কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং ডেপুটি কমিশনার (ডিসিপি) সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখার্জির বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নিতে চলেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের দফতরকে ‘কলঙ্কিত’ করেছেন এবং মিথ্যা প্রচার চালিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিক জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের একটি রিপোর্টের ভিত্তিতে। রিপোর্টটি তিনি জুনের শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জমা দেন। রিপোর্টে অভিযোগ করা হয় যে, বিনীত গোয়েল এবং ইন্দিরা মুখার্জি ‘একজন সরকারি চাকুরের যেমন আচারণ করা উচিত, তেমন আচারণ করেননি।’
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কলকাতা পুলিশের কর্মকর্তারা ভোট পরবর্তী হিংসার শিকারদের রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে বাধা দিয়েছেন, যদিও রাজ্যপাল তাঁদের দেখা করার অনুমতি দিয়েছিলেন। এছাড়াও, অভিযোগ করা হয় যে রাজভবনের কর্মচারীদের চেকিং এবং তাদের প্রবেশ ও প্রস্থানের সময় পরিচয়পত্র যাচাই করা হচ্ছে, যা রাজ্যপালের দফতরের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও চালু করা হয়েছে।
ন্যায় সংহিতায় মামলা দায়ের মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে, তদন্ত শুরু দিল্লি পুলিশের
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাজভবনে কর্মরত অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা এপ্রিল-মে ২০২৪ সময়কালে এক নারী কর্মচারীর মাধ্যমে মিথ্যা অভিযোগের প্রচার ও তাতে উৎসাহ দান করেছেন।
এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “এই আইপিএস কর্মকর্তারা তাঁদের কাজের মাধ্যমে শুধুমাত্র রাজ্যপালের দফতরকে কলঙ্কিত করেননি, বরং তারা এক জন সরকারি কর্মচারীর জন্য প্রযোজ্য আচরণবিধিকে অগ্রাহ্য করেছেন।”
রাজ্যপালের রিপোর্টের ভিত্তি ব্যবস্থা নিতে চলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। মন্ত্রক সূত্রে খবর এই নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি গিয়েছে। সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিবেদন অনুযায়ী এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিনীত গোয়েল দাবি করেন, এই নিয়ে কোনও পদক্ষেপের কথা তিনি জানেন না। একই দাবি করেছেন ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ও।