হাথরস (উত্তরপ্রদেশ): উত্তরপ্রদেশের মুখ্য সচিব মনোজ কুমার সিং মঙ্গলবার বলেছিলেন, স্থানীয় ধর্মগুরু নারায়ণ সাকার হরি তথা ভোলে বাবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু হাথরস পদপিষ্ট-কাণ্ড নিয়ে যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে তাতে ভোলে বাবার নাম নেই। এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২১ হয়েছে। আহত হয়েছেন বহু। ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অন্তত পক্ষে আড়াই লক্ষ লোকের সমাগম হয়েছিল।
ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৫, ১১০, ১২৬ (২), ২২৩ এবং ২৩৮ ধারামতে প্রধান সেবাদার দেবপ্রকাশ মধুকর এবং অন্যান্য অজ্ঞাতপরিচয় সেবাদার এবং সংগঠকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
সিকান্দ্রারাউ থানার সাব- ইনস্পেকটর ব্রজেশ পাণ্ডের অভিযোগের ভিত্তিতে যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানে প্রায় ৮০ হাজার লোকের সমাবেশ হবে বলে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। এই সংগঠনের আগেকার অনুষ্ঠানে যে লাখ লাখ ভক্তের সমাবেশ হয়েছিল, সেই তথ্য লুকিয়ে রাখা হয়। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা এবং প্রতিবেশী রাজ্যগুলি থেকে আসা প্রায় আড়াই লক্ষ লোকের জমায়েত হয়েছিল। যে সব শর্তে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল তা মানা হয়নি বলে জি টি রোডে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।”
এফআইআর-এ আরও বলা হয়েছে, “প্রধান ধর্মগুরু সুরজপাল তথা ভোলে বাবা তাঁর ধর্মোপদেশ প্রদান শেষ করার পর দুপুর ২টো নাগাদ তিনি ওই স্থান ত্যাগ করেন। ভক্তরা তাঁর গাড়ির পিছন পিছন ছোটেন ধুলি সংগ্রহ করার জন্য। জি টি রোডের অন্য এক ধারে জনতা কাদা আর জলে ভরা তিন মিটার গভীর খেতের মধ্যে পড়ে যেতে থাকেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ জখম ব্যক্তিদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। কিন্তু সেবাদাররা কোনোরকম সহযোগিতা করেননি। ঘটনাস্থলে আহত ব্যক্তিদের জিনিসপত্র, পোশাক-আশাক ছুড়ে দিয়ে সাক্ষ্যপ্রমাণ বিকৃত করা হয়।”
আরও পড়ুন
হাথরসের ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়ে জনস্বার্থ মামলা
কে এই ‘বিশ্ব হরি ভোলে বাবা’? যাঁর ‘সৎসঙ্গে’ এসে হাথরসে প্রাণ গেল ১০৭ জনের
হাথরসে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হুড়োহুড়ি, পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ৮৭ জনের মৃত্যু