মহারাষ্ট্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেবেন্দ্র ফড়নবীসের নাম ঘোষণা করলেন বিজেপি নেতা সুধীর মুঙ্গন্তিওয়ার। সোমবার তিনি জানান, “দলীয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিজেপি কোনো চমক দেবে না।”
মুঙ্গন্তিওয়ার আরও জানান, একনাথ শিন্ডে এই সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট নন। বিজেপি নেতার কথায়, “কোনো বিভাগ নিয়ে দাবি জানানো মানেই অসন্তোষ নয়। শিন্ডে সবাইকে ভালোভাবে সামলান। তিনি সরকারের অংশ হবেন এবং যথাযোগ্য সম্মান পাবেন”।
এর আগেই জানা গিয়েছে, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান আগামী ৫ ডিসেম্বর মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উপস্থিত থাকবেন বলেও দাবি করেছেন বিজেপি নেতারা।
বিজেপি সূত্রে জানা গেছে, নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য বিজেপি বিধায়ক দলের বৈঠক ২ অথবা ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। ফড়নবীসই মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন।
সোমবার বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে জানিয়েছেন, বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের সিদ্ধান্তকে তিনি সমর্থন করবেন। তাঁর ছেলে শ্রীকান্ত শিন্ডেকে উপমুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে এবং শিবসেনা স্বরাষ্ট্র দফতরের দায়িত্ব পেতে আগ্রহী বলে জল্পনা চলছে।
সূত্রের খবর, বিজেপি নতুন মন্ত্রীসভায় ১৭ জন মন্ত্রী মনোনীত করতে পারে, যেখানে পুরনো এবং নতুন মুখের সমন্বয় থাকবে। শিন্ডের শিবসেনা থেকে ৯ জন এবং অজিত পওয়ার শিবির থেকে ৭ জন মন্ত্রী থাকতে পারেন।
এই প্রস্তাবিত মন্ত্রীসভা নিয়ে মহাযুতির মধ্যে আলোচনা চলতে থাকায়, শিবসেনার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দাবির পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে নজর রয়েছে।
২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিজেপি, শিবসেনা এবং অজিত পওয়ারের এনসিপিকে নিয়ে গঠিত মহাযুতি জোট ২৩০টি আসন দখল করেছে। তার মধ্যে বিজেপি একাই পেয়েছে ১৩২টি আসন। শিবসেনা ও এনসিপির আসনসংখ্যা যথাক্রমে ৫৭ ও ৪১। ফলে বিজেপি এনসিপির সমর্থন পেলেই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যা ১৪৫ আসন পার হয়ে যাবে, যা শিন্ডের জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তুলেছে।
আরও পড়ুন: বিধানসভায় মুখোমুখি মমতা-রাজ্যপাল, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সৌজন্যের বার্তা