নেই মামার থেকে কানা মামা ঢের ভালো। তাই মনে হয় গদি গেলেও ঘরের মোহ ছাড়তে পারেননি লখনউয়ের ছয় ছয় জন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী — কল্যাণ সিংহ, রাজনাথ সিংহ, মুলায়ম সিংহ যাদব, মায়াবতী, নারায়ণ দত্ত তিওয়ারী এবং রামনরেশ যাদব। এঁদের কেউই নিজেদের হৃত গৌরবের মায়া ছাড়তে পারেননি বলেই হয়ত মুখ্যমন্ত্রিত্ব ঘুচলেও সরকারি আবাসনেই রয়ে গেছেন দীর্ঘদিন। এঁদের মধ্যে আবার রাজনাথ সিংহ আবার কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
কিন্তুর সুখের সেই দিন বোধহয় গেল। সুপ্রিম কোর্ট বলে দিয়েছে, আগামী দু’-তিন মাসের মধ্যে বাংলো ছেড়ে দিতে হবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের।
লখনউইয়ের মল রোড ও বিক্রমাদিত্য মার্গ এলাকায় সরকারি আবাসন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীরা জবরদখল করে রেখেছেন বলে ‘লোকপ্রহরী’ নামে উত্তরপ্রদেশের একটি এনজিও এলাহাবাদ কোর্টে মামলা করে। তাদের বক্তব্য ছিল, বেআইনি ভাবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীরা সরকারি আবাসন দখল করে রেখেছেন। এই বসবাস অসাংবিধানিক।
বিচারপতি অনিল আর দেব, বিচারপতি ইউ ইউ ললিত, বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও-এর ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, সরকারি আবাসন দখল করে রাখার কোনও অধিকার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের নেই। সারা জীবন ধরে ওই আবাসনে তাঁরা বাস করতে পারেন না।
তথ্য বলছে, রামনরেশ যাদব মুখ্যমন্ত্রী-পদ খোয়ান ১৯৭৯-এর ২৭ ফেব্রুয়ারি, নারায়ণ দত্ত তিওয়ারি শেষ বারের মতো পদ ছাড়েন ১৯৮৯-এর ৫ ডিসেম্বর, রাজনাথ সিংহ মুখ্যমন্ত্রিত্ব শেষ ২০০২-এর ৮ মার্চ, মুলায়ম সিংহ যাদবের মুখ্যমন্ত্রিত্ব শেষ হয় ২০০৭-এর ১৩ মে, কল্যাণ সিংহ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ১৯৯৯-এর ১২ নভেম্বর পর্যন্ত এবং মায়াবতীর মুখ্যমন্ত্রিত্বে দাঁড়ি পড়ে ২০১২-এর ১৫ মার্চ।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।