আগামী ১ এপ্রিল থেকে প্রায় ৯০০টিরও বেশি প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম বাড়তে চলেছে। সংক্রমণ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের দাম ১.৭৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে সরকারের ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (NPPA)।
NPPA জানিয়েছে, প্রতি বছর আগের বছরের হোলসেল প্রাইসিং ইনডেক্স (WPI)-এর ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম পরিবর্তন করা হয়। চলতি বছরে WPI বৃদ্ধি ১.৭৪ শতাংশ হওয়ায়, সংশ্লিষ্ট ওষুধগুলোর দাম বাড়ানো হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই দাম বাড়ানোর জন্য সরকারের কোনো পূর্বানুমতির প্রয়োজন নেই।
কোন কোন ওষুধের দাম বাড়ছে?
- সাধারণত ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক আজিথ্রোমাইসিনের ২৫০ মিগ্রা ট্যাবলেটের দাম হবে ১১.৮৭ টাকা এবং ৫০০ মিগ্রা ট্যাবলেটের দাম ২৩.৯৮ টাকা।
- অ্যামোক্সিসিলিন ও ক্ল্যাভুলানিক অ্যাসিডযুক্ত ড্রাই সিরাপের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি মিলিলিটার ২.০৯ টাকা।
- অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ এসাইক্লোভিরের ২০০ মিগ্রা ও ৪০০ মিগ্রা ট্যাবলেটের দাম যথাক্রমে ৭.৭৪ টাকা ও ১৩.৯০ টাকা।
- ব্যথানাশক ডাইক্লোফেনাকের দাম হবে ২.০৯ টাকা, এবং আইবুপ্রোফেনের ২০০ মিগ্রা ও ৪০০ মিগ্রা ট্যাবলেটের দাম হবে যথাক্রমে ০.৭২ টাকা ও ১.২২ টাকা।
- টাইপ ২ ডায়াবেটিসের জন্য ব্যবহৃত ডাপাগ্লিফ্লোজিন, মেটফরমিন হাইড্রোক্লোরাইড (এক্সটেন্ডেড রিলিজ) এবং গ্লিমিপিরাইডের সংমিশ্রণ ট্যাবলেটের দাম হবে ১২.৭৪ টাকা।
স্টেন্টের দামও বাড়ছে
করোনারি স্টেন্ট প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলোও ১.৭৪ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়াতে পারবে। সাধারণ মেটাল স্টেন্টের দাম হবে ১০,৬৯২.৬৯ টাকা এবং ড্রাগ-এলুটিং স্টেন্টের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৮,৯৩৩.১৪ টাকা।
সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ
দাম বৃদ্ধির খবর পাওয়ার পর থেকেই সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চিকিৎসার খরচ আরও বাড়বে, যা অনেকের জন্য বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে।
NPPA জানিয়েছে, সংশোধিত দামের তালিকা শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে।