তিনসুকিয়া: এখনও বাঘজানের (Baghjan) তেলকূপের আগুন নেভেনি। উপায়ান্তর না দেখে এ বার আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের দ্বারস্থ হচ্ছে কেন্দ্র আর অসম (Assam) সরকার। আগুনের কারণে পরিবেশে এমনিতেও প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অবিলম্বে আগুন নেভানো না গেলে আরও ভয়াবহ বিপর্যয় আসতে পারে।
গত সপ্তাহের মঙ্গলবার বিধ্বংসী আগুন লেগে যায় অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেডের (OIL) এই তেলকূপে। এর আগে দু’ সপ্তাহ ধরে তেলকূপ থেকে গ্যাস লিক করছিল ক্রমাগত। সেই গ্যাস লিক ঠিক করতে ব্যর্থ হয় প্রশাসন।
আগুনের গ্রাসে ওআইএলের দুই কর্মীর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসে। যদিও গ্যাস লিকের কারণে অন্তত পাঁচ জন গ্রামবাসীরও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি অসংখ্য গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে।
চা-বাগান বা কৃষিজমিতে ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াও অন্তত ৫০টি বাড়ি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত তেলকূপের কাছাকাছি বসবাসকারী ১০ হাজার মানুষকে ত্রাণশিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
রবিবার ঘটনাস্থলে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan)। তিনি বলেন, “আমাদের এখন একটাই লক্ষ্য, যত দ্রুত সম্ভব এই আগুনকে নেভানো।” ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এখনও পর্যন্ত ৩০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
তবে অনেকেই এখনও ক্ষতিপূরণের টাকা হাতে পাননি বলে দাবি। আর সে কারণে মঙ্গলবার প্রতিবাদ-বিক্ষোভে শামিল হন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এ দিকে আগুন যেমন জ্বলছে, তেমনই তেলকূপের আশেপাশের অঞ্চলে এখনও কেঁপে উঠছে মাটি। এই ভূমিকম্প যে প্রাকৃতিক নয়, বরং তেলকূপের ঘটনার সঙ্গেই সম্পর্কিত সেটা বুঝতে কারও অসুবিধা হচ্ছে না। কিন্তু কী ভাবে ভূমিকম্প হচ্ছে, এখনও সেটা বুঝে উঠতে পারেনি কেউ।
এই ভূমিকম্পের কারণ জানার জন্য জোরহাটে অবস্থিত নর্থ-ইস্ট ইন্সটিটিউট অব সায়ান্স অ্যান্ড টেকনোলজির বিজ্ঞানীদের দ্বারস্থ হয়েছে অসম সরকার।