খবর অনলাইনডেস্ক: টানা দ্বিতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়ে ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক ইতিহাসে নজির গড়তে চলেছেন হেমন্ত সোরেন। বৃহস্পতিবার রাঁচীতে হবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করলেন হেমন্ত।
ঝাড়খণ্ডে বড়ো জয় পেয়েছে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। ৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় জেএমএম, কংগ্রেস, আরজেডি, সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-এর জোট পেয়েছে ৫৬টি আসন। আর বিজেপি, আজসু, জেডিইউ আর এলজেপি(আর)-এর জোট জয়ী হয়েছে ২৪টি আসনে। তার পরই শুরু হয়েছে সরকার গঠনের প্রস্তুতি। রবিবারই প্রথা মেনে হেমন্ত ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল সন্তোষ গাঙ্গোয়ারের সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের দাবি জানান। পাশাপাশি নিজের ইস্তফাপত্রও রাজ্যপালের হাতে তুলে দেন ঝাড়খণ্ডের বিদায়ী তথা হবু মুখ্যমন্ত্রী। পরে হেমন্ত জানান, আগামী ২৮ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন তিনি। তবে তাঁর সঙ্গে কত জন বিধায়ক মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা ভোটের ফল স্পষ্ট হওয়ার পর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, হেমন্তের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ‘ইন্ডিয়া’র শরিকদের মধ্যে কারা কারা থাকবেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। সূত্রের খবর, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী, কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে থাকতে পারেন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে। এ ছাড়াও, আম আদমি পার্টির (আপ) আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরীওয়াল, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবেরও থাকার কথা আছে।
কিন্তু জল্পনার কেন্দ্রে ছিলেন মমতা। কারণ, বিরোধী জোটের অন্যতম সদস্য হলেও মহারাষ্ট্র বা ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে দেখা যায়নি তাঁকে। শুধু তিনি নন, তৃণমূলের কেউই প্রচার যাননি বাংলার পড়শি রাজ্যে। তবে মমতার সঙ্গে হেমন্তের সম্পর্ক ভালো। তাই মনে করা হচ্ছে নিজে না থাকলেও অন্তত প্রতিনিধি হিসেবে কাউকে এই অনুষ্ঠানে পাঠাবেন তৃণমূলনেত্রী।