পঞ্জাবের অমৃতসর জেলার খান্ডওয়ালায় ঠাকুরদ্বারা মন্দিরে গ্রেনেড হামলা হয় শনিবার মাঝরাতে। মোটরসাইকেল আরোহী দুই দুষ্কৃতী মন্দির চত্বরে বোমা ছুড়ে পালায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনায় প্রকাশ, ১৪-১৫ মার্চ রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, যা আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়। যদিও এতে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, একটি পতাকা লাগানো মোটরসাইকেল নিয়ে মন্দিরের সামনে আসে দুই যুবক। মন্দিরের বাইরে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর কোনো বস্তু ছুঁড়ে দেয়। মুহূর্তের মধ্যে প্রবল বিস্ফোরণ ঘটে এবং হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। মন্দিরের পুরোহিত তখন ভিতরে থাকলেও অক্ষত রয়েছেন।
অমৃতসর পুলিশের কমিশনার গুরুপ্রীত ভুল্লার জানিয়েছেন, এই হামলার পিছনে পাকিস্তানি ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। তিনি বলেন, “পাকিস্তান মাঝে মাঝেই এ ধরনের নাশকতা ঘটানোর চেষ্টা করে। আমরা তদন্ত চালাচ্ছি এবং দোষীদের গ্রেফতারের জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছি। বিস্ফোরকের ধরন এখনও নিশ্চিত নয়, তবে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হচ্ছে।”
পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান বলেন, “পঞ্জাবকে অশান্ত করার জন্য কিছু দুষ্ট চক্র বারবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মাদকের আমদানিও এরই একটি অংশ। মোগা হামলার ঘটনারও পুলিশ সফলভাবে সমাধান করেছে। পঞ্জাব পুলিশ সর্বাধুনিক প্রযুক্তি দ্বারা সজ্জিত এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সম্পূর্ণ সক্রিয়।”
পাকিস্তানের সম্ভাব্য যোগ প্রসঙ্গে মান বলেন, “পাকিস্তান নিয়মিতভাবে ড্রোন পাঠাচ্ছে এবং এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। তারা চায় না যে পঞ্জাবে শান্তি বজায় থাকুক।”
পঞ্জাব কংগ্রেস সভাপতি অমরিন্দর সিং রাজা ওয়ারিং এই হামলাকে উদ্বেগজনক ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, “পঞ্জাবে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে জনগণ আতঙ্কিত। রাজ্য সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।”
পুলিশ জানিয়েছে, তারা হামলাকারীদের শনাক্ত করতে তদন্ত জোরদার করেছে এবং সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে অপরাধীদের খোঁজ চলছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের নির্ভয়ে থাকার আহ্বানও জানানো হয়েছে।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে