পানাজি: কাতারে চলছে ফুটবলের বিশ্বযুদ্ধ। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই উপভোগ করছেন দুনিয়াসুদ্ধু ফুটবলপ্রেমীরা। এরই মধ্যে ফিফা বিশ্বকাপ ২০২২ (FIFA World Cup Qatar 2022) বয়কটের আহ্বান জানালেন এক বিজেপি নেতা।
কেন বিশ্বকাপ বয়কটের ডাক
সরকার, ভারতীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এবং আয়োজক দেশ ভ্রমণকারী ভারতীয়দের কাছে ক্রীড়া অনুষ্ঠানটি বয়কট করার আবেদন জানিয়েছেন বিজেপির মুখপাত্র স্যাভিও রদরিগেজ (Savio Rodrigues)। ফিফা বিশ্বকাপে বিতর্কিত ইসলাম প্রচারক জাকির নায়েক (Zakir Naik)-কে কাতারের আমন্ত্রণ জানানোর জন্যই এহেন ডাক দিয়েছেন বিজেপি নেতা।
জানা গিয়েছে, ভারত থেকে পলাতক জাকির নায়েককে চলমান ফিফা বিশ্বকাপ চলাকালীন ইসলামের উপর বক্তৃতা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে কাতার। এ প্রসঙ্গে একটি বিবৃতিতে রদরিগেজ বলেন, এমন সময়ে নায়েককে একটি প্ল্যাটফর্ম দেওয়া হচ্ছে, যখন বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এতে বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য অভিযুক্তের প্রতি কার্যত সহানুভূতি দেখানো হচ্ছে।
জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে অভিযোগ
রদরিগেজের কথায়, “জাকির নায়েক ভারতীয় আইনের অধীনে একজন ওয়ান্টেড ব্যক্তি। তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অপরাধ এবং ঘৃণাত্মক বক্তৃতা করার অভিযোগ রয়েছে। সন্ত্রাসবাদীদের প্রতি সহানুভূতিশীল তিনি। আসলে, তিনি নিজে একজন সন্ত্রাসবাদীর চেয়ে কম নন। প্রকাশ্যে ওসামা বিন লাদেনকে সমর্থন করেছেন এবং ভারতে ইসলামিক উগ্রবাদ ও ঘৃণা ছড়ানোর ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছেন”।
বলে রাখা ভালো, এ বছরের মার্চের শুরুতে, জাকির নায়েক-প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন (IRF)-কে একটি বেআইনি সংস্থা হিসেবে ঘোষণা করেছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এই সংস্থাকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল কেন্দ্র।
ধর্মীয় বক্তৃতা করার কথা জাকিরের
শনিবার টুইটারে কাতারের সরকারি ক্রীড়া চ্যানেল আলকাসের উপস্থাপক ফয়সাল আলহাজরিকে উদ্ধৃত করে আল আরাবিয়া নিউজ জানিয়েছে, “বিশ্বকাপের সময় প্রচারক শেখ জাকির নায়েক কাতারে রয়েছেন। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে বেশ কয়েক বার ধর্মীয় বক্তৃতা করবেন তিনি।”
এ দিকে, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বলেছিল, আইআরএফের প্রতিষ্ঠাতা জাকির নায়েকের বক্তৃতা আপত্তিকর। কারণ, নিজের বক্তৃতায় সন্ত্রাসবাদীদের প্রশংসা করেন ওই ধর্ম প্রচারক। শুধু তাই নয়, অভিযোগ, আইআরএফ প্রতিষ্ঠাতা যুবকদের জোর করে ইসলামে ধর্মান্তরিত করার প্রচারও করছেন। অন্য ধর্মের অবমাননা করার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: সরকার-বিরোধী আন্দোলনে সমর্থন, ইংল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচে জাতীয় সংগীত গাইল না ইরান