ভোটের সময় প্রতি বছরই বিরোধীরা শাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন— ভোটার তালিকায় ভুয়ো নাম, মৃত ব্যক্তির উপস্থিতি, একাধিক কার্ড তৈরি! এই অভিযোগের মূলে বারবার প্রশাসনিক শিথিলতা বা অনিচ্ছার অভিযোগ উঠলেও এবার সেই বিতর্কের অবসান ঘটাতে বড় পদক্ষেপ নিল নির্বাচন কমিশন।
নতুন ব্যবস্থায় এবার থেকে ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেলের (আরজিআই) অফিস থেকে নিয়মিতভাবে মৃত্যু নথিভুক্তিকরণের তথ্য পাবে নির্বাচন কমিশন। ফলে রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কারা মৃত, সেই তথ্য সঙ্গে সঙ্গেই পৌঁছে যাবে সংশ্লিষ্ট এলাকার ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ইআরও)-এর কাছে।
এরপর সেই তথ্য যাচাই করতে মাঠে নামবেন বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও)-রা। তাঁরা সরাসরি মৃত ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে তথ্য মিলিয়ে নেবেন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে ফর্ম-৭ পূরণ করিয়ে নেবেন现场েই। এর ফলে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার জন্য আর আলাদা করে পরিবারের তরফে অনুরোধ করার প্রয়োজন পড়বে না।
এই উদ্যোগের ফলে ভোটার তালিকা আরও নির্ভুল ও স্বচ্ছ হবে বলে মনে করছে কমিশন।
শুধু এখানেই নয়, ভোটারদের সুবিধার্থে এবার ভোটার ইনফরমেশন স্লিপের (ভিআইএস) নকশাতেও বড় পরিবর্তন আনছে কমিশন। ভোটারদের সিরিয়াল নম্বর ও পার্ট নম্বর এবার থেকে আরও বড় করে ছাপা হবে, যাতে তা সহজে চোখে পড়ে।
বিএলও-দের জন্যও থাকবে আলাদা ফটো-সহ পরিচয়পত্র। এতে করে ভোটাররা সহজেই তাঁদের চিহ্নিত করতে পারবেন এবং প্রয়োজনে গোপনে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে নিজের তথ্য যাচাই করাতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বহু রাজনৈতিক নেতা। তাঁদের মতে, এই ব্যবস্থায় ভুয়ো বা মৃত ভোটার সংক্রান্ত অভিযোগ অনেকটাই কমবে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আরও নির্ভরযোগ্য হবে।