আগরায় ভারতীয় বিমান বাহিনীর মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, তবে পাইলট নিরাপদে বেরিয়ে আসতে সফল!
আজ, সোমবার আগরার কাছে একটি রুটিন প্রশিক্ষণ চলাকালীন ভেঙে পড়ল ভারতীয় বিমান বাহিনীর মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান। জানা যায় একটি “সিস্টেম ত্রুটি”র সম্মুখীন হয়ে বিধ্বস্ত হয়েছে বিমানটি। পাইলট নিরাপদে অবতরণ করে বেঁচে গেছেন।
ভিজ্যুয়াল ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, সঙ্গা গ্রামের একটি খোলা মাঠে বিমানটিতে আগুনে জ্বলছে এবং স্থানীয় মানুষ বিমানের আশেপাশে দাঁড়িয়ে আছেন। কয়েকজনকে ইজেকশন সিটের মতো একটি সরঞ্জাম ধরে থাকতে দেখা গেছে।
ভারতীয় বায়ু সেনা একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, “আজ আগরার কাছে একটি মিগ-২৯ বিমান রুটিন প্রশিক্ষণ চলাকালীন সিস্টেম ত্রুটির কারণে বিধ্বস্ত হয়েছে। মাটিতে প্রাণহানি বা সম্পত্তির ক্ষতি এড়াতে বিমানটি নির্দিষ্টভাবে চালিত করেন পাইলট। নিরাপদে বেরিয়ে আসেন তিনি। ঘটনার কারণ নির্ধারণে একটি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান ন্যাটো কোড ‘ফুলক্রাম’ এবং ভারতীয় কোড ‘বাজ’ নামে পরিচিত। মূলত সোভিয়েত রাশিয়ার একটি এয়ার সুপিরিয়রিটি যুদ্ধবিমান। ১৯৮৭ সালে এটি আনুষ্ঠানিক ভাবে ভারতীয় বিমান বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এই মডেলটি তুলনামূলক ভাবে নিরাপদ রেকর্ড ধারণ করে চলেছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, বিধ্বস্ত বিমানটি মিগ-২৯ এর উন্নত সংস্করণ ছিল, এর নাম মিগ-২৯ ইউপিজি। গত দুই মাসে এটি দ্বিতীয় মিগ-২৯ দুর্ঘটনা। এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে রাজস্থানের বড়মেড়ে রুটিন নাইট সোর্টির সময় একটি মিগ-২৯ কারিগরি সমস্যায় পড়ে বিধ্বস্ত হয়েছিল। সেবারও পাইলট নিরাপদে ইজেক্ট করেছিলেন।
মিগ-২৯ ইজেকশন সিট
মিগ-২৯ বিমানে “জভেজদা কে-৩৬ডি জিরো-জিরো” ইজেকশন সিট ব্যবহৃত হয়। এটি বিশ্বের অন্যতম উন্নত ইজেকশন সিট হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এটি ভারতীয় বিমান বাহিনীর সু-৩০এমকেআই যুদ্ধবিমানেও ব্যবহার করা হয়।
এই ইজেকশন সিটগুলো শূন্য উচ্চতা বা শূন্য গতিতে পাইলটকে নিরাপদে বের করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই জিরো-জিরো ক্ষমতাটি নিম্ন উচ্চতা বা কম গতিতে থাকা অবস্থায় বিমান দুর্ঘটনায় পাইলটদের নিরাপদে বের হতে সাহায্য করার জন্য উন্নত করা হয়েছে।