ওয়েবডেস্ক: নিয়ন্ত্রণরেখার ও পারে ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযান নিয়ে বিদেশমন্ত্রকের পুরো বিবৃতি-
“গত ১৪ ফেব্রুয়ারি, পাকিস্তানে অবস্থিত জঙ্গি সংগঠন জইশ-এ-মহম্মদ পুলওয়ামায় সিআরপিএফের কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা চালায়। এই ঘটনায় শহিদ হন ৪০ জন জওয়ান। গত দুই দশক ধরে পাকিস্তানে সক্রিয় জইশ-এ-মহম্মদ। মাসুদ আজহারের নেতৃত্বাধীন এই সংগঠনের সদর দফতরটি ভাওয়ালপুরে।
এই সংগঠনটি ভারতে একাধিক জঙ্গি হামলার ঘটনায় যুক্ত। এদের মধ্যে অন্যতম ২০০১-এ সংসদ হামলা এবং ২০১৬-এ পঠানকোট বিমানঘাঁটিতে হামলা।
পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত জঙ্গি শিবিরগুলির ব্যাপারে পাকিস্তানকে বারবার তথ্য দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান সেই সব তথ্য এবং প্রমাণ অস্বীকার করেছে। পাক প্রশাসনের নজর এড়িয়ে এই সব জঙ্গি ঘাঁটির কাজ করা কোনো ভাবেই সম্ভব নয়।
জইশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে বারবার অনুরোধ করেছে ভারত। কিন্তু তা সত্ত্বেও জঙ্গি পরিকাঠামো উপড়ে ফেলতে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি তারা।
গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী জানতে পারি, পুলওয়ামা হামলার মতো আরও এ রকম হামলা ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে করার চেষ্টা করছিল জইশ। এই কারণে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছিল। এর জন্যই তাদের শিবির লক্ষ করে হামলা চালানো ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় ছিল না।
আরও পড়ুন নিখুঁত লক্ষ্যে আঘাত করে জইশের সবচেয়ে বড়ো জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস, জানাল বিদেশমন্ত্রক
এই কারণেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে জইশের সব থেকে বড়ো শিবির লক্ষ করে বোমাবর্ষণ করেছে বায়ুসেনা। এই হামলায় অসংখ্য জঙ্গি, তাদের প্রশিক্ষক, সিনিয়র কম্যান্ডার নিহত হয়েছে। মাসুদ আজহারের ভায়রা ভাই মৌলানা ইউসুফ আজহার ওরফে উস্তাদ ঘৌরি এই শিবিরটি চালাত।
সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ভারত। সে কারণেই নিখুঁত লক্ষ্যে এই হামলা চালানো হয়েছে। আমরা এমন জায়গাকে লক্ষ্য করেছিলাম, যাতে সাধারণ মানুষের মৃত্যু এড়ানো যায়। লোকালয় থেকে অনেক দূরে একটি পাহাড়ের ওপরে এই প্রশিক্ষণ শিবিরটি রয়েছে। এই হামলার ব্যাপারে আরও বিশদ তথ্য কিছুক্ষণের মধ্যেই পাওয়া যাবে।
২০০৪-এর জানুয়ারিতে পাকিস্তান সরকার জানিয়ে দিয়েছিল, সে দেশের মাটিকে কোনো ভাবেই সন্ত্রাসবাদের কার্যকলাপে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। আমরা চাই, পাকিস্তান নিজেদের কথা রাখুক এবং জইশ-সহ সব জঙ্গি সংগঠনের শিবিরগুলি দেশের মাটি থেকে নির্মূল করে দিক।”
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।