দেশ
এক দিনে প্রায় ৫ হাজার সক্রিয় রোগী বাড়ল মহারাষ্ট্রে
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৫৭৭ জন।


খবর অনলাইন ডেস্ক: ভারতের শেষ কয়েকদিনের করোনা-গ্রাফ নতুন করে সতর্কতামূলক ইঙ্গিত দিচ্ছে। শুক্রবার সকালে প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা পার হল ১৬ হাজারের গণ্ডি, অন্য দিকে শুধুমাত্র মহরাষ্ট্রেই সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বাড়ল হাজার পাঁচেক!
নতুন আক্রান্ত ১৬ হাজারের বেশি
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ১০ লক্ষ ৬৩ হাজার ৪৯১। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৫৭৭ জন।
এ দিন ভারতে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ৯৮৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সক্রিয় রোগী বেড়েছে ৪ হাজার ২৭৮ জন। বর্তমানে দেশে ১.৪১ শতাংশ কোভিডরোগী চিকিৎসাধীন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা আগের দিনের থেকে কিছুটা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে মৃত্যু হয়েছে ১২০ জনের, এর মধ্যে ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে মহারাষ্ট্রে। ভারতে এখন মোট মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৮২৫। মৃত্যুহার ১.৪২ শতাংশের আশেপাশে রয়েছে।
দৈনিক সুস্থতার সংখ্যাটি এ দিন ফের ১২ হাজারের উপরে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ১৭৯ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ কোটি ৭ লক্ষ ৫০ হাজার ৬৮০ জন। দেশে এখন সুস্থতার হার রয়েছে ৯৭.১৭ শতাংশ।
দৈনিক সংক্রমণের হার ২-এর কাছাকাছি
দেশে সামগ্রিক ভাবে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দৈনিক সংক্রমণের হারের বড়োসড়ো পরিবর্তন ধরা পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৮ লক্ষ ৩১ হাজার ৮০৭টি। ফলে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ১.৯৯ শতাংশ।
এ দিকে, ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভারতে মোট ২১ কোটি ৪৬ লক্ষ ৬১ হাজার ৪৬৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর বিপরীতে এখন ৫.১৭ শতাংশ।
মহারাষ্ট্রে নতুন করে সংকট!
শেষ ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাস সংক্রামিতের সংখ্যা রইল আট হাজারের উপরেই। বৃহস্পতিবার রাতে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ৭০২। যা আগের দিনের থেকে সামান্য কমলেও মোটেই স্বস্তিদায়ক নয়।
অন্যদিকে শেষ ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রের সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৭৪৪ জন। ফলে সক্রিয় রোগী বেড়েছে ৪ হাজার ৯০২।
পশ্চিমবঙ্গের করোনা-পরিস্থিতি
বৃহস্পতিবার রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণ রইল দু’শোর মধ্যেই। মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব, কেরল, কর্নাটক এবং ছত্তীসগঢ়ে যে হারে নতুন করে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের এই সর্বশেষ পরিসংখ্যান।
আরও পড়তে পারেন: নতুন আক্রান্ত দু’শোর মধ্যেই! কিছুটা হলেও স্বস্তি পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিসংখ্যানে
দেশ
Nirav Modi’s Extradition: নীরব মোদীকে ভারতের হাতে তুলে দিতে সম্মতি ব্রিটিশ সরকারের
এ সংক্রান্ত নির্দেশনামায় সই করেছেন ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব প্রীতি পটেল।


খবরঅনলাইন ডেস্ক: নীরব মোদীকে (Nirav Modi) ভারতে প্রত্যর্পণের বিষয়ে সবুজ সংকেত দিল ব্রিটিশ সরকার। এ সংক্রান্ত নির্দেশনামায় সই করেছেন ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব প্রীতি পটেল।
এর ফলে জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত দেশ-পালানো রত্ন ব্যবসায়ীর দেশে ফেরার ব্যপারটা আরও এক ধাপ এগোল।
তবে এর পরেও যে ৫০ বছর বয়সি নীরব মোদীকে দেশে ফেরানো যাবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। কারণ, সরকারের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ব্রিটিশ হাইকোর্টে যাওয়ার আইনগত অধিকার তাঁর আছে। সে ক্ষেত্রে ২৮ দিনের তাঁকে আবেদন করতে হবে। এবং সেই আবেদনের নিষ্পত্তি হতে মাসের পর মাস, এমনকি বছরও ঘুরে যেতে পারে, যেমনটি দেখা গিয়েছে বিজয় মাল্যর ক্ষেত্রে।
‘পলাতক’ মদ-ব্যবসায়ী বিজয় মাল্যকে ভারতে প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত নির্দেশনামায় করার ব্যাপারে ব্রিটিশ সরকারের তরফে সই করা হয় ২০১৯-এর ফেব্রুয়ারিতে। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে আদালতে যান মাল্য। এই বিষয়টির এখনও নিষ্পত্তি হয়নি।
নীরব মোদীকে ফেরত পাঠানোর নির্দেশনামায় ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রসচিব সই করার আগে প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত আবেদনটি যুক্তরাজ্যের ওয়েস্টমিনিস্টার আদালতে গ্রাহ্য হয় এবং আদালত তা পাঠিয়ে দেয় স্বরাষ্ট্রসচিব।
নীরব মোদীকে ফেরত পাঠানো সংক্রান্ত আবেদনটি নিয়ে শুনানির সময় তাঁর পক্ষ থেকে বলা হয়, অতিমারি পরিস্থিতিতে তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে এবং ভারতে জেলগুলোর অবস্থা খুব খারাপ।
আদালতের বিচারক এই যুক্তি খারিজ করে দিয়ে বলেন, “নীরব মোদী কোনো বৈধ ব্যাবসায় জড়িত ছিলেন, সে কথা মানতে পারছি না। প্রকৃত কোনো লেনদেন হয়েছে বলে আমি দেখতে পাচ্ছি না। আমার বিশ্বাস, অসততার একটা প্রক্রিয়া এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে।”
পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক থেকে ১৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি মামলায় (PNB loan scam case) অভিযুক্ত নীরব মোদী ২০১৮ সালে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।
আরও পড়ুন: Bengal Polls 2021: নির্বাচনী প্রচারে ‘নৈশ কার্ফু’ জারি করল নির্বাচন কমিশন
দেশ
Coronavirus Second Wave: সিবিআইয়ের প্রাক্তন অধিকর্তা রঞ্জিত সিন্হা প্রয়াত
বৃহস্পতিবার তাঁর কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল


খবরঅনলাইন ডেস্ক: কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন সিবিআইয়ের প্রাক্তন অধিকর্তা রঞ্জিত সিন্হা (Ranjit Sinha)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। সিবিআই ছাড়াও আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদও সামলেছেন তিনি।
সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ দিল্লির একটি হাসপাতালে মারা যান সিন্হা। গত কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার তাঁর কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল।
উল্লেখ্য, রঞ্জিত সিনহা আরপিএফ–কেও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ইন্দো–তিব্বত সীমান্ত পুলিশেরও ডিজির দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ২০১২ সালে সিবিআই অধির্কতা পদে বসেছিলেন তিনি। টানা দু’বছর তিনি এই পদের দায়িত্বে ছিলেন। গুরুত্বপূর্ণ একাধিক তদন্তে তিনি সাফল্য পেয়েছিলেন।
এর মধ্যে বিতর্কও পিছু ছাড়েনি তাঁকে। কয়লা কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছিল তাঁর। ২০১৭-তে এই মামলাতেই তাঁকে জেরা করা হয়েছিল।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
Vaccination Drive: অনুমতি পেলে ৩ দিনে ছাড়পত্র বিদেশি টিকাকে, সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের
দেশ
Vaccination Drive: অনুমতি পেলে ৩ দিনে ছাড়পত্র বিদেশি টিকাকে, সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের
প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে প্রতিষেধকগুলিকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে সে গুলিকে ভারতেও ছাড়পত্র দেবে কেন্দ্র।


খবরঅনলাইন ডেস্ক: জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমতি পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে বিদেশি প্রতিষেধক দেশে প্রয়োগে ছাড়পত্র দেওয়া হবে বলে জানাল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, কোনো বিদেশি প্রতিষেধক সংস্থা আবেদন জানালে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) সেই আবেদন খতিয়ে দেখবে।
সেটা করে যদি তারা জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের প্রশ্নে সবুজ সঙ্কেত দেয় তা হলে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) তিন দিনের মধ্যে ওই সংস্থাকে নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের অনুমতি দেবে ভারতে। তবে সরকার জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্রের অনুমতি দিলেও এখনও ভারতে প্রতিষেধক বিক্রির প্রশ্নে আগ্রহ দেখায়নি কোনো বিদেশি প্রতিষেধক সংস্থাই।
দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ লাগামছাড়া হওয়ায় মৃত্যুহার কমাতে দেশের বড়ো সংখ্যক মানুষকে প্রতিষেধকের আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। বর্তমানে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের মাধ্যমে টিকাকরণ চলছে। ওই দু’টি প্রতিষেধকের উৎপাদন ক্ষমতা সীমিত।
প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে প্রতিষেধকগুলিকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে তথা আমেরিকা, ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাপানের মতো দেশগুলি যে প্রতিষেধকগুলিকে ছাড়পত্র পেয়েছে সে গুলিকে ভারতেও ছাড়পত্র দেবে কেন্দ্র।
গত ১৩ এপ্রিল ওই সিদ্ধান্তের পরে এ দিন আরও এক দফা নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্র জানিয়েছে, প্রতিষেধকের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানি ও এ দেশে উৎপাদনের প্রশ্নে নিয়ম সরল করা হয়েছে। যাতে প্রয়োজনে এ দেশে দ্রুত উৎপাদনে সক্ষম হয় সংস্থাগুলি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, প্রতিষেধক সংক্রান্ত জাতীয় নীতি মেনে বিদেশি প্রতিষেধকের ব্যাচকে ছাড়পত্র দেবে কসৌলি-র সেন্ট্রাল ড্রাগস ল্যাবরেটরি (CDL)। সিডিএলের ছাড়পত্র পাওয়া ওই প্রতিষেধক দিয়েই প্রথম একশো জনের উপরে প্রতিষেধক পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করতে হবে বিদেশি সংস্থাকে।
প্রতিষেধক প্রাপ্ত একশো জনকে সাত দিন নজরদারি করার পরে সেই রিপোর্ট জমা পড়বে সিডিএসসিও-র ঘরে। যা ইতিবাচক হলে তবেই বৃহত্তর ক্ষেত্রে প্রয়োগের ছাড়পত্র পাবে ওই সংস্থা।
খবরঅনলাইনে আরও পরতে পারেন
Citi Bank: ভারতে সাধারণ গ্রাহকদের ব্যাঙ্কিং পরিষেবা বন্ধ করছে আমেরিকার এই ব্যাংক
-
রাজ্য2 days ago
স্বাগত ১৪২৮, জীর্ণ, পুরাতন সব ভেসে যাক, শুভ হোক নববর্ষ
-
কলকাতা2 days ago
মাস্ক থাকলেও কালীঘাট-দক্ষিণেশ্বরে শারীরিক দুরত্ব চুলোয়, গা ঘেষাঘেঁষি করে হল ভক্ত সমাগম
-
রাজ্য2 days ago
Bengal Polls 2021: ভয়াবহ কোভিড সংক্রমণের মধ্যে কী ভাবে ভোট, শুক্রবার জরুরি সর্বদল বৈঠক ডাকল কমিশন
-
কোচবিহার2 days ago
Bengal Polls 2021: শীতলকুচির গুলিচালনার ভিডিও প্রকাশ্যে, সত্য সামনে এল, দাবি তৃণমূলের