নয়াদিল্লি : একে দূষণ তায় আবার দীপাবলির সময়। বাজি আর পটকার ধোঁয়ায় দূষণের মাত্রা যে কতগুণ বাড়চ্ছে তার কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। স্বাভাবিক ভাবেই কেউ কেউ নিজের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে পলিউশন মাস্ক ব্যবহার করছেন। আর চারদিকে তো হেলমেট পরে বাইক চালানোর কথা অহরহ বলা হচ্ছে। এই সবের আড়ালে যে ডাকাত লুকিয়ে, সে আর আগে কে বুঝেছে? তখনই বোঝা গেল যখন কিনা সব লুট হয়ে গেল।
ঘটনা গাজিয়াবাদ এলাকার গোবিন্দপুরমের আই ব্লকে। একটি গয়নার দোকানে ঢুকে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার সোনা রুপো আর নগদ অর্থ নিয়ে পালালো মুখোশধারী চার ডাকাতের দল। সময় দুপুর ১২টা ৪০ মিনিট। দোকানে তখন একাই ছিলেন দোকান মালিক অমন ভট। মুখে মাস্ক, মাথায় হেলমেট আর টুপি পরে দোকানে ঢোকে এই চার মূর্তি। তারপরই বন্দুকের নলের আগা মাথায় ঠেকিয়ে নয়-নয় করে আধ কিলোগ্রাম সোনা, ৩০ কিলোগ্রাম রূপো আর চার লক্ষ টাকা নগদ অর্থ নিয়ে পালায় তারা, জানিয়েছেন অমন।
অমন বলেন, দোকানে সিসিটিভি লাগানো থাকা সত্বেও বোঝা যাচ্ছে না ওই লুটেরাদের মুখ। বন্দুক ছাড়া এক জনের হাতে রামদাও ছিল। বাধা দিতে গেলেই গুলি চালানোর হুমকি দিচ্ছিল তারা। লকার খুলে যা আছে সব বের করে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। লকারে ছিল ধনতেরাস উপলক্ষে বিক্রির জন্য আনা প্রচুর জিনিস। ঝড়ের বেগে সব ফাঁকা। মাত্র তিন চার মিনিটে লুটের জিনিস থলেতে ভরে চম্পট দেয় ডাকাত দল। ওদের মধ্যে তিন জনের বয়স মোটামুটি ৪০ বছর। এক জন ২৫-৩০ বছরের।
প্রত্যক্ষদর্শী পাশের একটি ইস্তিরির দোকানের মালিক গোলাব। তিনি বলেন, দোকান থেকে বেরিয়ে আসতে দেখেন ওদের। মোটরবাইকে করে যেতেও দেখেন। কিন্তু প্রথমে ভেবেছিলেন ওরা দোকান মালিকের বন্ধু। কিন্তু বেরিয়ে শাটার নামিয়ে তাড়াহুড়ো করে চলে যেতে দেখে অবাক হন।
এ বার রাজ্যপালের মুখেও রামমন্দির নির্মাণের ডাক, হতভম্ব রাজনৈতিক মহল
ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে তদন্তে আসেন।
সিনিয়র সুপারিন্টেনডেন্ট অব পুলিশ বৈভব কৃষ্ণ বলেন, ঘটনাটি নিয়ে তদন্তকারী অনেকগুলি দল এক সঙ্গে কাজ করছে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে খুব শিগগিরি দোষীরা ধরা পড়বে।