অত্যন্ত শোকাহত। মৃতদের পরিবারকে সহানুভূতি জানাই এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

হাসপাতালের পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে এবং আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দিল্লি পুলিশের একটি বিশেষ দল ঘটনাস্থলে তদন্ত করছে। এছাড়াও, হাসপাতালের ফায়ার সেফটি ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এই মর্মান্তিক ঘটনাটি হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। রোগীদের নিরাপত্তার বিষয়ে হাসপাতালের অবহেলার কারণে এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, যা ভবিষ্যতে এড়াতে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন।

ফায়ার ব্রিগেডের প্রধান আরও জানান, “আমরা হাসপাতালে উপস্থিত সকলের সাহায্যে আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। তবে, দুর্ভাগ্যবশত আমরা কিছু সদ্যোজাতকে বাঁচাতে পারিনি।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.