পানশালায় ছোট পোশাক পরে নাচা কোনও অপরাধ নয়, স্পষ্ট জানিয়ে দিল দিল্লির তিসহাজারি আদালত। আদালত জানায়, যতক্ষণ না জনসাধারণ বিরক্তি প্রকাশ করছে বা সামাজিক ভাবাবেগে আঘাত লাগছে, ততক্ষণ কোনও মহিলার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়। এই রায়ের সঙ্গে সঙ্গেই পানশালায় নাচগান করার অভিযোগে অভিযুক্ত সাত যুবতীকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক নীতু শর্মা।
কী ছিল অভিযোগ?
২০২৩ সালের মার্চ মাসে দিল্লির পাহাড়গঞ্জের এক পানশালায় নাচানাচির অভিযোগ ওঠে। পানশালার ম্যানেজার-সহ মোট সাত জন যুবতীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগ ছিল, ওই যুবতীরা অশ্লীল পোশাক পরে পানশালায় নাচানাচি করেন এবং সমাজে ভুল বার্তা দিচ্ছেন। সেই সময় পুলিশের তরফে পানশালার সিসিটিভি ফুটেজও প্রমাণ হিসেবে জমা দেওয়া হয়।
আদালতের পর্যবেক্ষণ
মামলার শুনানিতে বিচারক নীতু শর্মা জানান, অভিযুক্ত যুবতীদের নাচ বা পোশাকে অশ্লীলতার কোনও প্রমাণ নেই। তিনি বলেন, “যুবতীরা শরীর অনাবৃত কোনও পোশাক পরেননি। তাঁদের নাচও অশ্লীল নয়। আর যে গানে তাঁরা নাচছিলেন, সেগুলোও সমাজে গ্রহণযোগ্য।”
আদালত আরও স্পষ্ট করে দেয়, পানশালায় নাচানাচি করা অপরাধ নয়। কোনও ‘পারফরম্যান্স’ তখনই প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে, যখন তা প্রকাশ্যে হয় এবং সাধারণ মানুষের বিরক্তির কারণ হয়।
এই মামলার রায় সমাজে নারীদের পোশাক ও স্বাধীনতার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত তৈরি করল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।