টেলিকম সংস্থাগুলির মোবাইলের ট্যারিফ বৃদ্ধি নিয়ে অস্বস্তিতে গ্রাহকরা। এরই মধ্যে নতুন বিতর্ক। একটি মহলের দাবি, একতরফা ভাবে মোবাইলের ট্যারিফ বৃদ্ধিতে বড় টেলিকম সংস্থাগুলিকে অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে, সরকারি ভাবে এমন দাবিকে পুরোপুরি নস্যাৎ করা হয়েছে।
মোবাইলের ট্যারিফ বাড়তেই জল্পনা শুরু হয়, রিলায়েন্স জিও, ভারতী এয়ারটেল এবং ভোডাফোন আইডিয়া-কে একতরফাভাবে কোনো নিয়ম ছাড়াই শুল্ক বৃদ্ধির অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। সম্প্রতি তিনটি টেলিকম সংস্থা নিজেদের প্রিপেড এবং পোস্টপেড প্ল্যানের দাম বাড়িয়েছে। যা ৪ জুলাই, ২০২৪ থেকে কার্যকর হয়েছে।
এ ব্যাপারে সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিনটি বেসরকারি টেলিকম সংস্থা এবং একটি সরকারি সংস্থার বর্তমান মোবাইল পরিষেবা বাজারের চাহিদা এবং সরবরাহ শক্তির সঙ্গে সাযুজ্য রেখে পরিচালিত হয়। নিয়ন্ত্রক কাঠামোর মধ্যে থেকেই ট্যারিফ নির্ধারিত হয়। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিবৃতিতে বলেছে, সরকার মুক্ত বাজারের সিদ্ধান্তগুলিতে হস্তক্ষেপ করে না কারণ কার্যকারিতাটি টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা ট্রাই (TRAI)-এর এক্তিয়ারের অধীনে এবং শুল্কগুলি সহনশীলতার মধ্যেই থাকে”।
একই সঙ্গে বলা হয়েছে, “মোবাইল পরিষেবার শুল্কের যে কোনও পরিবর্তন প্রথমে টেলিকম সংস্থাগুলির তরফে ট্রাই – কে অবহিত করা হয়। তারা পর্যবেক্ষণ করে দেখে যে এই ধরনের পরিবর্তনগুলি নির্ধারিত নিয়ন্ত্রক কাঠামোর মধ্যে রয়েছে কি না।”
ইতিমধ্যে সরকারি কর্মকর্তাদের মন্তব্য উদ্ধৃতি ইকোনমিকস টাইমস – এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুল্ক বৃদ্ধির বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বা টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা ট্রাই (TRAI)-এর হস্তক্ষেপ করার কোনো পরিকল্পনা নেই। তাদের মতে, ভারতীয় সংস্থাগুলির মোবাইল ট্যারিফ এখনও বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের তুলনায় কম। এক সরকারি কর্তা বলেন, টেলিকম কোম্পানিগুলো যাতে পরিষেবার মান বাড়ায়, সেদিকে জোর দেওয়া হচ্ছে।
এই সপ্তাহ থেকে, তিনটি বড় টেলিকম সংস্থা রিলায়েন্স জিও, ভারতী এয়ারটেল এবং ভোডাফোন আইডিয়ার প্ল্যানগুলি আগের তুলনায় ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। কোম্পানিগুলো মোবাইলের শুল্ক ১১ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়িয়েছে। প্রথমত, রিলায়েন্স জিও শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা করেছিল। এরপর ভারতী এয়ারটেল এবং ভোডাফোন আইডিয়াও শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন: ২৫০০০ টাকার মধ্যে ১০টি বাছাই মোবাইল