ছররা বন্দুকের ব্যবহার যদি নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়, তা হলে প্রয়োজনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বুলেট চালাতে হতে পারে। এতে হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে – শুক্রবার জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টে পেশ করা এক হলফনামায় এই কথা বলেছে সিআরপিএফ।
হিজবুল জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উপত্যকায় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে নিরাপত্তাবাহিনী ব্যাপক ভাবে ছররা তথা পাথরের গুলি ব্যবহার করে। এই ছররার বন্দুক ব্যবহার নিষিদ্ধ করার নির্দেশ চেয়ে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থের মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনীকে হলফনামা জমা দিতে বলে। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে সিআরপিএফ-এর পক্ষ থেকে শুক্রবার হলফনামা জমা দেওয়া হয়।
হলফনামায় বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে ছররা ব্যবহার করা হচ্ছে। জনতা নিয়ন্ত্রণ করার পক্ষে এটা একটা কার্যকর অস্ত্র। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে জনতা নিয়ন্ত্রণে অনেক সময় চিরাচরিত পদ্ধতিগুলো কাজে আসে না। তখন ছররা ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু এই গুলি যদি নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় এবং পরিস্থিতি যদি চরম আকার ধারণ করে তা হলে তখন জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে বাধ্য হয়ে বাহিনীকে ‘ফায়ার বুলেট’ চালাতে হবে। সে ক্ষেত্রে হতাহতের সংখ্যা অনেক বাড়বে।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।