নয়াদিল্লি: এই প্রথম বার কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার নাম উঠল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র চার্জশিটে। হরিয়ানায় পাঁচ একর জমির কেনাবেচা সংক্রান্ত একটি মামলায় চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। যাতে প্রিয়ঙ্কা এবং তাঁর স্বামী, ব্যবসায়ী রবার্ট বঢরার নাম রয়েছে। তবে, দু’জনের কেউই “অভিযুক্ত” হিসাবে তালিকাভুক্ত নন।
জানা গিয়েছে, হরিয়ানার ফরিদাবাদে একটি কৃষিজমি কেনাবেচা ঘিরে দুর্নীতি হয়েছে। তাতেই জড়িত প্রিয়ঙ্কা। ইডির দাবি, ২০০৬ সালে দিল্লির এক রিয়েল এস্টেট এজেন্ট এইচএল পাহার কাছ থেকে হরিয়ানায় ৪০ একরের তিনটি কৃষিজমি কিনেছিলেন প্রিয়ঙ্কা ও তাঁর স্বামী রবার্ট বঢরা। ২০১০ সালে আবার সেই রিয়েল এস্টেট এজেন্টের কাছেই ওই জমি বিক্রি করে দেন। এই জমি কেনা-বেচা ঘিরেই বেআইনি আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলে ইডির দাবি।
সিসি থামপি নামে এক প্রবাসী ব্যবসায়ী এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক সুমিত চাড্ডার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। ইডি মনে করে অভিযুক্তরা পলাতক অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভান্ডারীকে সাহায্য করেছিল। প্রিয়ঙ্কা এবং রবার্ট হরিয়ানায় তাঁদের একটি জমি থাম্পিকে বিক্রি করেছিলেন বলেও চার্জশিটে জানানো হয়েছে।
ইডির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০০৬ সালে প্রিয়ঙ্কা এবং রবার্ট দিল্লির রিয়েল এস্টেট এজেন্ট এইচএল পাহওয়ালের মাধ্যম হরিয়ানার ফরিদাবাদে পাঁচ একর কৃষি জমি কিনেছিলেন। এরপর সেই জমি ২০১০ সালে এনআরআই ব্যবসায়ী সিসি থাম্পিকে বিক্রি করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা।
শুধু তাই নয়, দাবি করা হয়েছে, একাধিক প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত প্রবাসী ব্যবসায়ী সিসি থাম্পির সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রয়েছে প্রিয়ঙ্কা- রবার্টের। রবার্টের নাম অবশ্য এই মামলায় আগেও জড়িয়েছে। রবার্টের ঘনিষ্ঠ দিল্লির ব্যবসায়ী মনোজ অরোরা এই মামলার এই আর্থিক প্রতারণা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত। কুখ্যাত অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভান্ডারীর সঙ্গেও গান্ধী পরিবারের জামাতার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলেও অভিযোগ ইডির। প্রিয়াঙ্কার নাম এই চার্জশিটে প্রথম বার এল।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী ইশতেহারে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উপর জোর শেখ হাসিনার