নয়াদিল্লি: হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের আগে বড়ো স্বস্তি পেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সিবিআইয়ের রুজু করা দিল্লি আবগারি নীতি সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেলেন তিনি। দুপক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঞার বেঞ্চ গত ৫ সেপ্টেম্বর তাঁদের রায়দান স্থগিত রাখেন।
জামিনের শর্ত হিসাবে কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রীর অফিস অথবা দিল্লি সচিবালয়ে যেতে পারবেন না এবং মামলার ভালোমন্দ সম্পর্কে জনসমক্ষে কোনো মন্তব্য করতে পারবেন না।
২০২১-২২-এর দিল্লি আবগিরি নীতি নিয়ে বেনিয়মের অভিযোগে এবং টাকা নয়ছয় সংক্রান্ত তদন্তের স্বার্থে ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডায়রেক্টরেট) গত ২১ মার্চ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করে। আবগিরি নীতি সংক্রান্ত মামলায় ইডির হেফাজতে থাকার সময় ২৬ মার্চ সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করে।
লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের জন্য সুপ্রিম কোর্ট ১০ মে কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে। ১ জুন অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তিনি তিহাড় জেলে ফিরে জান।
জামিনের জন্য অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিম্ন আদালতে আবেদন না করায় সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলাকালীন সিবিআইয়ের কৌঁসুলি অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু তাতে আপত্তি জানান। উল্লেখ্য, জামিনের জন্য কেজরিওয়াল প্রথমে দিল্লি হাইকোর্ট ও পরে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন।
শুক্রবার বিচারপতি সূর্য কান্ত তাঁর রায় দিতে গিয়ে দীর্ঘদিন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে আটকে রাখার বিষয়টিকে ‘স্বাধীনতা থেকে অন্যায়ভাবে বঞ্চিত করা’ মনে করেন। তবে তিনি গ্রেফতারিকে অবৈধ বলেননি এবং বলেছেন এতে কোনো পদ্ধতিগত ত্রুটি ছিল না।
অন্যদিকে বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঞা এই গ্রেফতারিকে ‘অন্যায়’ বলে অবিহিত করেন। তিনি বলেন, সিবিআই সম্পর্কে যে ধারণা করা হয়, তারও গুরুত্ব আছে। সিবিআই একটা ‘খাঁচাবন্দি তোতাপাখি’, এই ধারণা তাদের দূরে করতে হবে। তাদের দেখাতে হবে তারা খাঁচাছাড়া পাখি। তাদের সন্দেহের ঊর্ধ্বে উঠতে হবে, হতে হবে সিজারের স্ত্রীর মতো।