কৃষি আইনের বিরুদ্ধে পঞ্জাব ছাড়া আর কোথাও প্রতিবাদ নেই, বললেন প্রকাশ জাভাড়েকর

0

পানাজি: কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন নিয়ে সারা দেশে থেকেই সদর্থক প্রতিক্রিয়া মিলেছে বলে শনিবার জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভাড়েকর। একই সঙ্গে তিনি বলেন, শুধুমাত্র পঞ্জাব থেকেই সংশোধিত কৃষি আইনের বিরোধিতা করা হচ্ছে।

মন্ত্রী বিরোধীদের নিশানায় রেখে অভিযোগ করে বলেন, রাজনৈতিক স্বার্থে পঞ্জাবের এই বিরোধিতার নেপথ্য রয়েছে শিরোমণি অকালি দল, কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টির মতো দলগুলি।

এ দিন উত্তর গোয়ার চোরাও গ্রামের একটি কৃষক গোষ্ঠীর সঙ্গে নতুন কৃষি আইন নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন মন্ত্রী। কৃষি আইনের ভালো দিকগুলি সাধারণ কৃষকদের মধ্যে তুলে ধরার জন্য বিশেষ কর্মসূচি নিয়ে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি। এ দিনের অনুষ্ঠানটি ছিল তারই একটি অঙ্গ।

কৃষকদের উদ্দেশে কেন্দ্রীয় পরিবেশমন্ত্রী বলেন, “পঞ্জাব ছাড়া ভারতে আর কোথাও কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কোনো আন্দোলন চলছে না। রাজনৈতিক কর্মসূচির অংশ হিসাবে কারও কৃষি আইন নিয়ে আন্দোলন করা উচিত নয়”।

তিনি দাবি করেন, “এই আইনগুলি সারা দেশের কৃষক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে দুর্দান্ত সাড়া পেয়েছে।
নরেন্দ্র মোদী সরকারের লক্ষ্য অতীতে বঞ্চিত হওয়া প্রতিটি কৃষককে ন্যায়বিচার পাইয়ে দেওয়া”।

জাভাড়েকর অভিযোগ করেন, “শরদ পওয়ার কৃষিমন্ত্রী থাকাকালীন আমি রাজ্যসভায় স্বামীনাথন কমিটির সুপারিশের বিষয়টি রাজ্যসভায় উত্থাপন করেছিলাম। কিন্তু তাঁরা কমিটির সুপারিশ কার্যকরে ব্যর্থ হয়েছিলেন”।

জাভাড়েকর অভিযোগ করেন, “শরদ পওয়ার কৃষিমন্ত্রী থাকাকালীন আমি রাজ্যসভায় স্বামীনাথন কমিটির সুপারিশের বিষয়টি রাজ্যসভায় উত্থাপন করেছিলাম। কিন্তু তাঁরা কমিটির সুপারিশ কার্যকরে ব্যর্থ হয়েছিলেন”।

প্রসঙ্গত, সংসদের বাদল অধিবেশনে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সংশোধনী’, ‘কৃষি পণ্য লেনদেন ও বাণিজ্য উন্নয়ন’ এবং ‘কৃষিপণ্যের দাম নিশ্চিত করতে কৃষকদের সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন চুক্তি’ সংক্রান্ত তিনটি বিল পেশ করেছিল কেন্দ্র। সংসদের বাইরে-ভিতরে বিক্ষোভের মাঝেই সেই বিলগুলি পাশ হয়ে যায়। সেগুলিতে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। স্বভাবতই নয়া তিনটি বিল আইনে পরিণত হয়েছে। যা নিয়ে এখনও অব্য়াহত চাপান-উতোর!

বিজ্ঞাপন