দিল্লি-এনসিআর-এর বায়ু দূষণ পরিস্থিতি মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছানোর কারণে, বায়ু মান নিয়ন্ত্রণ কমিশন (CAQM) আজ থেকে চতুর্থ পর্যায়ের গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান (GRAP) কার্যকর করেছে। গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান (GRAP) হল ভারতের ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিয়নে (NCR) বায়ু দূষণ মোকাবেলায় কার্যকরী নির্দেশিকা এবং পদক্ষেপের একটি তালিকা। যার মধ্যে রয়েছে দিল্লি ও তার আশেপাশের এলাকা।
রবিবার বিকেল ৪টা নাগাদ দিল্লির দৈনিক গড় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) ৪৪১-এ পৌঁছায়, যা সন্ধ্যা ৭টায় বেড়ে ৪৫৭ হয়ে যায়। এই তথ্য কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (CPCB) থেকে পাওয়া গেছে।
বায়ুর মান আরও খারাপ হওয়া ঠেকাতে কঠোর দূষণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। চতুর্থ পর্যায়ের GRAP-এর আওতায় কয়েকটি কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে:
১. দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ছাড়া বাকি সব শ্রেণির ক্লাস বন্ধ থাকবে। তবে অনলাইনে চলবে পড়াশুনা।
২. অত্যাবশ্যক পণ্য বহনকারী ও পরিষেবা প্রদানকারী ট্রাক ছাড়া অন্য সমস্ত ট্রাকের দিল্লিতে প্রবেশ নিষিদ্ধ। LNG/CNG/ইলেকট্রিক/BS-VI ডিজেল ট্রাকগুলো ঢুকতে পারবে।
৩. দিল্লির বাইরে রেজিস্টার্ড লাইট কমার্শিয়াল ভেহিকেল, যা ইভি, CNG বা BS-VI ডিজেল নয়, তাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ, তবে অত্যাবশ্যক পণ্য পরিবহনকারীদের জন্য ছাড় থাকবে।
৪. দিল্লি-রেজিস্টার্ড BS-IV ও তার নিচের ডিজেলচালিত মাঝারি ও ভারী পণ্যবাহী যানবাহন বন্ধ থাকবে, শুধুমাত্র অত্যাবশ্যক পরিষেবার জন্য অনুমতি থাকবে।
৫. এনসিআর রাজ্য সরকার ও দিল্লি সরকার সিদ্ধান্ত নেবে সরকারী, পুরসভা ও বেসরকারি অফিসের ৫০ শতাংশ কর্মীকে বাড়ি থেকে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হবে কি না।
সরকার কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা, জরুরি নয় এমন বাণিজ্যিক কার্যকলাপ বন্ধ করা, যানবাহনের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা এবং গাড়ির জন্য অড-ইভেন নিয়ম চালু করার মতো জরুরি পদক্ষেপের কথাও বিবেচনা করতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের ক্ষেত্রেও বাড়ি থেকে কাজের সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
সরকার ও জনগণের যৌথ প্রচেষ্টায় এই বিধিনিষেধ সফল করার লক্ষ্যে বিশেষ নির্দেশিকা অনুসরণের আহ্বান জানানো হয়েছে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ বা অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়ির বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।