আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিভা জানিয়েছেন, ২০২৫ সালে ভারতীয় অর্থনীতি কিছুটা দুর্বল হতে পারে। শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে এক বার্ষিক আলোচনায় তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনীতি স্থিতিশীল থাকলেও অঞ্চলভিত্তিক পার্থক্য থাকবে।
জর্জিভা বলেন, “আমরা দেখছি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাশার চেয়ে ভালো অবস্থায় রয়েছে, ইউরোপে স্থিতাবস্থা এবং ভারত কিছুটা দুর্বল। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য বিশ্ব অর্থনৈতিক আউটলুক আপডেটে থাকবে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, চীনে মূল্যস্ফীতির চাপ এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদার চ্যালেঞ্জ অব্যাহত রয়েছে। ব্রাজিলে উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে, নিম্ন-আয়ের দেশগুলো যে কোনো নতুন ধাক্কার মুখে পড়লে গুরুতর প্রভাবের সম্মুখীন হতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতিগত অনিশ্চয়তা ২০২৫ সালে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে জর্জিভা মনে করেন। নতুন প্রশাসন বিশেষত বাণিজ্য নীতি, কর, এবং সরকারি কার্যকারিতা নিয়ে কী পদক্ষেপ নেবে তা নিয়ে বিশ্বব্যাপী গভীর আগ্রহ রয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৫ সালের ২০ জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন। তিনি চীন, কানাডা এবং মেক্সিকোর মতো দেশগুলোর ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। ট্রাম্প শুল্ককে নীতির মূল হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবেন বলে ঘোষণা করেছেন।
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে জর্জিভা বলেন, “বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির চাপ কমছে। উচ্চ সুদের হার যা মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন ছিল, তা বিশ্ব অর্থনীতিকে মন্দার দিকে ঠেলে দেয়নি। এর মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জিত হয়েছে। উন্নত অর্থনীতিতে শিরোনামমূলক মুদ্রাস্ফীতি দ্রুত লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি আসছে, তবে উদীয়মান বাজারে তা তুলনামূলক ধীর।”
তবে, জর্জিভা সতর্ক করেন যে বৈশ্বিক বাণিজ্য নীতি এবং সরবরাহ চেইনে একত্রিত দেশ ও অঞ্চলগুলো বিশেষত এশিয়ার মতো মধ্যম আকারের অর্থনীতির জন্য অনিশ্চয়তা বাড়ছে।