দেশ
দেশ জুড়ে তল্লাশির মধ্যেই আয়কর দফতরের কর্তাদের ডেকে পাঠাল নির্বাচন কমিশন
নয়াদিল্লি: ভোটের মুখে আয়কর হানা নিয়ে শোরগোল পড়েছে বিরোধী রাজনৈতিক মহলে। বিরোধীদের অভিযোগ, তাদের হেনস্থা করার জন্য ইচ্ছাকৃত ভাবেই এই আয়কর হানা চালানো হচ্ছে। এরই মধ্যে আয়কর দফতরের কর্তাদের দেকে পাঠাল নির্বাচন কমিশন। আয়কর হানার বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য আয়কর দফতরের প্রধান ও রাজস্ব সচিবকে ডেকে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবারই তাঁরা আলোচনায় বসতে পারেন বলে […]

নয়াদিল্লি: ভোটের মুখে আয়কর হানা নিয়ে শোরগোল পড়েছে বিরোধী রাজনৈতিক মহলে। বিরোধীদের অভিযোগ, তাদের হেনস্থা করার জন্য ইচ্ছাকৃত ভাবেই এই আয়কর হানা চালানো হচ্ছে। এরই মধ্যে আয়কর দফতরের কর্তাদের দেকে পাঠাল নির্বাচন কমিশন।
আয়কর হানার বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য আয়কর দফতরের প্রধান ও রাজস্ব সচিবকে ডেকে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবারই তাঁরা আলোচনায় বসতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। তবে বিরোধীদের অভিযোগের মান্যতা দিয়ে রবিবার একটি উল্লেখযোগ্য ঘোষণা করেছিল কমিশন। রাজস্ব দফতরকে চিঠি দিয়ে কমিশন বলে, আয়কর হানার পিছনে যেন কোনো রাজনীতি না থাকে। নিরপেক্ষ ভাবেই যেন এই তল্লাশি চালানো হয়, এমনই জানিয়েছিল কমিশন। পাশাপাশি তল্লাশি চালানোর আগে তাদের অবগত করার জন্য আয়কর দফতরকে নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন।
এখনও পর্যন্ত যাঁদের বাড়ি বা অফিসে আয়কর তল্লাশি হয়েছে, তাঁদের মধ্যে আছেন বহুজন সমাজ পার্টির প্রধান মায়াবতী, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী এবং মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের ঘনিষ্ঠরা। কেন এই ব্যক্তিদের বাড়িতে তল্লাশি জরুরি ছিল, সে ব্যাপারে কমিশনকে জানাবেন আয়কর কর্তারা।
আরও পড়ুন ভোটের মুখে লেকটাউন থেকে উদ্ধার ৪ লক্ষ টাকা, ধৃত ৩
রাজস্ব দফতর থেকে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে যে কারও বাড়িতে বা অফিসে তল্লাশির আগে তারা রাজনীতির রং যেন না দেখে। এর মধ্যে তাঁর বাড়িতেও আয়কর তল্লাশির ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম।
I have been told that the I T department has plans to raid my residence in Sivaganga constituency and in Chennai. We will welcome the search party!
— P. Chidambaram (@PChidambaram_IN) April 7, 2019
দেশ
আন্তর্জাতিক উড়ানের উপর বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়াল কেন্দ্র
৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ল বিধিনিষেধের মেয়াদ!

নয়াদিল্লি: আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী উড়ানের উপর বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়াল কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, এই বিধিনিষেধের মেয়াদ ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
অসমারিক বিমান পরিবহণমন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক যাত্রীবাহী বিমান পরিবহণের উপর বিধিনিষেধের মেয়াদ ৩১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। বিজ্ঞপ্তির বৈধতা ৩১ মার্চ রাত ২৩.৫৯টা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
তবে এই নিষেধাজ্ঞা দুই দেশের মধ্যে চলাচলকারী সমস্ত বিমানের উপর কার্যকর নয়। যেমন এই বিধিনিষেধ আন্তর্জাতিক পণ্যবাহী বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে অনুমোদিত বিমানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পরিস্থিতি অনুযায়ী বাছাই করা কিছু যাত্রাপথে নির্দিষ্ট কিছু উড়ানকে অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।
প্রসঙ্গত গত বছরের মার্চ মাসে করোনাভাইরাস অতিমারির জেরে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারত। তার পরে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ‘এয়ার বাবল’ তৈরি করে বর্তমানে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চলছে। পুরোদস্তুর পরিষেবা এখনও চালু হয়নি। ফলে এমনিতেই স্বাভাবিকের থেকে অনেক কম আন্তর্জাতিক বিমান চলছে।
এরই মধ্যে গত ডিসেম্বরে করোনার নতুন প্রজাতির সংক্রমণ নিয়ে ব্রিটেনে নতুন করে উদ্বেগ বেড়ে যাওয়ার কারণে সেই পরিষেবাও বন্ধ রাখা হয়। পরে অবশ্য সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছিল।
আরও পড়তে পারেন: যৌন হয়রানির অভিযোগকে কার্পেটের নীচে চেপে রাখা যায় না: সুপ্রিম কোর্ট

খবর অনলাইন ডেস্ক: ভারতের শেষ কয়েকদিনের করোনা-গ্রাফ নতুন করে সতর্কতামূলক ইঙ্গিত দিচ্ছে। শনিবার সকালে প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা পার হল ১৬ হাজারের গণ্ডি, অন্য দিকে শুধুমাত্র মহরাষ্ট্রেই আক্রান্তের সংখ্যা আট হাজারের উপরে! অর্থাৎ, সারা দেশে মোট আক্রান্তের ৫০ শতাংশের বেশি শুধুমাত্র এই একটি রাজ্যেই।
নতুন আক্রান্ত ১৬ হাজারের বেশি
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ১০ লক্ষ ৭৯ হাজার ৯৭৯। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৪৮৮ জন।
এ দিন ভারতে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫৯০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সক্রিয় রোগী বেড়েছে ৩ হাজার ৬০৪ জন। বর্তমানে দেশে ১.৪৪ শতাংশ কোভিডরোগী চিকিৎসাধীন। আগের দিন এই হার ছিল ১.৪১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা আগের দিনের থেকে কিছুটা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে মৃত্যু হয়েছে ১১৩ জনের, এর মধ্যে ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে মহারাষ্ট্রে। ভারতে এখন মোট মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৯৩৮। মৃত্যুহার ১.৪২ শতাংশের আশেপাশে রয়েছে।
দৈনিক সুস্থতার সংখ্যাটি এ দিন ফের ১২ হাজারের উপরে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৭৭১ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ কোটি ৭ লক্ষ ৬৩ হাজার ৪৫১ জন। দেশে এখন সুস্থতার হার রয়েছে ৯৭.১৪ শতাংশ।
মহারাষ্ট্রের করোনা-পরিস্থিতি
শেষ ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ৩৩৩। এই সময়কালে সুস্থতার সংখ্যা যথাক্রমে ৪ হাজার ৯৩৬।
মহারাষ্ট্রে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ২১ লক্ষ ৩৮ হাজার ১৫৪, সুস্থ হয়েছেন ২০ লক্ষ ১৭ হাজার ৩০৩ জন, মৃত ৫২ হাজার ৪১ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ৬৮ হাজার ৮১০ জন কোভিডরোগী।
পশ্চিমবঙ্গের করোনা-পরিস্থিতি
রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতির বিশাল অবনতি না হলেও, সামান্য চিন্তা তৈরি করছে বইকি। দু’দিন পর রাজ্যে সংক্রমণের হারটি ফের ১ শতাংশের ওপরে উঠে গিয়েছে। এ দিকে দৈনিক সংক্রমণ এবং দৈনিক সুস্থতার সংখ্যায় পার্থক্যটাও কমতে শুরু করেছে। কিছুদিনের মধ্যে রাজ্যে দৈনিক সুস্থতা ফের দৈনিক সংক্রমণের নীচে চলে আস্তে পারে, এমন আশঙ্কাও করা হচ্ছে।
বিস্তারিত পড়তে পারেন এখানে ক্লিক করে: রাজ্যের সংক্রমণের হার বেড়ে ফের ১ শতাংশের ওপরে, সক্রিয় রোগী কমল মাত্র ১০
দেশ
যৌন হয়রানির অভিযোগকে কার্পেটের নীচে চেপে রাখা যায় না: সুপ্রিম কোর্ট
“আপনি খুব সূক্ষ্ম বরফের উপর দিয়ে হাঁটছেন। আপনি যে কোনো সময় পড়ে যেতে পারেন…”, বলল সুপ্রিম কোর্ট!

খবর অনলাইন ডেস্ক: বিচার বিভাগীয় এক মহিলা আধিকারিককে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে মধ্যপ্রদেশের এক অবসরপ্রাপ্ত জেলা বিচারকের বিরুদ্ধে। ওই মামলার তদন্তেই তাৎপর্যপূর্ণ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, যৌন হয়রানির মামলাগুলিকে “আমরা কার্পেটের নীচে ঢেকে রাখতে পারি না”। জুনিয়র মহিলা জুডিশিয়াল অফিসারের অভিযোগের ভিত্তিতে মধ্যপ্রদেশের ওই অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজকে রাজ্যের হাইকোর্টের নির্দেশিত “অভ্যন্তরীণ বিভাগীয় তদন্তের” মুখোমুখি হতে বলেছে শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্ট কী বলল
ভারতের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের নেতৃত্বাধীন একটি তিন সদস্যের বেঞ্চের শুনানিতে বলা হয়, “আপনি খুব সূক্ষ্ম বরফের দিয়ে উপর হাঁটছেন। আপনি যে কোনো সময় পড়ে যেতে পারেন। তদন্তে আপনার কাছে কোনো সুযোগ থাকলেও থাকতে পারে”।
শীর্ষ আদালত এমনও বলে, “তবে এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে আপনি অভিযুক্ত। যৌন হয়রানির অভিযোগগুলোকে আমরা এ ভাবে কার্পেটের নীচে চেপে রাখতে পারি না”।
অবসরপ্রাপ্ত জেলা বিচারকের বিরুদ্ধে এক জুনিয়র জুডিশিয়াল অফিসার দায়ের করা যৌন হয়রানির অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ দেয় মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। এর আগে ওই আবেদনের শুনানি করতে অনীহা প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট।
মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন প্রবীণ আইনজীবী রবীন্দ্র শ্রীবাস্তব। তিনি ভারতের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের কাছে অভিযোগকারী মহিলা অফিসারকে পাঠানো হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজগুলি পড়ে শোনান। ওই মেসেজগুলি পাঠিয়েছিলেন অভিযুক্ত প্রাক্তন জেলা বিচারক।
হাইকোর্টের সঙ্গে সহমত সুপ্রিম কোর্ট
তিনি বলেন, “আবেদনকারী একজন সিনিয়র জুডিশিয়াল অফিসার। একজন মহিলা আধিকারিকের সঙ্গে তাঁর (অবসরপ্রাপ্ত জেলা বিচারক) আচরণ আরও যথাযথ হওয়া উচিত ছিল”।
এতে সহমত প্রকাশ করে বেঞ্চ মৌখিক ভাবে বলে, “একজন জুনিয়র অফিসারের সঙ্গে ফ্লার্ট করা কোনো বিচারকের পক্ষে গ্রহণযোগ্য আচরণ নয়।”
শুক্রবার আবেদনকারীর যুক্তি শোনার পরে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ ওই অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে তদন্তে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি আবেদনটি প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রাক্তন বিচারকের আইনজীবী হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে জানানো আবেদন প্রত্যাহার করে নেন।
আরও পড়তে পারেন: পৃথক ভাবে থাকা স্ত্রীকে খোরপোশ দেওয়ার দায়িত্ব থেকে মুখ ফেরাতে পারবেন না স্বামী: সুপ্রিম কোর্ট
-
প্রযুক্তি3 days ago
রান্নার গ্যাসের ভরতুকির টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে কি না, কী ভাবে দেখবেন
-
দেশ17 hours ago
পশ্চিমবঙ্গে ৮ দফায় ভোট, কলকাতায় ভোট ২৬ ও ২৯ এপ্রিল
-
কলকাতা2 days ago
শুধু দড়ি বেঁধে ম্যানহোলের কাজ করতে নেমে কুঁদঘাটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, মৃত ৪ শ্রমিক
-
প্রযুক্তি2 days ago
সোশ্যাল, ডিজিটাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপ কেন্দ্রের