জয়পুর: কৃষকের স্বার্থরক্ষায় ১১ দফা দাবিতে উত্তাল রাজস্থান। রাজ্যের বসুন্ধরা রাজের সরকার সর্বশক্তি দিয়ে সেই আন্দোলন রুখবার চেষ্টা করেও সফল হচ্ছে না। উল্টে পুলিশের ভুল পদক্ষেপে কৃষক সংগঠনের প্রতিবাদ সভা সার্থক হয়ে উঠছে।
গত কয়েক দিনের মধ্যেই ২০০-র উপর কৃষক নেতাকে গারদে পুরেছে পুলিশ। গত বুধবার জয়পুর যাওয়ার পথে গ্রেফতার করা হয়েছে সারা ভারত কিষাণসভার সহ সভাপতিকে। এর পরই পুলিশ ধারণা করেছিল, নেতাকে গ্রেফতারের পর হয়তো সমর্থকরা পিছু হঠবেন। সংগঠন যে বিধানসভা ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল, তা হয়তো মাঠে মারা যাবে। কিন্তু আন্দোলনের আঁচ কোনো অংশে কমেনি। উল্টে কৃষকের আন্দোলন আকার নিচ্ছে বিদ্রোহে।
জয়পুরে রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক কার্যালয় ঘেরাওয়ের জন্য যে বিপুল সংখ্যক সমর্থক অংশ নিতে পারে, সেই ধারণা উড়িয়ে দিয়ে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু ওই প্রতিবাদী জনতার স্রোত বিধানসভা চত্বরে ঢুকতে না পারলেও অবরুদ্ধ করে দেয় ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক। বিপুল সংখ্যক প্রতিবাদীর সামনে পড়ে অপর্যাপ্ত পুলিশ বাহিনী তা সামাল দিতে হিসশিম খেয়ে যায়। অন্য দিকে বিধানসভার আশেপাশে ঘেঁষতে না পারলেও জাতীয় সড়কেই নিজেদের কর্মসূচি পেশ করেন সংগঠনের নেতারা।
এক সমর্থক জানিয়েছেন, জয়পুর থেকে গঙ্গানগর যাওয়ার পথে বাধাপ্রাপ্ত হন প্রতিবাদীরা। সকাল থেকেই রাস্তায় ঢল নামতে শুরু করে কৃষকদের। কয়েক জনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই নিরন্তর আন্দোলন যে ক্রমশ স্ফূলিঙ্গের মতোই বিস্তার লাভ করে চলেছে, তা বেশ ভালো ভাবেই টের পাচ্ছেন বিজেপি-শাসিত ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।