দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয় কুমার সাক্সেনা লেখক-সমাজকর্মী অরুন্ধতী রায় ও জম্মু ও কাশ্মীর কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক শেখ শওকত হুসেনের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারা অনুযায়ী মামলা চালানোর অনুমোদন দিয়েছেন। এই অনুমোদন ২০১০ সালের একটি এফআইআর-এর ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে। অরুন্ধতী রায় ও শেখ শওকত হুসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ‘জনসমক্ষে বিচ্ছিন্নতাবাদে উস্কানি’ দিয়েছেন।
দিল্লি পুলিশ আগেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ, ১৫৩বি, ৫০৪, ৫০৫ ধারা এবং ইউএপিএ ধারা ১৩-এর অধীনে রায় ও হুসেনের বিরুদ্ধে মামলা চালানোর অনুমোদন চেয়েছিল। গত বছর অক্টোবর মাসে লেফটেন্যান্ট গভর্নর শুধুমাত্র আইপিসি ধারায় অনুমোদন দেন। এবার তিনি ইউএপিএ ধারাতেও অনুমোদন দিয়েছেন।
হিন্দুস্তান টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ নিবাসের এক অধিকারিক জানিয়েছেন, “দিল্লি লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা ইউএপিএ ধারা ৪৫ (১) এর অধীনে অরুন্ধতী রায় ও কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. শেখ শওকত হুসেনের বিরুদ্ধে মামলা চালানোর অনুমোদন দিয়েছেন।”
আরও পড়ুন। বিধানসভার উপনির্বাচনেও কংগ্রেসের সঙ্গে বোঝাপড়া, তিন কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা বামফ্রন্টের
ওই অধিকারিক আরও জানান, “সম্মেলনে আলোচিত বিষয়গুলি কাশ্মীরকে ভারত থেকে আলাদা করার প্রচার করেছিল।”
২০১০ সালে সামাজিক কর্মী সুশীল পণ্ডিতের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআরটি ফাইল করা হয়েছিল। অভিযোগে বলা হয়, অক্টোবর ২০১০-এ দিল্লির কপারনিকাস মার্গের এলটিজি অডিটোরিয়ামে “আজাদি – দ্য ওনলি ওয়ে” ব্যানারে আয়োজিত এক সম্মেলনে রায় ও হুসেন উত্তেজনাপূর্ণ বক্তব্য দেন।
অভিযোগকারী দাবি করেন, রায় ও হুসেন জোর দিয়ে বলেছিলেন, কাশ্মীর কখনোই ভারতের অংশ ছিল না এবং এটি ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী দ্বারা জোরপূর্বক দখল করা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের স্বাধীনতার জন্য সবরকম প্রচেষ্টা চালানো উচিত। অভিযোগকারী তাদের বক্তব্যের রেকর্ডিংও জমা দিয়েছেন। ওই সম্মেলনে হুরিয়াত নেতা সৈয়দ আলী শাহ গিলানি, এসএআর গিলানি এবং ভারাভারা রাওও উপস্থিত ছিলেন। এসএআর গিলানি ওই সম্মেলনের সঞ্চালক ছিলেন এবং সংসদ হামলা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত ছিলেন।