দেশ
দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে দু’বছরে বিভিন্ন মন্ত্রকে ১.৪ লক্ষের বেশি মানুষকে চাকরি মোদী সরকারের
২০২১ সালের ১ মার্চ পর্যন্ত কোন মন্ত্রকে কত জনকে চাকরি দেওয়া হচ্ছে, দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।

খবর অনলাইন ডেস্ক: প্রথম বার ক্ষমতায় আসার সময় বছরে দু’কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। প্রথম দফায় সেই সংখ্যার ধারেকাছে পৌঁছাতে না পারায় তুমুল সমালোচনায় সরব হন বিরোধীরা। দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসেও সেই লক্ষ্য কতটা পূরণ হয়েছে?
কেন্দ্রীয় সরকারের হিসেব অনুযায়ী, ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের ১ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন মন্ত্রকে ১.৪ লক্ষের বেশি মানুষকে চাকরি দিচ্ছে কেন্দ্র। ইকনোমিক্স টাইসম-এর রিপোর্ট অনুযায়ী কোন মন্ত্রকে কত জনকে এই মেয়াদে চাকরি দেওয়া হচ্ছে, দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।
কোন মন্ত্রকে কত
কৃষি, সহযোগিতা ও কৃষক কল্যাণ বিভাগ- ২,২০৭
অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক- ১,০৫৮
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক- ১২,৫৩৭
সংস্কৃতি মন্ত্রক- ৩,৬৩৮
ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রক- ২,৮৫৯
বিদেশ মন্ত্রক-২,২০৪
পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক- ২,২৬৩
বাণিজ্য মন্ত্রক-২,১৩৯
ইলেকট্রনিক্স মন্ত্রক-১,৪৫২
স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক-৪,০৭২
খনি মন্ত্রক-৫,৩০৫
শ্রম এবং কর্মসংস্থান মন্ত্রক-২,৪১৯
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক-১,৮৪৮
জলসম্পদ, নদী উন্নয়ন এবং গঙ্গা পুনরুজ্জীবন বিভাগ-১,৪৫৬
পশুপালন ও দুগ্ধশিল্প বিভাগ- ৯৯৫
মৎস্য বিভাগ- ৬৫১
কর্মীবর্গ, গণ অভিযোগ এবং পেনশন মন্ত্রক-২,৬৮৪
বিরোধীদের সমালোচনার জবাবে
প্রতিশ্রুতি মতো চাকরি দিতে না পারার জন্য বরাবরই মোদীকে নিশানা করে থাকেন বিরোধীরা। সেই সমালোচনার জবাবও মাঝেমধ্যে দিয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পাঁচ বছরে চাকরি সৃষ্টির ক্ষেত্রে সব কিছু করা সম্ভব হয়নি বলে স্বীকারও করে নেন। বলেন, “চাকরি সৃষ্টির ক্ষেত্রে সব পদক্ষেপ করা হয়েছে, এমন দাবি করব না। আরও অনেক কিছু করার রয়েছে। তবে এটা বলতে পারি, চাকরি সৃষ্টির প্রশ্নে বিশ্বের সামনে উদাহরণ হয়ে উঠবে ভারত”।
আরও পড়তে পারেন: বাজেট ২০২১: এক ঝলকে
দেশ
UP Panchayat Polls: শেষ মুহূর্তে ভোটার তালিকায় নাম বাদ! ক্ষোভ চরমে
ভোটের আগেই খেলা ‘শেষ’? শেষ মুহূর্তে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ অনেকের!

খবর অনলাইন ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, তালিকা থেকে নাম কাটার আগে ভোটার অথবা তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানাতে হয়। তবে উত্তরপ্রদেশ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে অনেক ক্ষেত্রেই এই নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, ভোটার তালিকা থেকে নাম কাটার আগে বিধি মেনে নোটিশ দেওয়া দূরের কথা,বুথ লেভেল অফিসার এ বিষয়ে না জানিয়েই নাম কেটে দিয়েছেন।
এই ঘটনার জেরে একটা বড়ো সংখ্যক ভোটার নিজের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে বিএলও থেকে তহসিল অফিসে যাতায়াত করছেন। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা জানিয়েছেন, নাম অন্তর্ভুক্তির শেষ তারিখ অর্থাৎ, ৪ এপ্রিলের পর নতুন করে যেমন নাম বাতিল করা যাবে না, তেমনই নাম অন্তর্ভুক্ত করাও সম্ভব নয়।
এ ভাবে নাম কেটে ফেলার কারণে ভোটারদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এই ভোটারদের ক্ষোভ ভোটের দিন যে কোনো জায়গায়ই ফুটে উঠতে পারে। অতীতেও পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটার তালিকায় গোলমাল ও তার জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল উত্তরপ্রদেশে।
উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গ্রামীণ পঞ্চায়েত, ক্ষেত্র পঞ্চায়েত এবং জেলা পঞ্চায়েতের জন্য ১৫, ১৯, ২৬ এবং ২৯ এপ্রিল চার ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। গত ২৬ মার্চ ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ভোট গণনা আগামী ২ মে।
তথ্যসূত্র: অমর উজালা
আরও পড়তে পারেন: Bengal Polls 2021: শীতলকুচি নিয়ে মন্তব্যের জেরে এ বার দিলীপ ঘোষকে নোটিশ নির্বাচন কমিশনের

খবরঅনলাইন ডেস্ক: এপ্রিলের শেষেই ভারতের বাজারে নিয়ন্ত্রিত ভাবে চলে আসবে স্পুটনিক ফাইভ টিকা। এমনই জানিয়েছে রাশিয়ার সার্বভৌম সম্পদ তহবিল তথা আরডিআইএফ (RDIF)। ওষুধ প্রস্তুতকারী ভারতের পাঁচটা ফার্মে এই টিকা তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এ বছর এই টিকার ৮৫ কোটি ডোজ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে তারা।
উল্লেখ্য, বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ মেনে নিয়ে মঙ্গলবার সকালে স্পুটনিক ফাইভ টিকা ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল। কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিনের পর তাই তৃতীয় টিকাও পেয়ে গেল ভারত।
ভারতে স্পুটনিক ফাইভ টিকা তৈরি করছে ডক্টর রেড্ডি’জ। তারা জানিয়েছে, মডার্না ও ফাইজারের পরে স্পুটনিক ভি টিকার কার্যকারিতা সব চেয়ে বেশি, ৯১.৬ শতাংশ। ভারতে জরুরি ভিত্তিতে এই টিকা ব্যবহারের অনুমতি পাওয়ার জন্য গত ১৯ ফেব্রুয়ারি আবেদন করেছিল ডক্টর রেড্ডি’জ। বর্তমানে ভারতে এই টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে।
তবে অনুমোদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তো টিকা ব্যবহার করা যায় না। আরও অনেকটাই পথ যেতে হয়। তাই রাশিয়ার সংস্থাটি জানিয়েছে এপ্রিলের শেষ বা বড়োজোর মে’র শুরু থেকে এই টিকা পাবেন সাধারণ মানুষ। তারা জানিয়েছে এই টিকা উৎপাদনের জন্য পাঁচটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেছে ভারত। তারা হল Gland Pharma, Hetero Biopharma, Panacea Biotec, Stelis Biopharma এবং Virchow Biotech।
আরডিআইএফ জানিয়েছে, আপাতত ভীষণ নিয়ন্ত্রণ ভাবে সরবরাহ করা হলেও আগামী দু’ মাসের মধ্যে এই টিকা উৎপাদন অনেকটাই বাড়ানো হবে। জুনের মধ্যে স্পুটনিক ফাইভের প্রচুর পরিমাণে ডোজ ভারতের বাজারে চলে আসবে বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারতে ১৮ থেকে ৯৯ বছর বয়সি প্রায় ১৬০০ জনের মধ্যে এই টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। টিকা ব্যবহারের ফলাফল ইতিবাচক।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
Vaccination Drive: এসে গেল তৃতীয় টিকা, স্পুটনিক ফাইভে অনুমোদন দিয়ে দিল কেন্দ্র
দেশ
Bengal Polls 2021: বাড়ছে করোনার সংক্রমণ, নির্বাচন কমিশনকে চিঠি অধীররঞ্জন চৌধুরীর
বস্তুত, ভোটপ্রচারে করোনা বিধি মানা নিয়ে এর আগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে খোদ দিল্লি হাইকোর্টও।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: রাজ্যে চার দফা ভোট মিটেছে। এখনও চারটে দফা বাকি রয়েছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি যে ভয়াবহ রূপ ধারন করেছে তাতে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি কোথায় যাবে সেটাই কার্যত ভেবে পাওয়া যাচ্ছে না। এর মধ্যে প্রচারও চলছে জোরকদমে। বেশিরভাগ জায়গায় করোনাবিধি মেনে চলার কোনো লক্ষ্মণ দেখা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখলেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী।
সোমবার কমিশনকে চিঠি লিখে বহরমপুরের সাংসদ অনুরোধ করেছেন ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণ রুখতে এখনই সক্রিয় হওয়া উচিত কমিশনের (Election Commission)। চিঠিতে অধীরবাবু লিখছেন,”করোনার মতো সংক্রামক ব্যাধি আমাদের জন্য অভিশাপ। অন্যান্য বিভিন্ন রাজ্য নতুন করে করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ করেছে। কোথাও নাইট কারফিউ হয়েছে, কোথাও আংশিক লকডাউন হয়েছে, কিন্তু ভোটের আবহে বঙ্গে তেমন কোনো পদক্ষেপ এখনও করা হয়নি।”
প্রদেশ কংগ্রেস (Congress) সভাপতির অনুরোধ, এখন থেকে ভোটের প্রচারে, জনসভায় বা রোড শোতে করোনা বিধি যাতে মানা হয়, সে ব্যাপারে নির্দেশিকা দিক নির্বাচন কমিশন। এ ছাড়া রাজ্যে সার্বিকভাবে করোনা মোকাবিলা নিয়েও কমিশনকে ভাবার পরামর্শ দিয়েছেন অধীর।
বস্তুত, ভোটপ্রচারে করোনা বিধি মানা নিয়ে এর আগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে খোদ দিল্লি হাইকোর্টও। মাস্ক এবং শারীরিক দূরত্ব বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দিয়ে দিনকয়েক আগে একযোগে কেন্দ্র এবং নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission) নোটিস দিয়েছে দিল্লি হাই কোর্ট।
নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া গাইডলাইন অনুযায়ী, এমনিতেই প্রচারে মাস্ক এবং শারীরিক দূরত্ব বাধ্যতামূলক। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, সেই গাইডলাইন মানা হচ্ছে না। দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court) জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশনকে নিজেদের মোবাইল অ্যাপ, পুস্তিকা, ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য সমস্ত প্ল্যাটফর্মে ভোটে করোনা বিধি সংক্রান্ত যাবতীয় নিয়ম প্রকাশ করতে হবে।
তবে নির্বাচন যখন প্রায় শেষলগ্নে এসেই গিয়েছে, এই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন আর কোনো পদক্ষেপ করবে কি না, সেটাই দেখার।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
-
ধর্মকর্ম2 days ago
অন্নপূর্ণাপুজো: উত্তর কলকাতার পালবাড়ি ও বালিগঞ্জের ঘোষবাড়িতে চলছে জোর প্রস্তুতি
-
ভিডিও2 days ago
Bengal Polls 2021: বিধাননগরে মুখোমুখি টক্কর সুজিত বসু-সব্যসাচী দত্তর, ময়দানে জোট প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
-
প্রবন্ধ1 day ago
First Man In Space: ইউরি গাগারিনের মহাকাশ বিজয়ের ৬০ বছর আজ, জেনে নিন কিছু আকর্ষণীয় তথ্য
-
দেশ1 day ago
Kumbh Mela 2021: করোনাবিধিকে শিকেয় তুলে এক লক্ষ মানুষের সমাগম, আজ কুম্ভের প্রথম শাহি স্নান হরিদ্বারে